ঢাকা: শেখ হাসিনাকে ফেরত পাঠানোর জন্য ভারতকে চাপ দিলেও, আওয়ামি লিগ নির্বাচনে অংশ নিলে সমস্যা নেই। বাংলাদেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ১০০ দিন পূর্তি উপলক্ষ্যে এক সাক্ষাত্কারে এমনই মন্তব্য করেছিলেন মহম্মদ ইউনুস। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টার এহেন মন্তব্যের পরেই ফের পারদ চড়তে শুরু করেছে পদ্মাপারের দেশে। আওয়ামি লিগকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে দিলে প্রয়োজনে ফের অভ্যুত্থান হবে বলে সরাসরি হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা সারজিস আলম। সমাজ মাধ্যমে তিনি লিখেছেন, ‘গণহত্যার বিচারের পূর্বে আওয়ামি লিগকে কোনও নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে দেব না। প্রয়োজনে দ্বিতীয় অভ্যুত্থান হবে।’ সমাজ মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন আর এক ছাত্র নেতা হাসনাত আব্দুল্লাহও। তাঁর বক্তব্য, দিল্লিকে সামনে রেখে ক্ষমতার মসনদে যাওয়ার চেষ্টা 
করা মানে জনগণের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা। আওয়ামি লিগের পুনর্বাসনের জন্য যারা উদ্যোগ নেবে, তাদের ইতিহাস গণশত্রু হিসেবে চিহ্নিত করবে বলেও 
দাবি করেছেন হাসনাত। আওয়ামি লিগের নেতাদের বিচার নিয়ে কথা বলা ছাড়া কেউ অন্য কোনও মন্তব্য করতে পারে না বলে সাফ জানিয়েছেন তিনি। 
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ১০০ দিন পূর্তি উপলক্ষ্যে সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাত্কার দিয়েছেন ইউনুস। সেখানে তিনি মন্তব্য করেন, ‘আমরা জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে প্রত্যেকটি মৃত্যুর বিচার নিশ্চিত করব। এর জন্য যারা জড়িত, তাদের বিচারের জন্য সব রকমের চেষ্টা করা হচ্ছে। হাসিনাকে ভারত থেকে ফেরত পাঠানোর দাবি জানাচ্ছি।’ আওয়ামি লিগকে নির্বাচনে অংশ নিতে দেওয়া হবে কি না, সেই প্রশ্নের উত্তরে ইউনুস বলেন, ‘আমরা রাজনৈতিক দল সম্পর্কে কোনও সিদ্ধান্ত নিতে চাইনি। বিএনপি জানিয়েছে, সব রাজনৈতিক দলকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হবে। যেহেতু তারা ইতিমধ্যেই তাদের সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিয়েছে, তাই আমরা দেশের একটি বড় রাজনৈতিক দলের মতামতকে অস্বীকার করতে পারি না।’ তাঁর এই মন্তব্য ছড়িয়ে পড়তেই সমালোচনা শুরু হয়ে যায়।