Bartaman Patrika
হ য ব র ল
 

রুকু ঝুকুর চাওয়া পাওয়া
অংশুমান কর

আমরা গ্রামের বাড়ি যাব। ঝুকুর জন্মের পর এই প্রথম আমাদের সকলের একসঙ্গে গ্রামের বাড়ি যাওয়া। ও তাই খুব আনন্দে আছে। কতবার আমাকে বলছে, ‘দাদা তুই আর আমি ধানগাছে চড়ে দোল খাব।’ আমি ওকে বলিনি যে, ধানগাছে চড়ে দোল খাওয়া যায় না। ওর ধারণা, ধানগাছ আমগাছের মতোই। মোটা কাণ্ড আছে। বড় বড় পাতা। ডাল থেকে ধান ঝুলে থাকে। আমি ওর ভুল ভাঙাইনি। মা-বাবাও ওর ভুল ভাঙায়নি। ভুল নিজের থেকে ভেঙে যাওয়াই তো ভালো।
আমাদের কমপ্লেক্সের মধ্যেই একটা ছোট খেলার মাঠ আছে। মাঠটা খুব সুন্দর। ঘাস একদম সমান করে ছাঁটা। সোসাইটি থেকেই মাঠটার দেখভাল করে। বাবা অবশ্য বলে, এই ঘাসগুলো নকল ঘাস। এই ঘাসে বাবা ওর ছেলেবেলার খেলার মাঠের ঘাসের গন্ধ পায় না। আমরা বিকেলবেলা এই মাঠটাতেই খেলতে যাই। আমরা বড়রা ঝুকুদের খেলায় নিই না। মাঠের এককোণে ওরা সবাই খেলে। কেজি ওয়ান আর টুয়ের বাচ্চারা। সেখানে দোলনা আছে। স্লিপ আছে। আমরা যারা সিক্স সেভেনে পড়ি তারা গোটা মাঠটা জুড়ে ফুটবল খেলি। মাঠের বাইরে দাঁড়িয়ে কারও কারও মায়েরা আমাদের খেলা দেখে। খেলা শেষে মায়েরা ছেলেমেয়েদের নিয়ে ফ্ল্যাটে উঠে যায়। আমাদের মা-বাবা যেহেতু দু’জনেই চাকরি করে তাই আমিই ঝুকুকে নিয়ে ফিরি। পরশুদিন ফেরার সময় শুনলাম ঝুকু ওর বন্ধুদের বলছে, ‘জানিস, এই রবিবার আমরা গ্রামের বাড়ি যাব। আমাদের গ্রামের বাড়িতে অনেক ধানগাছ আছে। আমাদের ভালুমনাগুলো ধানগাছে চড়ে বসে থাকে। সকালবেলা ঠাম্মা ওদের ডাকে, আয় আয়, ব্রেকফাস্ট কর। তখন ওরা গাছ থেকে নেমে ব্রেড-অমলেট খেয়ে জঙ্গলের ভেতরে চলে যায়।’ ঝুকু ভল্লুককে বলে ভালুমনা। বাঘকে বলে বাঘমনা। হিংস্র পশুরাও ওর কাছে খুব আদরের। যখন ওর বন্ধুদের এই সমস্ত মিথ্যে কথা বলছিল, আমি তখন কিচ্ছু বলিনি। ওর বন্ধুদেরই একজন রাকা বরং ওকে বলেছিল, ‘ধুস ভল্লুক আবার মানুষের বাড়িতে থাকে নাকি?’ শুনে ও বলেছিল, ‘ঠিক আছে, তোকে একবার আমাদের গ্রামের বাড়ি নিয়ে যাব, তখন দেখবি থাকে কি না।’ 
ঝুকু যে ইচ্ছে করে এই সমস্ত মিথ্যে কথা বলে তা কিন্তু নয়। একটা অদ্ভুত কল্পনার জগতে ও বাস করে। ও ঠিক আমার মতো নয়। বরং আমার উল্টো। অচেনা লোকেদের সঙ্গে কথা বলতে আমার খুব লজ্জা লাগে। ও কিন্তু যেকোনও মানুষের সঙ্গেই মুহূর্তের মধ্যে ভাব জমিয়ে নেয়, কোলে উঠে পড়ে। আমি এইসব একদম পারি না। মা বলে, আমার কনফিডেন্সের অভাব। মা বাবাকেও বলেছে, এত শাই হলে চলে না। দরকার হলে রুকুর কাউন্সেলিং করাতে হবে। বাবা শুনে কিছু বলেনি, শুধু হেসেছে। আসলে মা আজ সাতদিন ধরে আমাকে বলছে, সোমজিৎ স্যরকে একবার বল কবিতাটা তোকে তুলিয়ে দিতে। আমি কিছুতেই স্যরকে বলে উঠতেই পারছি না। কবিতাটা মানে রবীন্দ্রনাথের ‘বীরপুরুষ’। আর ক’দিন পরেই পঁচিশে বৈশাখ। আমাদের কমপ্লেক্সে রবীন্দ্রজয়ন্তী খুব ঘটা করে উদ্‌যাপন করা হয়। মা খুব চাইছে এবার আমি ‘বীরপুরুষ’ কবিতাটা আবৃত্তি করি। আমাদের ক্লাসটিচার সোমজিৎ স্যর বাংলার শিক্ষক। খুব ভালো আবৃত্তি করেন। আমি বললে স্যর নিশ্চয়ই কবিতাটা আমাকে শিখিয়ে দেবেন। স্কুলের অ্যানুয়াল ফাংশনের জন্য স্যরই আমাদের আবৃত্তি শেখান। তখন তো নিজে থেকেই আমাদের ডেকে নিয়ে কবিতা তোলান। কিন্তু এইবার তো আর স্কুলের ফাংশন নয়। স্যরকে কি বলা ঠিক হবে যে, আমাদের কমপ্লেক্সের রবীন্দ্রজয়ন্তীতে একটা কবিতা বলব, আমাকে শিখিয়ে দিন স্যর? এইসব ভাবতে ভাবতেই আমি স্যরকে আর বলে উঠতে পারিনি।
দুই
নাকতলা-হাওড়া মিনিবাসে চেপে এখন আমরা হাওড়া স্টেশনে যাচ্ছি। বাবা বলেছে, কলেজে পড়ার সময় যেভাবে বাবা গ্রামের বাড়ি যেত, আমরা এবার সেভাবেই গ্রামের বাড়ি যাব। ঝুকুকে বোঝাতে হবে যে, চাইলেই হুশ করে গ্রামের বাড়ি চলে যাওয়া যায় না। সেজন্যই এতদিন যাওয়া হয়নি। আমরা তাই আজ নিজেদের গাড়ি করে যাচ্ছি না। বাসে চেপে হাওড়া স্টেশনে যাব। তারপর সেখান থেকে ট্রেনে চেপে দুর্গাপুর। দুর্গাপুর থেকে আবার বাসে করে বেলিয়াতোড়। 
আমরা যখন বেলিয়াতোড়ে গিয়ে পৌঁছলাম, সূর্য তখন মাথার উপরে। ঠাম্মাকে কতদিন পরে আমি সামনাসামনি দেখলাম। দাদু মারা গিয়েছেন অনেকদিন। আমাদের গ্রামের বাড়ি ঠাম্মা একাই সামলায়। দু’জন কাজের লোক আছে। একজন পবন, আরেকজন লতা। আমরা পৌঁছতেই ঠাম্মা আমাদের জড়িয়ে ধরল। ঝুকুর সঙ্গে ভিডিও কলে ঠাম্মা কথা বলে মাঝে মাঝে। কিন্তু সামনাসামনি ঝুকুকে এই প্রথম দেখল ঠাম্মা। ওকে কোলে নিয়ে কপালে একটা চুমু খেয়ে বলল, ‘পবনের সঙ্গে তোমাকে বিকেলে পাঠাব পলসোনায়। ধানগাছ দেখতে পাবে ওখানে। বোরো ধান কাটা শুরু হয়েছে এখন।’ ঝুকু জিজ্ঞেস করল, ‘ধানগাছের ওপরেও কি ভালুমনাগুলো ঘুমোয় ঠাম্মি?’ ঠাম্মা বলল, ‘কখনও-কখনও ঘুমোয় তো। কিন্তু ওদের দেখতে পাওয়া চাট্টিখানি কথা নয়। কপাল ভালো থাকলে তবেই দেখা যায় ধানগাছের ওপর ভালুমনা ঘুমাচ্ছে।’ 
এইসব কথা শুনে বাবা কিছুই বলছে না। শুধু মিটিমিটি হাসছে। আমি ভাবছি আজই ঝুকু বুঝতে পারবে ধানগাছ আর আমগাছের তফাত। 
আমরা একটু ফ্রেশ হতেই লতা পিসি নিয়ে এল আম পোড়ার শরবত। আমাদের গ্রামের বাড়ির লাগোয়া বিশাল বাগান আছে। সেখানে নানা ফলের গাছ আছে। আম, কাঁঠাল, লিচু, বাতাবি নানা রকমের ফল। যে আম পুড়িয়ে শরবত বানিয়েছে লতা পিসি, তা আমাদের গাছের। এখনও আম সব পাকেনি। কাঁচা কাঁচা আম। গাছে আম ঝুলতে দেখে ঝুকুর সে কী লাফালাফি! ফলওয়ালার ঠেলাগাড়িতে ও চিরকাল আম দেখেছে। এই প্রথম দেখল গাছের থেকে ঝুলছে আম। 
বিকেলবেলা পবন কাকুর সঙ্গে ঝুকু গেল পলসোনায়। আমি গেলাম না। বেলিয়াতোড়ে আমার অনেক বন্ধু আছে। তাদের সঙ্গে বিকেলবেলা আমাদের বাড়ি লাগোয়া বিরাট মাঠে ফুটবল খেলব বলে রয়ে গেলাম। চন্দন, বুধন, সন্তু, দাশু সবার সঙ্গে দেখা হল কতদিন পরে। যখনই দেখা হয়, ওরা আমার কাছে কলকাতার গল্প শুনতে চায়। আমাদের স্কুলের গল্প শুনতে চায়। আমি যতটা পারি বলি। আজ খেলা শেষের মুখে আমরা দেখলাম, ঘন কালো মেঘ করে এসেছে। মানে কালবৈশাখী আসছে। দুদ্দাড় করে যে যার বাড়িতে ফিরে এলাম। 
বাড়ি এসে দেখছি, ঝুকু ফিরে এসেছে পবন কাকুর সঙ্গে ধানগাছ দেখে। ধানগাছ যে আমগাছের মতো নয়, তা জানতে পেরে একটু মনমরা ও। কেন না ভালুমনাগুলোকে এই গাছে ও চড়াতে পারছে না। ঠাম্মাকে বলল, ‘তুমি যে বলেছিলে ধান গাছের ওপর ভালুমনা শুয়ে থাকে। কিন্তু ভালুমনার তো অনেক বড় শরীর। সে ওইটুকু নরম ছোট্ট গাছে চাপবে কী করে?’ ঠাম্মা বলল, ‘চাপে ঠিকই রাতের বেলা। কিন্তু সবাই দেখতে পায় না। পরের বার এলে তোমাকে পবনের সঙ্গে ভোরবেলা পাঠাব ধানগাছ দেখতে। তখন ভালুমনাদের দেখতে পাবে। সেজন্য তোমাকে তো আসতে হবে আমার কাছে। কলকাতা শহরে তো এসব দেখা যায় না সোনা।’
বাবা মন দিয়ে ঝুকু আর ঠাম্মার কথাবার্তা শুনছিল। বলল, ‘মা, আসলে বিশাল চাপ। আর তোমার সঙ্গে তো ভিডিও কলে ওদের কথাবার্তা হতেই থাকে। তবে এবার থেকে বছরে অন্তত একবার সবাইকে নিয়ে আসার চেষ্টা করব।’ 
সন্ধে একটু গাঢ় হতেই ঝড় এল। ভয়ঙ্কর ঝড়। কী শোঁ শোঁ শব্দ! 
পরের দিন ভোরবেলা বাগানে গিয়ে আমরা তো অবাক। গোটা বাগান ছেয়ে গিয়েছে আমে। ওপরে তাকিয়ে দেখলাম আমগাছগুলোতে আর একটা আমকেও ঝুলতে দেখা যাচ্ছে না। ঝড় সবাইকে ফেলে দিয়েছে মাটিতে। হাতের নাগালে এত এত আম দেখে ঝুকুর তো আনন্দ আর ধরে না! আমারও খুব আনন্দ হচ্ছিল। বাবা-মাকে দেখেও মনে হল ওরা যেন আমাদেরই মতো ছোট হয়ে গেছে। তিনটে ঝুড়ি নিয়ে এসে আমরা আম কুড়োতে লাগলাম একসঙ্গে। ঠাম্মা বলল, ‘যাহ, সব আম ঝরে গেল! এ অবশ্য প্রকৃতির দান। না চাইতেই প্রকৃতি অনেক কিছু দিয়ে দেয় আমাদের।’ 
আম কুড়োতে কুড়োতে ঝুকু হঠাৎ চুপ করে দাঁড়িয়ে গেল। ওর চোখ পড়েছে বাতাবি লেবু গাছটার দিকে। গাছটায় ঝুলছে একটাই গোল বাতাবি। অসময়ের বাতাবি। এসময় বাতাবি লেবু তো হওয়ার কথা নয়। এই লেবু তো খাই দুর্গাপুজোর সময়টায়। ভয়ঙ্কর ঝড়ও কিন্তু বাতাবি লেবুটাকে মাটিতে ফেলে দিতে পারেনি। 
বাতাবি লেবুটার দিকে তাকিয়ে ঝুকু হঠাৎ ঠাম্মাকে বলল, ‘ও কেন মাটিতে পড়েনি? ওকে মাটিতে ফেলে দাও।’ 
বাবা বলল, ‘না চাইতেই তো ঝড় তোমাদের এত এত আম দিয়েছে। আবার বাতাবি লেবুটাকে চাইছ কেন?’
ঝুকু বলল, ‘সব আম পড়ে গেছে। ও গাছে ঝুলে থাকবে কেন? ওকে ফেলে দাও। ওকে আমার চাই।’ 
ঝুকুর কথা শুনে ঠাম্মা কোথা থেকে একটা বিরাট বড় বাঁশ নিয়ে এসে বাতাবি লেবুটা যেখান থেকে ঝুলে আছে, গাছের সেই অংশটায় একটা খোঁচা দিল। ধপ করে লেবুটা পড়ল মাটিতে। ঝুকুর সে কী আনন্দ! 
বাবা বলল, ‘লেবুটাকে পাড়লে কেন মা?’ 
ঠাম্মা বলল, ‘বা রে! নাতি চাইছে, দেব না? আর ও তো ঠিকই বলেছে, ঝড় সব আম ফেলে দিয়েছে মাটিতে। তাহলে বাতাবিটাই বা থাকবে কেন? এক যাত্রায় পৃথক ফল তো ভালো নয়।’
মা বলল, ‘আর সবসময় প্রকৃতি সব কিছু আমাদের না চাইতেই দিয়ে দেয় না। কিছু কিছু জিনিস একটু চেয়ে নিতে হয়।’
শুনে আমার মনে হল, ঠিকই তো। অনেক কিছু তো চাইতে হয়। তাতে তো লজ্জা নেই। ফিরে গিয়েই আমি সোমজিৎ স্যরকে বলব ‘বীরপুরুষ’ কবিতাটা আমাকে শিখিয়ে দিন স্যর। 
তিন
সোমজিৎ স্যর আমাকে বলছেন, ‘সন্ধে হল, সূ্য্যি নামে পাটে — এইখানে গলাটাকে একটু খাদে নামাতে হবে।’
আজ দ্বিতীয় দিন। ফার্স্ট ব্রেকে উনি আমাকে কবিতাটা তোলাচ্ছেন গতকাল থেকে।
সোমজিৎ স্যর বললেন, ‘আর হারে রে রে রে — এটা অত জোরে বোলো না। চিৎকারের মতো শোনাচ্ছে।’
আমি বললাম, ‘আর ভুল হবে না স্যর।’
31st  March, 2024
লড়াইয়ের অপর নাম মানসী

ছিলেন ইঞ্জিনিয়ার। দুর্ঘটনায় হারান একটি পা। কিন্তু হেরে যাননি। তারপর থেকে ব্যাডমিন্টনই তাঁর ধ্যানজ্ঞান। মনের অদম্য শক্তিতে ভর করে সাফল্যের শিখর ছুঁয়েছেন মানসী। সেই অনুপ্রেরণার গল্পই শোনালেন সৌগত গঙ্গোপাধ্যায় বিশদ

28th  April, 2024
আশ্চর্য ফুল

ফুল কে না ভালোবাসে! কিন্তু আশপাশের পরিচিত ফুলের বাইরে কিছু অদ্ভুত-দর্শন ফুলের খোঁজ দিলেন রুদ্রজিৎ পাল বিশদ

28th  April, 2024
হরেকরকম হাতের কাজ: রঙিন শিশি

ফেলে দেওয়া জিনিস দিয়ে হাতের কাজ করা শেখাচ্ছেন ডিজাইনার বিদিশা বসু। তাঁর সঙ্গে কথা বললেন কমলিনী চক্রবর্তী। বিশদ

28th  April, 2024
রকেট বার্ড
অনির্বাণ রক্ষিত 

ছোট্ট বন্ধুরা, বিশ্বের দ্রুততম প্রাণীর প্রসঙ্গ উঠলে তোমাদের কোন কোন প্রাণীর নাম প্রথমে মাথায় আসে? অনেকেই হয়তো বলবে চিতা কিংবা বাজপাখি বা ঈগলের কথা। কিন্তু এমনও একটি প্রাণী রয়েছে, যা এদের সবাইকে পিছনে ফেলতে পারে। বিশদ

28th  April, 2024
বিকেলবেলার আলো

আজ ক্লাস ফাইভ থেকে বিনন্দ সিক্সে উঠেছে। ওর এরকম নামটা মা রেখেছিল। মা একটা পুরনো বই ঠাকুরমার কাছ থেকে পেয়েছিল। বইটার নাম ‘লক্ষ্মীচরিত্র’। বইটার মলাটে একটা লক্ষ্মী ঠাকুরের রঙিন ছবি আছে। মা সন্ধেবেলা বইটা নিয়ে পড়তে বসে।
বিশদ

21st  April, 2024
পশ্চিম আকাশে সূর্যোদয়

শুক্রের আহ্নিক গতি অন্য গ্রহগুলির মতো নয়। সৌর জগতে কেন ব্যতিক্রমী এই গ্রহ জানালেন স্বরূপ কুলভী বিশদ

21st  April, 2024
মুদ্রা যখন বিশালাকৃতির পাথর

টাকা-পয়সা বা মুদ্রা সম্পর্কে আমাদের সকলেরই কমবেশি ধারণা আছে। সভ্যতার ঊষালগ্নে চালু ছিল বিনিময় প্রথা। তারপর এল তামা, সোনা ও রুপোর মুদ্রা। বর্তমান সময়ে ধাতব মুদ্রার পাশাপাশি কাগজের নোট চালু আছে।
বিশদ

21st  April, 2024
বাংলা ভাষার প্রতি ঠাকুরবাড়ির ভালোবাসা
পার্থজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়

বাংলা নববর্ষের দিন জানব বাংলা ভাষার প্রতি ভালোবাসার কথা। সেই ইংরেজ আমলে রবীন্দ্রনাথের পরিবারের সদস্যরা কীভাবে এই ভাষার জন্য লড়াই করেছিলেন, তুলে ধরা হল তারই টুকরো কিছু স্মৃতি।  বিশদ

14th  April, 2024
হরেকরকম হাতের কাজ: মটকা পেন্টিং

ফেলে দেওয়া জিনিস দিয়ে হাতের কাজ করা শেখাচ্ছেন ডিজাইনার বিদিশা বসু। তাঁর সঙ্গে কথা বললেন কমলিনী চক্রবর্তী। বিশদ

14th  April, 2024
ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে আবিষ্কার
কল্যাণকুমার দে

ঘুম! পড়তে বসলেই ঘুম পেয়ে যায়। এর জন্য বাবা-মায়ের কাছে কম বকুনি খেতে হয় না। বকুনি খেয়েও কিন্তু অভ্যেসটা পাল্টায় না। আসলে ঘুমের অভ্যেসটা আমাদের জন্মাবার সঙ্গেই তৈরি হয়ে যায়। কিন্তু প্রশ্ন হল, আমরা কেন ঘুমোই? জীবনে কি ঘুম অত্যন্ত জরুরি? বিশদ

14th  April, 2024
এপ্রিল ফুলের খুনসুটি

পেরিয়ে এলাম পয়লা এপ্রিল। ইংরেজি চতুর্থ মাসের ১ তারিখ মানেই এপ্রিল ফুলস’ ডে। বোকা বানানোর দিন। কীভাবে বন্ধুদের সঙ্গে দিনটি মজা করে কাটল, সেই গল্পই শোনাল পূর্ব বর্ধমানের ঘোড়ানাশ উচ্চ বিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা। ‘ফুল’ একটি ইংরেজি শব্দ। এর অর্থ বোকা। এপ্রিল ফুলের অর্থ এপ্রিল মাসের বোকা।
বিশদ

07th  April, 2024
যাত্রী যখন গান্ধীজি

১৯৪৬ সালের জানুয়ারি মাস। শীতের বিকেলে সোদপুর স্টেশন দিয়ে কু-ঝিকঝিক আওয়াজ করে গন্তব্যের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে যাত্রীবাহী ট্রেন। স্ব-পার্ষদ খাদি আশ্রমে বসে রয়েছেন জাতির জনক। আচমকা বললেন, মাদ্রাজ যেতে হবে। এখান থেকেই ট্রেন ধরব
বিশদ

07th  April, 2024
বিরল সংখ্যা

গণিত মানেই মগজাস্ত্রে শান। সংখ্যার খেলা। কত ধরনেরই যে বিস্ময় লুকিয়ে রয়েছে, তা বলে বোঝানো যায় না। এক একটা সংখ্যাতেই কত না রহস্য। এই ধর, ছয় দশ পাঁচ পঁয়ষট্টির কথা। সংখ্যায় লিখলে— ৬৫। দেখে কী মনে হচ্ছে!
বিশদ

07th  April, 2024
মহাকাশযাত্রীদের খাবার-দাবার
উৎপল অধিকারী

মহাকাশ বড়ই রহস্যময় স্থান। এই রহস্যের উদ্ঘাটন করার জন্য মানুষ দীর্ঘদিন ধরে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। মানুষ সশরীরে সেখানে হাজির হয়েছে। এই অকুতোভয় সাহসী মহাকাশযাত্রীরা জীবন বাজি রেখে অসীম ধৈর্য নিয়ে মহাকাশযানে তাঁদের গবেষণা করছেন। বিশদ

31st  March, 2024
একনজরে
অটো দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল এক বধূর। ঘটনায় জখম হয়েছেন অটোয় থাকা আরও এক যাত্রী। সোমবার সকালে ঘটনাটি ঘটে শীতলকুচি-মাথাভাঙা রাজ্য ...

পশ্চিমবঙ্গে লোকসভা ভোটের প্রচারে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ খানিকটা ম্রিয়মাণ। এখনও পর্যন্ত তিনি জনসভা করেছেন মাত্র দু’টি। তিনি মালদহে একটি রোড শোতে অংশ নিয়েছেন। অন্যদিকে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ইতিমধ্যেই জনসভা করে ফেলেছেন ন’টি। ...

জমি দুর্নীতি মামলায় ধৃত ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের জামিনের আবেদনের প্রেক্ষিতে ইডির জবাব চাইল সুপ্রিম কোর্ট। সোমবার এই মামলার শুনানি ছিল বিচারপতি সঞ্জীব খান্না ও বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তের বেঞ্চে। আগামী ৬ মের মধ্যে এব্যপারে জবাব দিতে হবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী ...

 নির্বাচন ঘোষণার পর থেকেই  দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার চারটি লোকসভা আসনের প্রার্থীদের প্রচার শুরু হয়ে যায় পুরোদমে। তার প্রায় দেড় মাস পর দেখা যাচ্ছে, প্রচার ও বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মসূচির সংখ্যার নিরিখে যাদবপুর লোকসভা অন্য কেন্দ্রগুলির তুলনায় অনেকটাই এগিয়ে রয়েছে। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

সব কর্মেই অর্থকড়ি উপার্জন বাড়বে। কর্মের পরিবেশে জটিলতা। মানসিক উত্তেজনা কমাতে চেষ্টা করুন। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

আন্তর্জাতিক নৃত্য দিবস
১৬৩৯ - দিল্লির লালকেল্লার ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপিত হয়
১৮৪৮- শিল্পী রাজা রবি বর্মার জন্ম
১৯১৭ – সঙ্গীতবিশারদ দিলীপকুমার রায়ের জন্ম
১৯১৯ - জালিওয়ান ওয়ালাবাগের নৃশংস হত্যাকান্ডের প্রতিবাদে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ব্রিটিশ প্রদত্ত নাইট উপাধি ত্যাগ করেন
১৯১৯- বিশিষ্ট তবলাবাদক ওস্তাদ আল্লারাখার জন্ম
১৯৩৯- কংগ্রেস সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দিলেন সুভাষচন্দ্র বসু
১৯৪৫ -  জার্মান বাহিনীর মিত্রশক্তির কাছে আত্মসমর্পণ
১৯৪৫ – ইতালির একনায়ক মুসোলিনীর মৃত্যু
১৯৪৯ -  বিশিষ্ট লোকসঙ্গীত শিল্পী উৎপলেন্দু চৌধুরীর জন্ম
১৯৫৪ -  ভারত ও চীনের মধ্যে পঞ্চশীল চুক্তি সম্পাদিত
১৯৭০ - টেনিস খেলোয়াড় আন্দ্রে আগাসির  জন্ম
১৯৮০ - চলচ্চিত্র নির্দেশক ও প্রযোজক স্যার আলফ্রেড যোসেফ হিচককের মৃত্যু
১৯৯৭ -   ব্রিটেন চীনের কাছে হংকংকে ফিরিয়ে দেয়
২০২০ - বিশিষ্টঅভিনেতা  ইরফান খানের মৃত্যু 

29th  April, 2024


ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮১.৫৭ টাকা ৮৫.০০ টাকা
পাউন্ড ১০২.১২ টাকা ১০৬.৬৩ টাকা
ইউরো ৮৭.৩৭ টাকা ৯১.৪১ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭২,৯০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৩,২৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৯,৬৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৬৯,৬৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮১,৪৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১৭ বৈশাখ, ১৪৩১, মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪। ষষ্ঠী ৪/৫৩ দিবা ৭/৬। উত্তরাষাঢ়া নক্ষত্র ৫৭/৩০ রাত্রি ৪/৯। সূর্যোদয় ৫/৮/৩৯, সূর্যাস্ত ৫/৫৯/৪। অমৃতযোগ দিবা ৭/৪৩ গতে ১০/১৭ মধ্যে পুনঃ ১২/৫১ গতে ২/৩৩ মধ্যে পুনঃ ৩/২৫ গতে ৫/৮ মধ্যে। রাত্রি ৬/৪৩ মধ্যে পুনঃ ৮/৫৭ গতে ১১/১২ মধ্যে পুনঃ ১/২৬ গতে ২/৫৬ মধ্যে। বারবেলা ৬/৪৫ গতে ৮/২১ মধ্যে পুনঃ ১/১০ গতে ২/৪৬ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/২৩ গতে ৮/৪৬ মধ্যে। 
১৭ বৈশাখ, ১৪৩১, মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪। সপ্তমী রাত্রি ২/৪৫। উত্তরাষাঢ়া নক্ষত্র রাত্রি ১/৩৩। সূর্যোদয় ৫/৯, সূর্যাস্ত ৬/০। অমৃতযোগ দিবা ৭/৩৭ গতে ১০/১৪ মধ্যে ও ১২/৫১ গতে ২/৩৬ মধ্যে ও ৩/২৯ গতে ৫/১৩ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/৪৯ মধ্যে ও ৯/০ গতে ১১/১১ মধ্যে ও ১/২২ গতে ২/৪৯ মধ্যে। বারবেলা ৬/৪৬ গতে ৮/২২ মধ্যে ও ১/১১ গতে ২/৪৭ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/২৪ গতে ৮/৪৭ মধ্যে। 
২০ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
হরিশ্চন্দ্রপুরে জনসভায় বক্তব্য রাখছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

03:11:00 PM

আগামী ৪ মে পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গে তাপপ্রবাহের সতর্কতা

03:08:27 PM

চোখে সমস্যা, চিকিৎসার জন্য ব্রিটেনে রাঘব
চোখে সমস্যা, ব্রিটেনে চিকিৎসার জন্য গিয়েছেন আপ সাংসদ রাঘব চাড্ডা। ...বিশদ

03:00:02 PM

লন্ডনের মেট্রো স্টেশনে ছুরি হাতে হামলা চালাল দুষ্কৃতী, জখম বহু

02:52:30 PM

মনোনয়নপত্র জমা দিলেন ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেডি সভাপতি নবীন পট্টনায়েক

02:42:43 PM

মনোনয়নপত্র জমা দিলেন হুগলি লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায়

02:39:37 PM