বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
হঠাৎ বাংলায় ছবি প্রযোজনার সিদ্ধান্ত কেন?
কারণ, প্রথম থেকেই ছবির বিষয়টা আমার খুব পছন্দ হয়েছিল। আমি বরাবর বাংলা ছবির ভক্ত। সেই সাদা কালোর জমানা থেকে। আমার বাড়ির ভিডিও লাইব্রেরিতে সত্যজিৎ রায়,ঋত্বিক ঘটক, মৃণাল সেন সকলের ছবি রেখেছি। বিগত দশ-বারো বছর ধরেই বাংলায় কাজের ইচ্ছা ছিল। একটা ঠিকঠাক বিষয়ের অপেক্ষায় ছিলাম। এরপর এই ছবির সহ প্রযোজক গৌরাঙ্গ জালান ও পরিচালক শুভ্রজিৎ মিত্র যখন ‘অভিযাত্রিক’-এর বিষয়ে আমার সঙ্গে কথা বলেন তখন মনে হয় এটাই সেই বিষয় যার মাধ্যমে আমি আঞ্চলিক ছবির দুনিয়ায় পা রাখতে পারি। আমার মনে হয় সিনেপ্রেমীদের ছবিটা ভালো লাগবে। যদিও বলব ছবির বিষয়ভাবনা বেশ জটিল। এই ছবিটা তৈরির জন্য অনেক হোমওয়ার্ক দরকার, যেটা আমরা করেছি। চল্লিশের দশককে পর্দায় ফেরানো সত্যি কঠিন কাজ। বর্তমানে সকলেই চটজলদি এমন সব ছবি তৈরি করে যার থেকে শুধু অর্থ উপার্জন হতে পারে। কিন্তু শুভ্রজিৎ সেদিকে না গিয়ে দু’বছর ধরে গবেষণার পর ছবিটা করবে। এটা একটা পিরিয়ড পিস হতে চলেছে। সেই কারণে ছবিটা প্রযোজনা করতে পেরে আমি সত্যি আনন্দিত।
বাঙালিরা সত্যজিৎ রায় এবং অপু ট্রিলজি নিয়ে খুবই স্পর্শকাতর। সেখানে এই ছবিটা তৈরির ক্ষেত্রে কোনও বাড়তি চাপ অনুভব করছেন?
আমি জানি, বাঙালিরা এই বিষয়ে কতটা আবেগপ্রবণ। আসলে আমাদের ছবিটা মূল উপন্যাস অনুসরণেই হচ্ছে। আমরা সত্যজিৎ রায়ের অপু ট্রিলজিকে রিমেক করছি না। ‘অপুর সংসার’ যেখানে শেষ হয়েছে সেখান থেকে আমাদের ছবির গল্প শুরু হচ্ছে। উপন্যাসের শেষাংশ নিয়ে আমরা কাজ করছি। শুভ্রজিতের কাছে এই বিষয়টা খুবই পরিষ্কার। এটা চাপের নয়। বরং আমরা অপু ট্রিলজিকে সামনে রেখে সত্যজিৎ রায়ের দেখানো পথেই এগব।
আঞ্চলিক ছবিতে এবার থেকে নিয়মিত কি আপনাকে পাওয়া যাবে?
একজন নির্মাতা হিসাবে যে বিষয় আমাকে ভাবাবে, ছুঁয়ে যাবে সেটা নিয়েই কাজ করব। সেটা যে ভাষাতেই হোক। তাছাড়া চলচ্চিত্রের আলাদা কোনও ভাষা হয় না। আমরা তো এখন নেটে বিদেশি ছবি, সিরিজ সবই দেখি।
বাংলার আর কোনও পরিচালকের সঙ্গে কাজের কথা হয়েছে?
এখনও না। ‘অভিযাত্রিক’ দিয়ে শুরু করছি। ভবিষ্যতে নিশ্চয় আরও হবে।
শেষ কোন বাংলা ছবি দেখেছেন?
‘অটোগ্রাফ’ আর ‘রাজকাহিনী’। সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের ছবি আমার ভালো লাগে।
সৃজিতের আগামী ছবি ‘গুমনামি’র প্রশংসা করেছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়...
হ্যাঁ। পোস্টারটা আমার বেশ লেগেছে। সৃজিত এমন একটা বিষয় নিয়ে কাজ করছে যেটা আমাদের কাছে মিথ। ছোটবেলায় ‘গুমনামি বাবা’র গল্প শুনতাম। তাঁকেই সৃজিত পর্দায় আনছে। এমন একটা বিষয়কে যে সৃজিত পর্দায় আনার সাহস দেখাচ্ছে সেটাই আমার সবচেয়ে ভালো লেগেছে।
কিন্তু বিষয়টা তো বিতর্কিত?
হ্যাঁ,আমি জানি। তাও আমি বলছি সিনেমাটা সিনেমাই। সেটা অন্যকিছু নয়।
নতুন কাজ কী চলছে?
পরের ছবি করব বালি মাফিয়াদের নিয়ে। চিত্রনাট্যের কাজ চলছে। আর্টিস্ট চূড়ান্ত হয়নি।
ওয়েব সিরিজের কাজ করছেন না?
হ্যাঁ, সেটারও কাজ চলছে। সঠিক সময়ে সবটা জানাব।
৩৭০ প্রত্যাহারের পর পাকিস্তান সরকার ভারতীয় সিনেমার সিডি ডিভিডি সে দেশে নিষিদ্ধ করেছে। এই বিষয়ের প্রতিবাদে আপনি সোচ্চার হয়েছেন...
এই প্রসঙ্গটা এখন থাক। পরে হবে (হাসি)।