Bartaman Patrika
হ য ব র ল
 

ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে আবিষ্কার
কল্যাণকুমার দে

ঘুম! পড়তে বসলেই ঘুম পেয়ে যায়। এর জন্য বাবা-মায়ের কাছে কম বকুনি খেতে হয় না। বকুনি খেয়েও কিন্তু অভ্যেসটা পাল্টায় না। আসলে ঘুমের অভ্যেসটা আমাদের জন্মাবার সঙ্গেই তৈরি হয়ে যায়। কিন্তু প্রশ্ন হল, আমরা কেন ঘুমোই? জীবনে কি ঘুম অত্যন্ত জরুরি?
এ নিয়ে কতশত গবেষণাই না চলছে। আর সেজন্য একদল ঘুমবিজ্ঞানীর চোখে ঘুম নেই। ঘুমের সঙ্গে সঙ্গে আর এক ধরনের অভিজ্ঞতা সকলেরই জানা আছে—সেটা হল স্বপ্ন। এ বিষয়ে স্বপ্ন বিশারদ গরফিল্ডের বক্তব্য হল, মানুষ যখন জেগে থাকে এবং কোনও একটি বিষয়ের উপর নিয়মিত চিন্তা করে, তখন তার অবচেতন মনেও সে সম্পর্কে নানা প্রতিক্রিয়া ঘটে। ফলে মানুষ যখন ঘুমায়, তখন সেইসব প্রতিক্রিয়ারই সামগ্রিক রূপটা স্বপ্নে প্রকাশ পায়।
কেউ স্বপ্ন দেখতে ভয় পায়, কেউ স্বপ্ন দেখতে ভালোবাসে। কিন্তু স্বপ্নের মধ্যে ব্যাপারগুলো এমনভাবে ঘটে, যে তাকে মিথ্যে বলে মনেই হয় না। মজার ব্যাপার এই, রাতে ঘুমোতে ঘুমোতে স্বপ্ন দেখে কোনও কোনও বিজ্ঞানী বিজ্ঞানের দারুণ দারুণ বিষয়ে অনেক কিছু আবিষ্কার করে গিয়েছেন। 
যেমন ধর, ইলিয়াস হাউয়ের কথা। আবিষ্কারক হিসাবে তাঁর বেশ নাম-ডাক আছে। তিনি ছিলেন একজন আমেরিকান উদ্ভাবক। যিনি আধুনিক লকস্টিচ সেলাই মেশিন তৈরির জন্য সবচেয়ে বেশি পরিচিত।
একটা অতি তুচ্ছ ব্যাপার নিয়ে হাউ দারুণ সমস্যায় পড়লেন। সেলাই কলের ছুঁচ। কলের ছুঁচের ফুটোটা কোথায় করলে মেশিন চালিয়ে সেলাই করা সহজ হবে, সেটা নিয়েই হাউয়ের সমস্যা।
চিন্তা করতে করতে একদিন রাতে হাউ ঘুমিয়ে পড়লেন। সালটা ছিল ১৮৪৫। চোখ বুজতেই একটা স্বপ্ন দেখলেন— পথ চলতে চলতে তিনি এক গভীর জঙ্গলে ঢুকে পড়েছেন। চারদিকে ঘন অন্ধকার। এমন সময় হঠাৎ কিছু অসভ্য বুনো মানুষ তাঁকে ঘিরে ফেলল।
হাউ আঁতকে উঠলেন। মানুষগুলো বলল, আমরা সভ্য হতে চাই। সভ্য জগতের সঙ্গে মিশতে চাই। সুতরাং তুমি আমাদের এমন একটা সেলাই যন্ত্র দাও, যাতে করে আমরা তোমার মতো পোশাক বানাতে পারি। যদি চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে যন্ত্রটি না দিতে পার, তাহলে আমরা তোমাকে মেরে ফেলব।
হাউ বন্দি হয়ে রইলেন। চব্বিশ ঘণ্টা শেষ হতে আর অল্প কিছুক্ষণ বাকি। ওদিকে অজস্র মোটা মোটা ছুঁচের মতো বল্লম নিয়ে বুনো মানুষগুলো এগিয়ে আসছে। হাউ ভয়ে জড়সড় হয়ে পড়ছেন। তিনি লক্ষ করলেন বল্লমগুলোর মাথার কাছে একটা করে ফুটো। ঘুমের ঘোরে হাউ চিৎকার করে উঠলেন, দাঁড়াও তোমরা।
তাঁর ঘুম ভেঙে গেল। এতদিন সেই কলের ছুঁচ নিয়ে চিন্তা ছিল তাঁর। কখনও ভেবেছিলেন ছুঁচের ফুটো মাঝখানে হওয়া দরকার। কখনও ভেবেছিলেন, না, শেষ প্রান্তে। এবার তিনি স্বপ্নের অভিজ্ঞতা অনুযায়ী কলের ছুঁচের মাথায় ফুটো করে সুতো পরানোর ব্যবস্থা করলেন। তাতে অসামান্য কাজ হল। এই স্বপ্ন তাঁর আবিষ্কারকে সার্থক করে তুলল।
....
এধরনের অভিজ্ঞতা আরও অনেক বিজ্ঞানীর জীবনে ঘটেছে। যেমন আর একজন বিশ্ববিখ্যাত বিজ্ঞানী হলেন জার্মানির রসায়নবিদ ফ্রায়েডরিখ কেকুলে। সেই সময়ে বেঞ্জিন নামে এক ধরনের রাসায়নিক জৈব যৌগের আণবিক কাঠামোটা কেমন হবে সে নিয়ে বিজ্ঞানীমহলে বেশ তর্কবিতর্ক চলছে। বেঞ্জিন এক ধরনের সরল জৈব যৌগ। ছ’টা কার্বন ও ছ’টা হাইড্রোজেন পরমাণু দিয়ে তৈরি। স্থুল সংকেত হল—C6H6। বেশ কিছু রসায়নবিদের মতামত হল বেঞ্জিন যৌগে কার্বন ও হাইড্রোজেনের পরমাণুগুলো সরল চেইনের মতো করে সাজানো থাকে। কিন্তু তাতে হাইড্রোজেনের পরমাণুর সংখ্যার হিসেব নিয়ে গরমিল দেখা দিল। কেকুলেও এ নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছিলেন। কিন্তু অপ্রত্যাশিত ভাবে সমস্যাটির সমাধান 
হয়ে গেল।
১৮২৫ সাল। তখন শীতকাল। বাইরে প্রচণ্ড ঠান্ডা। হিম পড়ছে। নিজের ঘরে ফায়ার প্লেসের সামনে একটা ইজি চেয়ারে বসে বই পড়ছিলেন কেকুলে। উষ্ণতার আরামে তিনি হঠাৎ ঝিমিয়ে পড়েছিলেন। স্বপ্নে দেখলেন, তাঁর সামনে কার্বন ও হাইড্রোজেন পরমাণুগুলো কেমন যেন অদ্ভুত ভাবে ঘুরপাক খাচ্ছে। তারপর পরমাণুগুলো জুড়ে গিয়ে একটা সাপের আকার নিল। দেখলেন সাপটা তার দিকে ছুটে আসছে। কিন্তু অদ্ভুত ব্যাপার, সাপটা তাঁকে না কামড়ে নিজের লেজটা মুখে পুরে নিল।
এমন সময় কেকুলের ঘুমটা ভেঙে গেল। মুহূর্তে মনে হল তিনি সমস্যার সমাধান পেয়ে গিয়েছেন। আনন্দে লাফিয়ে উঠলেন। বুঝলেন বেঞ্জিন বা ওই ধরনের কোনও রাসায়নিক যৌগের গঠন ‘রিং’-এর মতো। অর্থাৎ কার্বন ও হাইড্রোজেন পরমাণুগুলো পর পর যুক্ত হয়ে কোনও শৃঙ্খল গঠন করে না। পরিবর্তে তারা যুক্ত হয়ে একটি ‘বদ্ধ চক্রাকার রিং’ (‘বেঞ্জিন রিং’) সৃষ্টি করে। যেমন স্বপ্নে লেজের ডগাটা মুখে পুরে সাপটার চেহারাটা দাঁড়িয়েছিল। স্বপ্ন থেকে কেকুলে বেঞ্জিন অণুর গঠনটা জানতে পেরেছিলেন।
 ১৯৫৩ সালে একজন তরুণ মার্কিন বিজ্ঞানী ডক্টর জেমস ওয়াটসন একটি অদ্ভুত স্বপ্ন দেখেছিলেন। যেখানে দু’টি সাপের মতো কাঠামো একত্রিত হয়েছিল। জেমস ওয়াটসনের স্বপ্ন ডিএনএর অণুর ডাবল হেলিক্স কাঠামোর প্রস্তাব করেছিলেন। ডিএনএ (ডিঅক্সিরাইবোনিউক্লিক অ্যাসিড) হল সকল জীবের বংশগতির ধারক ও বাহক।
ওয়াটসন তাঁর সহকর্মী ব্রিটিশ বিজ্ঞানী ফ্রান্সিস ক্রিক-এর সঙ্গে একটি গবেষণাপত্রে তা প্রকাশ করেছিলেন। ১৯৬২ সালে জেমস ওয়াটসন, ফ্রান্সিস ক্রিক ও মারিস উইলকিন্সকে একত্রে তাঁদের আবিষ্কারের জন্য ফিজিওলজিতে নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়েছিল।
....
আরও একটা ঘটনা ঘটে ১৯১৩ সালে। রোদ ঝলমলে দিন। মাথার উপর প্রখর সূর্য। তার চারপাশে উত্তপ্ত গ্যাসের কুণ্ডলী। গ্রহগুলো গ্যাসের দড়ি দিয়ে সূর্যের সঙ্গে বাঁধা। সূর্যকে মাঝখানে রেখে তারা সূর্যের চারপাশে বনবন করে ঘুরপাক খাচ্ছে। সেই গ্যাস হঠাৎ ঠান্ডা হল। সূর্যটা গ্যাসীয় অবস্থা থেকে ধীর ধীরে শক্ত কঠিন বলের আকার ধারণ করল। আর গ্রহগুলো গ্যাসের দড়ির কবল থেকে মুক্ত হয়ে গেল। অমনি সূর্য থেকে তারা দূরে সরে যেতে লাগল। ঠিক সেই সময়ে ঘুম ভেঙে গেল কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের তরুণ মেধাবী ছাত্র নিলস বোরের। ঘুম থেকে উঠে চারদিকে চোখ মেলে চাইলেন। মনে মনে বিড়বিড় করে বললেন, তাহলে এসব সত্যি নয়। এতক্ষণ যা দেখলাম, তা স্বপ্ন?
এই নিলস বোর পরে বিশ্ববিখ্যাত পদার্থবিজ্ঞানী হিসাবে খ্যাতি লাভ করেছিলেন। তিনি কিন্তু তাঁর স্বপ্নের কথা তখনও ভুলে যাননি। স্বপ্নে পাওয়া তাঁর ধারণা পরবর্তীকালে ‘কোয়ান্টাম মেকানিক্স’-এর সাহায্যে পরমাণু গঠন সম্পর্কে নতুন ব্যাখ্যা জোগাতে সাহায্য করেছিল। স্বপ্নের সূর্য হল পরমাণুর কেন্দ্রক, যার মধ্যে আছে প্রোটন ও নিউট্রন এবং গ্রহগুলি ইলেকট্রন। যারা একটি শক্তি ক্ষেত্রের মধ্যে অবস্থান করে। নিলস বোর  পরমাণুর গঠন আবিষ্কারের জন্য ১৯২২ সালে  পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার জিতেছিলেন।
....
প্রখ্যাত পদার্থবিদ অ্যালবার্ট আইনস্টাইন বলেছিলেন যে, আপেক্ষিক তত্ত্ব তাঁর কাছে গোরু সম্পর্কিত স্বপ্নে এসেছিল। স্বপ্নে দেখলেন যে, তিনি একটি খামারের কাছ দিয়ে হাঁটছেন। যখন তিনি বৈদ্যুতিক বেড়া দিয়ে ঘেরা কয়েকটি গোরুর কাছে এসে পড়েন, তখন কৃষক হঠাৎ বৈদ্যুতিক বেড়া চালু করেন, আর তিনি গোরুগুলোকে একই সময়ে লাফ দিতে দেখেন। যদিও কৃষক যিনি মাঠের অপর প্রান্তে দাঁড়িয়েছিলেন, গোরুগুলোকে মেক্সিকান তরঙ্গে একে একে লাফ দিতে দেখেছেন। আইনস্টাইন বুঝতে পেরেছিলেন যে, একই ঘটনা সম্পর্কে তাঁদের দৃষ্টিভঙ্গি ভিন্ন ছিল। এটিই আপেক্ষিক তত্ত্বকে অনুপ্রাণিত করেছিল—আপনি যেখানে দাঁড়িয়ে আছেন তার উপর নির্ভর করে ঘটনাগুলি ভিন্ন দেখায়, কারণ আপনার চোখে আলো পৌঁছতে সময় লাগে। সময় পর্যবেক্ষকের আপেক্ষিক। আইনস্টাইন বলেছিলেন, ‘ঘুম শুধুমাত্র স্বাস্থ্যের জন্য অত্যাবশ্যক নয়, সম্ভবত সৃজনশীলতার সবচেয়ে বড় একক উৎস।’
....
দিমিত্রি মেন্ডেলিভ (১৮৩৪-১৯০৭), একজন রাশিয়ান রসায়নবিদ ও উদ্ভাবক। তিনি মৌলিক পদার্থসমূহের ভৌত ও রাসায়নিক ধর্ম বিশ্লেষণ করে মৌল সমূহের পর্যায়ভিত্তিক ধর্ম আবিষ্কার করেন এবং তা কাজে লাগিয়ে সর্বপ্রথম সার্থক পর্যায় সারণী তৈরি করেন। তিনি চেয়েছিলেন একটি রাসায়নিক টেবিল ডিজাইন করতে  যাতে তৎকালীন ৬৩টি পরিচিত রাসায়নিক উপাদান  তাদের পারমাণবিক ওজনের উপর ভিত্তি করে সারিবদ্ধ করা হবে। ১৮৬৯ সালে তিনি এক-একটি কার্ডে রাসায়নিক মৌলগুলির নাম লিখেছিলেন—প্রতিটি কার্ডে একটি মৌল। তারপর তিনি প্রতিটি মৌলর বৈশিষ্ট্যগুলি কার্ডে লিখেছিলেন। তিনি রাত পর্যন্ত প্রায় ত্রিশটি উপাদান সারিবদ্ধ করতে সক্ষম হয়েছিলেন। তারপর মেন্ডেলিভ তাঁর ডেস্কে ঘুমিয়ে পড়েছিলেন। যখন তিনি জেগে উঠলেন, তিনি দেখতে পেলেন যে তাঁর অবচেতন মন তাঁর কাজ করেছে! উপাদানগুলির একটি যৌক্তিক বিন্যাস তাঁর কাছে এসেছিল। যেখানে তিনি প্রায় সমস্ত মৌলকে একটি বড় সারণী বিন্যাসে, একটি পর্যায় সারণীতে রেখেছিলেন। পরের দিন সকালে, তিনি এটি লিখেছিলেন।  তিনি পরে লিখেছেন, ‘একটি স্বপ্নে আমি একটি রাসায়নিক টেবিল দেখেছি, যেখানে সমস্ত উপাদান প্রয়োজন অনুসারে জায়গায় পড়েছিল। জেগে উঠে, আমি এটি একটি কাগজের টুকরোতে লিখেছিলাম।’
14th  April, 2024
জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়িতে কিছুক্ষণ

আগামী বুধবার পঁচিশে বৈশাখ। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মদিনের আগে জোড়াসাঁকোর ‘মহর্ষি ভবনে’র মিউজিয়াম ঘুরে এসে লিখলেন চকিতা চট্টোপাধ্যায়। বিশদ

05th  May, 2024
মৌমাছি মৌমাছি কোথা যাও নাচি নাচি

মৌমাছি, মৌমাছি কোথা যাও নাচি নাচি,  দাঁড়াও না একবার ভাই। ওই ফুল ফোটে বনে, যাই মধু আহরণে, দাঁড়াবার সময় তো নাই।’ ছোট্ট বন্ধুরা, তোমরা নিশ্চয়ই নবকৃষ্ণ ভট্টাচার্যের এই কবিতাটি পড়েছ।  সত্যি সত্যি মৌমাছিরা খুবই ব্যস্তসমস্ত আর কর্মঠ পতঙ্গ। বিশদ

05th  May, 2024
কীভাবে এল ঘড়ি?
কালীপদ চক্রবর্তী

ছোটবেলা থেকেই আমরা শুনে আসছি সময় মতো সব কাজ করতে হবে। সময়ে স্কুল যেতে হবে,  সময়ে ঘুম থেকে উঠতে হবে, সময়ে পড়তে বসতে হবে। আমরা এটাও শুনেছি সময় কারও জন্য অপেক্ষা করে না। তাই যুগ যুগ ধরে মানুষ যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার চেষ্টা করে আসছে। বিশদ

05th  May, 2024
লড়াইয়ের অপর নাম মানসী

ছিলেন ইঞ্জিনিয়ার। দুর্ঘটনায় হারান একটি পা। কিন্তু হেরে যাননি। তারপর থেকে ব্যাডমিন্টনই তাঁর ধ্যানজ্ঞান। মনের অদম্য শক্তিতে ভর করে সাফল্যের শিখর ছুঁয়েছেন মানসী। সেই অনুপ্রেরণার গল্পই শোনালেন সৌগত গঙ্গোপাধ্যায় বিশদ

28th  April, 2024
আশ্চর্য ফুল

ফুল কে না ভালোবাসে! কিন্তু আশপাশের পরিচিত ফুলের বাইরে কিছু অদ্ভুত-দর্শন ফুলের খোঁজ দিলেন রুদ্রজিৎ পাল বিশদ

28th  April, 2024
হরেকরকম হাতের কাজ: রঙিন শিশি

ফেলে দেওয়া জিনিস দিয়ে হাতের কাজ করা শেখাচ্ছেন ডিজাইনার বিদিশা বসু। তাঁর সঙ্গে কথা বললেন কমলিনী চক্রবর্তী। বিশদ

28th  April, 2024
রকেট বার্ড
অনির্বাণ রক্ষিত 

ছোট্ট বন্ধুরা, বিশ্বের দ্রুততম প্রাণীর প্রসঙ্গ উঠলে তোমাদের কোন কোন প্রাণীর নাম প্রথমে মাথায় আসে? অনেকেই হয়তো বলবে চিতা কিংবা বাজপাখি বা ঈগলের কথা। কিন্তু এমনও একটি প্রাণী রয়েছে, যা এদের সবাইকে পিছনে ফেলতে পারে। বিশদ

28th  April, 2024
বিকেলবেলার আলো

আজ ক্লাস ফাইভ থেকে বিনন্দ সিক্সে উঠেছে। ওর এরকম নামটা মা রেখেছিল। মা একটা পুরনো বই ঠাকুরমার কাছ থেকে পেয়েছিল। বইটার নাম ‘লক্ষ্মীচরিত্র’। বইটার মলাটে একটা লক্ষ্মী ঠাকুরের রঙিন ছবি আছে। মা সন্ধেবেলা বইটা নিয়ে পড়তে বসে।
বিশদ

21st  April, 2024
পশ্চিম আকাশে সূর্যোদয়

শুক্রের আহ্নিক গতি অন্য গ্রহগুলির মতো নয়। সৌর জগতে কেন ব্যতিক্রমী এই গ্রহ জানালেন স্বরূপ কুলভী বিশদ

21st  April, 2024
মুদ্রা যখন বিশালাকৃতির পাথর

টাকা-পয়সা বা মুদ্রা সম্পর্কে আমাদের সকলেরই কমবেশি ধারণা আছে। সভ্যতার ঊষালগ্নে চালু ছিল বিনিময় প্রথা। তারপর এল তামা, সোনা ও রুপোর মুদ্রা। বর্তমান সময়ে ধাতব মুদ্রার পাশাপাশি কাগজের নোট চালু আছে।
বিশদ

21st  April, 2024
বাংলা ভাষার প্রতি ঠাকুরবাড়ির ভালোবাসা
পার্থজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়

বাংলা নববর্ষের দিন জানব বাংলা ভাষার প্রতি ভালোবাসার কথা। সেই ইংরেজ আমলে রবীন্দ্রনাথের পরিবারের সদস্যরা কীভাবে এই ভাষার জন্য লড়াই করেছিলেন, তুলে ধরা হল তারই টুকরো কিছু স্মৃতি।  বিশদ

14th  April, 2024
হরেকরকম হাতের কাজ: মটকা পেন্টিং

ফেলে দেওয়া জিনিস দিয়ে হাতের কাজ করা শেখাচ্ছেন ডিজাইনার বিদিশা বসু। তাঁর সঙ্গে কথা বললেন কমলিনী চক্রবর্তী। বিশদ

14th  April, 2024
এপ্রিল ফুলের খুনসুটি

পেরিয়ে এলাম পয়লা এপ্রিল। ইংরেজি চতুর্থ মাসের ১ তারিখ মানেই এপ্রিল ফুলস’ ডে। বোকা বানানোর দিন। কীভাবে বন্ধুদের সঙ্গে দিনটি মজা করে কাটল, সেই গল্পই শোনাল পূর্ব বর্ধমানের ঘোড়ানাশ উচ্চ বিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা। ‘ফুল’ একটি ইংরেজি শব্দ। এর অর্থ বোকা। এপ্রিল ফুলের অর্থ এপ্রিল মাসের বোকা।
বিশদ

07th  April, 2024
যাত্রী যখন গান্ধীজি

১৯৪৬ সালের জানুয়ারি মাস। শীতের বিকেলে সোদপুর স্টেশন দিয়ে কু-ঝিকঝিক আওয়াজ করে গন্তব্যের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে যাত্রীবাহী ট্রেন। স্ব-পার্ষদ খাদি আশ্রমে বসে রয়েছেন জাতির জনক। আচমকা বললেন, মাদ্রাজ যেতে হবে। এখান থেকেই ট্রেন ধরব
বিশদ

07th  April, 2024
একনজরে
চলতি লোকসভা নির্বাচনে ভোটের হারে ঘাটতির ধারা অব্যাহত। তবে সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ ব্যাপার হল, তৃতীয় দফায় বাংলার চারটি আসন মুর্শিদাবাদ, জঙ্গিপুর, মালদহ উত্তর ও দক্ষিণে ৪০ বছর পর ভোটের হার এত কম! ...

৯ টেস্টে ৭০ গড়। তিনটি শতরান। তার মধ্যে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ঘরোয়া সিরিজে রয়েছে দু’টি ডাবল সেঞ্চুরি। এখন ভারতের টেস্ট ও টি-২০ দলের অবিচ্ছেদ্য অংশ যশস্বী জয়সওয়াল। রাজস্থান রয়্যালসের বাঁ হাতি ওপেনার সম্পর্কে উচ্ছ্বসিত ব্রায়ান লারা। ...

রান্নার গ্যাস সংক্রান্ত পরিষেবা বাড়াতে কী কী পদক্ষেপ করা যায়, তার উপায় বাতলাতে উদ্যোগী হয়েছে আমেদাবাদের ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব ম্যানেজমেন্ট (আইআইএম)। ডিস্ট্রিবিউটরদের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের হেঁশেলে পৌঁছয় এলপিজি। ...

যেন সিনেমার টানটান চিত্রনাট্য। দাক্ষিণাত্যের এক হাসপাতালে বসে শ্যুটআউটের ছক কষেছিল সে! তারপর পরিকল্পনা অনুযায়ী বাঁকড়ার পঞ্চায়েত অফিসে পাঠানো হয়েছিল ভাড়াটে শ্যুটার। তদন্তে নেমে এমন ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

আজ অর্থাগম ক্ষেত্রটি মধুর। কাজ করেও সাফল্যের অভাব। উচ্চশিক্ষা ও গবেষণায় উন্নতি। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৪৫৪- ইতালীয় ব্যবসায়ী, অভিযাত্রী, নৌ-বিশারদ এবং মানচিত্র নির্মাতা আমেরিগো ভেসপুসির জন্ম
১৮৬৬- স্বাধীনতা সংগ্রামী গোপালকৃষ্ণ গোখলের জন্ম
১৮৭৪- তৎকালীন বোম্বেতে চালু হয় প্রথম ঘোড়ায় টানা ট্রাম
১৮৭৯- নারী সচেতনতা প্রসারকল্পে কেশবচন্দ্র সেন আর্য নারী সমাজ প্রতিষ্ঠা করেন
১৯০৯ - হিন্দুস্তানী শাস্ত্রীয় সংগীতের (ফারুকাবাদ ঘরানার) সঙ্গীতশিল্পী জ্ঞানপ্রকাশ ঘোষের জন্ম 
১৯৬০- বিশ্বখাদ্য ও ড্রাগ প্রশাসন ঘোষণা করে যে জন্মনিয়ন্ত্রণের জন্য বড়ি ব্যবহার করা যাবে
১৯৬৭- ভারতের প্রথম মুসলিম প্রেসিডেন্ট হিসাবে নির্বাচিত হন জাকির হোসেন
১৯৮৪- অক্সিজেন না নিয়েই এভারেস্ট জয় করেন ফু দোর্
১৯৮৬- নেপালী শেরপা পর্বতারোহী  তেনজিং নোরগে  যিনি প্রথম এভারেস্ট শৃঙ্গ জয়ী এডমন্ড হিলারির সাথে ছিলেন
১৯৯৪- নেলসন ম্যান্ডেলা বর্ণবৈষম্যহীন দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন
১৯৯৮– সঙ্গীতশিল্পী তালাত মামুদের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮২.৬৮ টাকা ৮৪.৪২ টাকা
পাউন্ড ১০২.৬২ টাকা ১০৬.০৬ টাকা
ইউরো ৮৮.১৯ টাকা ৯১.৩১ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭২,০০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭২,৩৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৮,৭৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮১,৫০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮১,৬০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২৬ বৈশাখ, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ৯ মে ২০২৪। প্রতিপদ ৩/১৮ দিবা ৬/২২ পরে দ্বিতীয়া ৫৮/৮ রাত্রি ৪/১৮। কৃত্তিকা নক্ষত্র ১৭/১৩ দিবা ১১/৫৬।  সূর্যোদয় ৫/৩/১০, সূর্যাস্ত ৬/২/৫৬। অমৃতযোগ রাত্রি ১২/৪০ গতে ২/৫২ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ প্রাতঃ ৬/৪৭ মধ্যে পুনঃ ১০/১৬ গতে ১২/৫২ মধ্যে। বারবেলা ২/৪৮ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ১১/৩৩ গতে ১২/৫৬ মধ্যে।  
২৬ বৈশাখ, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ৯ মে ২০২৪। প্রতিপদ দিবা ৭/৫। কৃত্তিকা নক্ষত্র দিবা ১/৪। সূর্যোদয় ৫/৪, সূর্যাস্ত ৬/৪। অমৃতযোগ রাত্রি ১২/৪০ গতে ২/৫০ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৬/৪৬ মধ্যে ও ১০/১৫ গতে ১২/৫১ মধ্যে। কালবেলা ২/৪৯ গতে ৬/৪ মধ্যে। কালরাত্রি ১১/৩৪ গ. ১২/৫৬ মধ্যে। 
২৯ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আইপিএল: পাঞ্জাবকে হারিয়ে ৬০ রানে ম্যাচ জিতল বেঙ্গালুরু

11:52:44 PM

আইপিএল: ২২ রানে আউট স্যাম, পাঞ্জাব ১৭০/৮ (১৫.৩ ওভার), টার্গেট ২৪২

11:42:07 PM

আইপিএল: ০ রানে আউট প্যাটেল, পাঞ্জাব ১৭৪/৯ (১৬.১ ওভার), টার্গেট ২৪২

11:35:00 PM

আইপিএল: ৩৭ রানে আউট শশাঙ্ক, পাঞ্জাব ১৫৩/৬ (১৪ ওভার), টার্গেট ২৪২

11:32:07 PM

আইপিএল: ৮ রানে আউট আশুতোষ, পাঞ্জাব ১৬৪/৭ (১৫ ওভার), টার্গেট ২৪২

11:28:46 PM

আইপিএল: ০ রানে আউট লিভিংস্টোন, পাঞ্জাব ১২৬/৫ (১১.২ ওভার), টার্গেট ২৪২

11:14:21 PM