বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
কৃষি দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের সরকারি আইনানুযায়ী ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা রাজ্য সরকার করবে। তার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, জেলা কৃষি দপ্তর থেকে রিপোর্ট পাওয়ার পর ক্ষয়ক্ষতির ব্যাপারে বলতে পারব। তবে ব্যাপক ঝড় ও বৃষ্টিতে রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় ক্ষতি হয়েছে।
উদয়নারায়ণপুর ও আমতা-১ ব্লক সূত্রে জানা গিয়েছে, এই দু’টি ব্লকে প্রায় ৫ হাজার হেক্টর জমিতে এবার আলু চাষ হয়েছিল। তার মধ্যে ৫০০ হেক্টর জমির আলু তুলে নেওয়া হয়েছিল। বাকি ৪৫০০ হেক্টর জমির আলু মাঠে পড়েছিল। ওই আলু সম্পূর্ণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা আছে। এছাড়া এই এলাকায় ৫০০ হেক্টর জমির চিনা বাদাম, ৬০০ হেক্টর জমির সর্ষে ও ২০০ হেক্টর জমিতে সব্জি চাষ হয়েছিল। সেগুলিও ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এদিন সকালেই পঞ্চায়েত সমিতির কর্তারা ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনে যান। এদিন পঞ্চায়েত সমিতির অফিসে কৃষি দপ্তরের অফিসারদের নিয়ে বৈঠকও হয়। সেখানে ক্ষয়ক্ষতির পর্যালোচনা হয়। কৃষি দপ্তরের অফিসাররা বলেন, এখন আলু তোলার চূড়ান্ত সময়। অনেক জায়গায় আলু তোলা শেষের দিকে। কিছু এলাকায় এখনও তোলা হয়নি। সেখানে আলু নষ্ট হয়ে যেতে পারে। স্থানীয় বিধায়ক সমীর পাঁজা বলেন, এদিনই জেলা কৃষি দপ্তরে ক্ষয়ক্ষতির রিপোর্ট পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তরা নিয়মানুযায়ী ক্ষতিপূরণ পাবেন।
আমতা-২ ব্লকেও বুধবারের ভোরের ঝড় ও বৃষ্টিতে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এই ব্লকের ৭৩০ হেক্টর জমির আলু মাঠে পড়েছিল। তা সম্পূর্ণভাবে নষ্ট হয়ে গিয়েছে। আলু জমিতে প্রচুর জল জমে যাওয়ায় পাম্প দিয়ে জল বের করার কাজ হয়েছে। কিন্তু, তাতেও কতটা আলু বাঁচানো যাবে, তা নিয়ে সংশয় আছে। এছাড়াও এই ব্লকের ১৪টি গ্রাম পঞ্চায়েতে ৩৩০ হেক্টর জমির সবজি নষ্ট হয়েছে। এছাড়া ৩০ হেক্টর জমির সরষে ও ১৫ হেক্টর জমির তিল নষ্ট হয়েছে।
এদিন কৃষি দপ্তরের অফিসার ও পঞ্চায়েত সমিতির কর্তারা এলাকা পরিদর্শন করে বৈঠকে বসেন। তারপরই রিপোর্ট চূড়ান্ত করে জেলা কৃষি দপ্তরে পাঠানো হয়। আমতা-২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সুকান্ত পাল বলেন, এখন আলু তোলার কাজ চলছিল। তারই মধ্যে বৃষ্টি শুরু হয়ে যাওয়ায় কিছুটা বাধা পড়েছিল। কিন্তু, মঙ্গলবার সারাদিন বৃষ্টি হওয়ার পর বুধবার ভোরে ব্যাপক ঝড় ও বৃষ্টিতে আলু ও অন্যান্য সব্জির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। আমরা এদিনই জেলা কৃষি দপ্তরে রিপোর্ট পাঠিয়েছি। ক্ষতিগ্রস্তরা আইনানুযায়ী ক্ষতিপূরণ পাবেন।