আজ অর্থাগম ক্ষেত্রটি মধুর। কাজ করেও সাফল্যের অভাব। উচ্চশিক্ষা ও গবেষণায় উন্নতি। ... বিশদ
পেরেগ্রিন ফ্যালকন ঘণ্টায় সর্বাধিক ৩৯০ কিলোমিটার বেগে তার শিকারকে আক্রমণ করে। এর গতি এতটাই বেশি যে, চোখের পলকে তার শিকারকে আক্রমণ করতে পারে। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, এই পাখির শিকার খালি চোখে দেখতে পাওয়া খুব কঠিন। তবে কোনও ভিডিও থাকলে স্লো মোশনে দেখা যায়। চিতার আক্রমণের গতি ঘণ্টায় ৮০-১৩০ কিলোমিটার আর ঈগলের ঘণ্টায় ২৫০-৩০০ কিলোমিটার। তাহলে বুঝতেই পারছ রকেট পাখি এই সব
কিছুর ঊর্ধ্বে।
একথা বলাই যায় পেরেগ্রিন ফ্যালকন তার গতির জন্যই বিখ্যাত। তাদের লাইটওয়েট ফ্রেমের পাশাপাশি রয়েছে একটি এরোডাইনামিক ডাইভিং ফর্ম, যা তাদের বেগ ধরে করতে সাহায্য করে। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, ৩০০ কিমি/ঘণ্টা বেগে কোনও পাখি ডাইভিং করলে ফুসফুসের ক্ষতি হওয়ার সম্ভবনা থাকে। সেই কারণে পেরিগ্রিন ফ্যালকনের ছোট টিউবারকল রয়েছে, যা তার নাকের ছিদ্র থেকে চাপযুক্ত বায়ুকে দূরে সরিয়ে দেয়। যার ফলে তারা সহজেই শ্বাস নিতে পারে। এছাড়াও, নিক্টেটিং মেমব্রন শিকারের সময় তাদের চোখকে রক্ষা করে।
মাত্র কয়েক দশক আগে, এই পাখিটি এক ধরনের কীটনাশক ব্যবহারের কারণে প্রায় বিলুপ্তই হয়ে গিয়েছিল। কারণ কীটনাশক প্রাপ্তবয়স্ক পাখিদের ব্যাপক ক্ষতি করে এবং তাদের ডিমের খোসাকে এতটাই পাতলা করে দেয় যা ভ্রূণের বিকাশকে বাধাপ্রাপ্ত করে। অবশেষে ১৯৭১ সালে সেই নির্দিষ্ট কীটনাশকটি নিষিদ্ধ হওয়ার পর পাখির সংখ্যা আবারও খানিকটা বেড়েছে। এখন স্থিতিশীল পর্যায়ে রয়েছে এই পাখির সংখ্যা।
পেরিগ্রিন ফ্যালকনের গঠন ও আকৃতি
রকেট পাখির শরীরের সামনের অংশ সাদা আর পিছনের অংশ নীল ও বাদামি। পাখিটির মাথার রং কালো। এটি ডাক হক নামেও পরিচিত। একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল পুরুষ পেরিগ্রিন ফ্যালকন আকারে স্ত্রী পাখির চেয়ে ছোট। এই পাখিটি ১৩ থেকে ২৩ ইঞ্চি পর্যন্ত লম্বা হতে পারে। ডানা ২৯-৪৭ ইঞ্চি লম্বা। একটি স্ত্রী পেরেগ্রিন ফ্যালকনের ওজন ১.৫ কেজি হতে পারে তবে পুরুষের ওজন হয় ১ কেজি। এই প্রজাতির পাখি পৃথিবীর শীতল স্থানে পাওয়া যায়। কিন্তু পাখিটি সর্বত্রই বেঁচে থাকতে পারে।