পারিবারিক মঙ্গল অনুষ্ঠান ও পুজোপাঠে আনন্দলাভ। বন্ধু বিবাদের যোগ আছে। বিদ্যাচর্চায় উন্নতি। ... বিশদ
নার্সারি থেকে চারা কিনে এনে লাগানো যেতে পারে। আবার কৃষক নিজেরাও চারা তৈরি করে নিতে পারেন। বিধানচন্দ্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক-গবেষক দীপক ঘোষ জানিয়েছেন, নিরোগ গাছ থেকে বীজ সংগ্রহ করতে হবে। গাছের মধ্য ছড়ার মাঝখান থেকে ভালোভাবে পেকেছে এমন সুপারি বীজের জন্য সংগ্রহ করতে হবে। যে সুপারি জলের উপর উলম্বভাবে ভাসবে, সেগুলিই বীজের জন্য উপযুক্ত। ছায়া জায়গায় বোঁটা উপরের দিকে করে ৫-৬ সেমি গভীরতায় বীজ বসাতে হবে। বেলে মাটি দিয়ে বীজ ঢাকা দিয়ে প্রতিদিন জল দিতে হবে। ৪০-৪৫ দিন পর থেকে চারা বের হতে শুরু করে। চারা বসানোর ২ বছর পর যদি দেখা যায়, কাণ্ড চারটি গাঁটের কম হয়েছে, তা হলে সেই চারা বাতিল করতে হবে। গরমের সময় বৃষ্টি না হলে ১০-১৫ দিন অন্তর সেচ দিতে হবে। ফুল ধরার সময় যদি গাছের মাটি শুকিয়ে যায়, তা হলে ফুল ঝরে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। বড় সুপারি গাছের ক্ষেত্রে বছরে ২৫ কেজি জৈব সার প্রয়োজন। গাছ প্রতি ২২০ গ্রাম ইউরিয়া, ২৫০ গ্রাম সিঙ্গল সুপার ফসফেট, ২৩০ গ্রাম মিউরিয়েট অফ পটাশ প্রয়োগ করতে হবে। মোট সারের অর্ধেক বর্ষার আগে এবং বাকিটা বর্ষার পরে প্রয়োগ করতে পারলে ভালো। যদি মাটিতে অম্লের ভাগ বেশি থাকে, তা হলে দু’বছর অন্তর ৫০০ গ্রাম চুন গাছ প্রতি প্রয়োগ করা যেতে পারে। চারা লাগানোর ৫ বছর পর থেকে সুপারি ফলতে শুরু করে। ৩৫ বছর পর্যন্ত ফলন পাওয়া যায়। প্রতি বছর একটি গাছে ৪-৫টি কাঁদি ধরে। এক-একটি কাঁদিতে ২৫০-৩০০টি সুপারি থাকে। বিঘা প্রতি প্রায় ৩০ কুইন্টাল ফলন পাওয়া যায়। সুপারিতে ছত্রাকঘটিত ফলপচা রোগ, গোড়াপচা রোগ, কুঁড়িপচা রোগ দেখা যায়।
ছত্রাকঘটিত রোগের হাত থেকে রক্ষা পেতে গাছের গোড়ায় জৈব সারের সঙ্গে গাছ প্রতি ৫০ গ্রাম ট্রাইকোডার্মা ভিরিডি বছরে দু’বার প্রয়োগের পাশাপাশি গাছের পাতায় কার্বেন্ডাজিম প্রতি লিটার জলে ১ গ্রাম মাত্রায় মিশিয়ে স্প্রে করা যেতে পারে। পোকা নিয়ন্ত্রণের জন্য গাছের গোড়ায় বছরে ২বার ২৫ গ্রাম করে কার্বোফুরান দানা কীটনাশক প্রয়োগ করতে হবে। পাতায় মনোক্রোটোফস জাতীয় কীটনাশক দেড় মিলি, ১ লিটার জলে গুলে স্প্রে করতে হবে।