Bartaman Patrika
গল্পের পাতা
 

 ডেডলাইন
সম্রাজ্ঞী বন্দ্যোপাধ্যায়

একটা অজানা-অচেনা স্টেশনে নেমে পড়ে এইভাবে একটা চায়ের দোকানে ঢুকে পড়া কতটা ঠিক হল কে জানে। ঐত্রেয়ী অন্তত সেই কথাই ভাবছে। এইখানে চিনি ছাড়া লাল চা পাওয়ার জাস্ট কোনও চান্স নেই। সুতরাং একটা দুধ চা-ই বলেছে। দোকানি দিদি আঁচল দিয়ে ঘাম মুছতে মুছতে জিজ্ঞেস করে গেছেন আর কিছু সে খাবে কিনা। এই রোদের তাপের মধ্যে একটু ছাউনি পাওয়া গেছে সেই তো অনেক...সঙ্গে একটু চাও। খাবারের কথা তাই এক্ষুনি ভাবছে না সে। আরও কিছুক্ষণ তো সে এমনিও আছে। তাছাড়া কাজটা না হলে ফেরাও যাবে না। কলকাতায় বসে তো হচ্ছিলও না কিছু। দোকানি ছাড়া আর কোনও মহিলা নেই, বাকিরা পুরুষ। তারা একটু ঘুরে ঘুরে তাকাচ্ছে, ঐত্রেয়ী জামাটা একটু টেনে নেয়, সকালের তাড়াহুড়োয় জিন্স পরেই বেরিয়ে পড়েছে সে। কুর্তাটা অবশ্য লম্বা। পাশে যে পুরুষরা বসেছেন, কেউ লুঙ্গি, কেউ পাজামা। একজনের খালি গা। গায়ে একটা পৈতে। হাতটা ঘুরিয়ে খেয়াল পড়ল ঘড়ি পরতে ভুলে গিয়েছে ঐত্রেয়ী। এক হাতে চায়ের ভাঁড়। ব্যাগ থেকে ফোন বের করতে গিয়ে যদি আবার পড়ে যায়। পাজামা পরা ভদ্রলোককে ঐত্রেয়ী জিজ্ঞেস করল ‘কাকু কটা বাজে?’ ভদ্রলোক পাজামার পকেট থেকে মোবাইল বার করে বললেন, ‘বারোটা বাজতে দশ।’ পাশে লুঙ্গি পরা ভদ্রলোক জিজ্ঞেস করলেন, ‘তুমি কি সাংবাদিক?’ ঐত্রেয়ী সঙ্গে সঙ্গে না বলতে যায়, তখনই সেই ভদ্রলোক আবার বলেন, ‘সঞ্জয়কে চেনো? তুমি সঞ্জয়ের বন্ধু?’ ঐত্রেয়ী মাথা নেড়ে বলে, ‘নাহ্‌, আমি এই গ্রামের কেউ নই।’ ভদ্রলোকরা হেসে ফেলেন, ‘তা কি আর বলে দিতে হবে তোমায়।’ এই হাসির রোলে ঐত্রেয়ীর একটু অস্বস্তি হয়, মৃদু হাসি ফিরিয়ে দিয়ে দোকানটার ছাউনি থেকে বেরিয়ে পাশটায় গিয়ে দাঁড়ায়, বেশ রোদ, তবে সামনে একটা ধানখেত। চোখে রোদ লাগলেও বেশ লাগছে দেখতে। মাথার ওপর থেকে এক হাতে সানগ্লাসটা নামিয়ে নেয়! হঠাৎ একটা বাইক থামার শব্দ হয়। ঐত্রেয়ী মাথা ঘুরিয়ে দেখে একটা বাইক থেকে একটা লোক নেমে হেলমেট খুলছে, হেলমেটের নীচে একটা রুমাল বাঁধা। মাথায় রুমাল বাঁধা লোক দেখলেই ঐত্রেয়ীর একটা রিপালশন হয়। তারপর অবশ্য দেখে লোকটা রুমালটা খুলে চায়ের দোকানের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। ঐত্রেয়ীর চা খাওয়া শেষ পয়সা আগেই দিয়ে দিয়েছিল, ভাঁড়টা ছুঁড়ে ফেলে, দোকানের থেকে একটু দূরে গিয়ে দাঁড়ায়। ব্যাগ থেকে ফোনটা বার করে ছবি তোলে ধানজমির। হঠাৎ পাশ থেকে এসে কেউ বলে, ‘আমি সঞ্জয়। ওঁরা বলছিলেন, আপনি সাংবাদিক। কোন কাগজ?’ ঐত্রেয়ী ঘাড় ঘুরিয়ে দেখে সেই বাইকের লোকটা। চেহারাটা সৌম্য।
‘উঁহু, আমি সাংবাদিক নই।’
‘এখানে?’
‘একটা কাজে এসেছি।’
সঞ্জয় এবার বলে ‘কোনও সাহায্য লাগলে বলতে পারেন। আমি এখানকারই।’
ঐত্রেয়ী বুঝতে পারে না, কতটা ঠিক হবে অচেনা কাউকে জিজ্ঞেস করা, কিন্তু চেনা কাউকে জিজ্ঞেস করার তো চান্সও নেই। তাই ঐত্রেয়ী বলেই ফেলে ‘এখানে ছায়ায় একটু বসা যাবে এমন কোনও জায়গা আছে? আসলে একজনের আসার কথা।’ সঞ্জয় অনায়াসেই বলে, সামনে এগিয়ে গিয়ে ডানদিকে বেঁকলে একটা ছোট্ট নদী আছে, সেখানে দুটো নৌকা তীরে বাঁধাই থাকে। ওইখানে চলে যান। গাড়ি আছে সঙ্গে?’ ‘উহুঁ, ট্রেনেই এসেছি।’ সঞ্জয়ের অনুরোধে ওর বাইকে করে খানিক দূরে এগিয়ে যায় ঐত্রেয়ী। সামনে শান্ত একটা নদী, আর তীরে বাঁধা নৌকা। সঞ্জয়ের সঙ্গে খানিকক্ষণ কাটিয়ে ভালোই তো লাগছিল, তাই শহুরে ঐত্রেয়ী বাইক থেকে নেমে বলেই ফেলল, ‘আপনার কি কাজ আছে কোনও? নইলে একটু বসে যেতে পারতেন। আমাকে ছেড়ে দিয়ে গেলেন অথচ একটুও গল্প হল না।’ সঞ্জয়ের সৌম্য চেহারা, নীল শার্ট আর বাদামি ট্রাউজারের ওপর কেন জানি ঐত্রেয়ীর ভরসা হল, খুব কোনও বিপদ হবে না কিছুক্ষণ বসলেও। এ ভরসার অবশ্য কোনও মানে নেই। কিন্তু ঐত্রেয়ী এমনই। সঞ্জয় একটু মৃদু হেসে বলল, ‘কারোর আসার কথা বলছিলেন যে, আমার একটা ছোট্ট কাজ আছে, তবে একটু পরে গেলেও হবে।’ ঐত্রেয়ীও জানায়, যার আসার কথা তার আসতে দেরি আছে। নৌকাটায় উঠে কাঠের পাটাতনে দু’জনে গিয়ে বসে ... ঐত্রেয়ীর কুসুম রঙের কুর্তা আর নীল জিন্স এই নদীর ধারের হাওয়ায় বেশ উজ্জ্বল দেখাচ্ছে। চুলও উড়ছে একটু একটু। চোখে অবশ্য তখনও সানগ্লাস। সঞ্জয়ের চোখ খালি... ঐত্রেয়ী সেই দিকে তাকিয়ে দেখল, হুবহু নদীটার মতো স্বচ্ছ। চোখাচোখি হয়ে যাওয়ায় আবার চোখ নামিয়ে নিয়ে অভ্যেসবশে জামাটা একটু টেনে নিল ঐত্রেয়ী। সঞ্জয়ও চোখ ফেরাল নদীটার দিকে।
‘এই নদীটার নাম অলীক জানেন। কত কত দিন এই নদীটার ধারে বসে থেকেছি আমি।’ ‘অলীক?’ ভূগোল বইয়ে এমন নদীর নাম কোনওদিন পড়েনি বলেই একটু অবাক চোখে তাকালো ঐত্রেয়ী। সঞ্জয় আপন মনে বলেই চলেছে। ‘রাখালদা এইখানটা বসে ছিপ ফেলত। আর আমি পাশে বসে বসে দেখতাম। এই গ্রামটাও খুব অন্যরকম ছিল জানেন, এটা আসলে ছিল এক জমিদারদের ঘুরতে আসার জায়গা। আমরা এই গ্রামে সেই প্রজাদেরই বংশ আসলে। এখন অবশ্য উল্টো, সেই জমিদাররাই এখানে প্রান্তিক। ওই দুটো পরিবার আছে বোধ হয়। প্রজাদের বংশই এখন এই গ্রামে সবটা। তবে সেই জমিদার বাড়ি নিয়ে কিন্তু অনেক কিছু শোনা যায়। বিশেষত, একটা গল্প তো আমার একেবারে নিজের স্মৃতিতেই আছে’ সঞ্জয় ঘুরে তাকায় ঐত্রেয়ীর দিকে ‘আপনি বোর হচ্ছেন না তো?’ ঘাড় নেড়ে না জানায় ঐত্রেয়ী। কৌতূহলের সঙ্গে জিজ্ঞেস করে, ‘কী গল্প?’ সঞ্জয় আবার বলতে শুরু করে ‘আজ থেকে প্রায় একশো বছর আগে এই অলীক নদীর ধারে শোনা যায় সেই জমিদারবাড়ির কোনও ছেলে মাছ ধরতে এসে জলে ডুবে মারা যায়। তো তারপর থেকে জমিদার বাড়ির কোনও প্রজন্মের কেউই নাকি এখানে মাছ ধরতে আসত না। কিন্তু এই যে হারানদাকে দেখলেন...’ ঐত্রেয়ী জানায় ‘দেখিনি, আপনি বললেন।’ ‘হ্যাঁ তাই আর কি। তো হারানদার বাবা হারানদাকে নিয়ে একবার মাছ ধরতে এসেছিল। সেই নিয়ে গ্রামে রইরই পড়ে যায়, কিন্তু হারানদা বা হারানদার বাবা কারওরই কিছু হয় না।’ ঐত্রেয়ী আবার বলে ‘যাক। মানে সেটাই তো হওয়ার কথা ছিল। আর হারানদাকে তো আপনিও মাছ ধরতে দেখেছেন, তাই না?’ সঞ্জয় এবার একটু উদাস হয়ে বলে ‘হ্যাঁ, কিন্তু আসল গল্প তো এর পরে, বাবার সঙ্গে এমন দু-তিন দিন আসার পর, পঞ্চম বা সপ্তম দিনে, মানে আমার ঠিক মনে নেই, হারানদার বাবা মারা যান এই নদীতেই মাছ ধরতে এসে।’ ঐত্রেয়ী একটু নড়ে বসে। না সে মোটেই অলৌকিক কিছুতে বিশ্বাস করে না, কিন্তু সঞ্জয়ের গল্প বলার ধরনটা এত ভালো! যে বুকটা একটু ছ্যাঁত করে ওঠে। সঞ্জয় বলতে থাকে ‘হারানদার বাবা এমনিতে ভাবতে গেলে জলে পা পিছলে পড়ে গিয়েছেন। তাই মারা গেছেন। কিন্তু গ্রামের লোকেরা তো তা শুনতে নারাজ। বিশেষত যখন এমন মৃত্যুর কথা এই গ্রামের ইতিহাসে আছে। হারানদা নাকি তর্ক জুড়েছিল যে, তাহলে তো প্রথমদিনই এমন দুর্ঘটনা ঘটার কথা। ক’দিন বাদে কেন? কিন্তু বাচ্চা ছেলের প্রশ্নকে কেউই আমল দেয়নি। ঐত্রেয়ী আবার বলে ‘কিন্তু আপনি যে বললেন, আপনি আর হারানদা...।’ সঞ্জয় জোর দিয়ে বলে ‘আগে শুনুন। তো হারানদার কথা কেউ পাত্তা দেয়নি সেটা ঠিকই কিন্তু হারানদাও এই রহস্যের সন্ধান ছাড়েনি। হারানদার ওই পাঁচ দিন বা সাত দিনের স্মৃতি হাতড়ে বার করেছিল যে ওই শেষদিন হারানদার বাবা নদীটার একটু বেশি কাছে গিয়ে বসেছিল। সুতরাং হারানদার মনে হতে থাকে এই তীরে কোনও এক অদৃশ্য সীমারেখা আছে, যেটা সম্ভবত পেরনো যাবে না। সেটা পেরলেই মৃত্যু অনিবার্য। হারানদা দিনের পর দিন বসে থেকে খেয়াল করতে থাকে। এমনকী একবার একটা ছাগল ছুটে এসেছিল নদীর ধারে, তারও নাকি পড়ে গিয়ে মৃত্যু হয়। তো তারপর থেকে হারানদা সেই অদৃশ্য সীমারেখাটাকে কোনওরকম ভাবে চিহ্নিত করে এবং সেটার একটা আশ্চর্য নাম দেয়।’ ‘কী?’ চোখ থেকে সানগ্লাসটা নামিয়ে জানতে চায় ঐত্রেয়ী। ‘মৃত্যুরেখা। আমাকে ছোটবেলায় যখন নিয়ে আসত হারানদা, আমাকে বারবার দেখাত... ‘এই দেখ, এর পরে গেলেই কিন্তু মরে যাবি। তাই সবসময় এইখানে থাকবি। এর মধ্যে। চিহ্নিত করার জন্য পরে অবশ্য এই নৌকাগুলি রাখা হল। এইটাই হচ্ছে সেই সীমারেখা বা হারানদার কথায় মৃত্যুরেখা বলতে পারেন। যার পরে গেলেই মৃত্যু অনিবার্য’ জানায় সঞ্জয়। ঐত্রেয়ী একটু ঢোক গেলে, তারপর বলে... ‘আপনি কোনওদিন পেরিয়ে দেখেননি?’ সঞ্জয় উত্তর দেয়, ‘নাহ্‌, আমার কোনওদিনই অত সাহস ছিল না। তাছাড়া জীবন দারুণ, কত মানুষ, কত ঘটনা, খামোখা মরা যায় কি না দেখতে যাব কেন বলুন।’ ঐত্রেয়ীর নৌকাটায় বসে থাকতে একটু অস্বস্তি হয় এবার, জামাটা টেনে নেয় আবার, সঞ্জয় খেয়াল করে ঐত্রেয়ীর চোখগুলো, একটু অস্থিরতা আর একটু ঔদাসীন্য মাখা এই অলীক নদীর মতোই দুটো চোখ। সঞ্জয় ভাবতে চায়, ‘এই চোখের মৃত্যুরেখা কোনখানে, কতদূর গেলে মৃত্যু অনিবার্য আমার?’ ঐত্রেয়ী জানতে চায় ‘হারানদার এখন কত বয়স?’ সঞ্জয় বলে, ‘পঞ্চাশ ধরুন।’ সঞ্জয় আরও বলে, ‘সেই কারণেই হয়তো এই নদীতে কাউকে নামতে দেখা যায় না। তবে আমি কিন্তু আমার জীবনে বারবার এমন মৃত্যুরেখার টের পেয়েছি জানেন। সে কিন্তু কেবল এই অলীক নদীর নয়, অনেক কিছুর। কোনটার সীমারেখা যে কতদূর তা ঠাহর করাই মুশকিল। কোনও একরকমের যুক্তি তো খাটেও না বলুন?’ এরপর সঞ্জয় তাড়াতাড়ি ঘড়ির দিকে তাকায়। ঐত্রেয়ী আবার বলে ‘কী?’ সঞ্জয় জানায় এইবার তাকে উঠতে হবে। কাজটা এবার না করলেই নয়। ‘কিন্তু আপনার কেউ তো এল না এখনও?’ ঐত্রেয়ী একটু উদাস হয়ে বলে ‘আসছে... থ্যাংক ইউ।’ সঞ্জয় পকেট থেকে একটা চিরকুট বার করে দশটা সংখ্যা লিখে ঐত্রেয়ীর হাতে দিয়ে উঠে পড়ে ‘আমার নম্বর। এমনি দিয়ে রাখলাম। যদি লাগে কখনও।’ সঞ্জয় বাইকে উঠে পড়ে স্টার্ট দিচ্ছে, কিন্তু মাথায় রুমালটা আর বাঁধল না। ঐত্রেয়ী বলে ‘রুমালটা?’ সঞ্জয় জানায় ‘ওটা ঘাম হয় বলে পরি তো। এখন তো বিকেল হয়ে এল।’ তারপরই আঙুল দেখিয়ে দূরের একজনের দিকে তাকিয়ে বলে, ‘ওই যে হারানদা আসছে। একবার শুনে নিতে পারেন পুরো গল্পটা।’ বাইক স্টার্ট দিয়ে শব্দ করে চলে যায় সঞ্জয়। ঐত্রেয়ী সেই চলে যাওয়ার দিকে দেখে। তারপর মনে মনে ভাবে, ‘মৃত্যুরেখা।’ সে কি কেবল মৃত্যুরই? দূরে যাওয়ার কোনও রেখাপথ নেই? কতদূর এগলে, সামনে থেকে কেউ হুস করে দূরে চলে যায়...এভাবে?
নদীর ধারে তখন বিকেল নেমে আসছে, সূর্যাস্ত হবে হবে। দূর থেকে হেঁটে আসছে হারানদা। ঐত্রেয়ী এখন সবটাই জানে, জমিদার, অলীক নদী, হারানদা, মৃত্যুরেখা—সব।’ থ্যাংক্স টু সঞ্জয়’ লোকটা কাছে আসতেই ঐত্রেয়ী উত্তেজিত হয়ে বলল ‘আপনি হারানদা তো?’ প্রৌঢ় উত্তর দেয় ‘কে? হারানদা? তুমি কাকে খুঁজছ মা? আমি তো বরুণ।’ ঐত্রেয়ী অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকে। সঞ্জয় তো স্পষ্ট এই দিকেই দেখাল। ও আবার বলে ‘আপনি মাছ ধরতে আসা এই অলীক নদীর ধারের হারানদা নন?’ লোকটা আরও অবাক হয়ে বলে ‘অলীক নদী? এটা তো ছোট একটা খাঁড়ি মা।’ এবার খুব অসুবিধে হতে থাকে ঐত্রেয়ীর। ঠোঁট কামড়ে বলে ‘আপনি তার মানে জমিদার, মৃত্যুরেখা, এসবের কিছুই জানেন না?’ লোকটা একটু বিরক্ত হয়, তারপর বলে ‘তুমি কী সব বলছ মা, কোথা থেকে এসেছ?’ ঐত্রেয়ী আবার জামাটা টেনে নেয়, তারপর সূর্যাস্তের লাল আকাশের নীচের ওই সোজা দিগন্ত ধরে হাঁটতে থাকে, আরেকটু হাঁটলেই দূরে দেখা যাবে স্টেশন। কিন্তু কিছুতেই এটা মেনে নিতে পারছে না ঐত্রেয়ী। এমনকী হাঁটতে হাঁটতে দুটো ছেলেকে লাফ দিয়ে জলে নামতেও দেখে, ছ্যাঁত করে ওঠে বুক, কিন্তু তারা এক ডুব দিয়েই উঠে আসে। তার মানে এই এতক্ষণ ধরে যা যা শুনল সে, সব মিথ্যে? কিন্তু কেন? দিগন্তকেও এখন কেমন মৃত্যুরেখার মতো লাগছে ঐত্রেয়ীর। ব্যাগ থেকে চিরকুটটা বের করে ওই নম্বরটায় একটা এসএমএস লিখল সে।
‘লোকটি হারানদা নয়। নদীটাও অলীক নয়। এমনকী জমিদারও বোধহয় ছিলেন না কোনওদিন। বাচ্চারা নদীতে স্নান করতে আসে। গল্পে কোথাও কোনও মৃত্যু নেই। সেটা তো ভালোই। কিন্তু একটা দুপুর, গোটা একটা দুপুর এতগুলি মিথ্যে বলে গেলেন কেন? দুপুরের বুঝি মৃত্যু হয় না।’
ঐত্রেয়ীর বেশ চিটেড লাগছে। দারুণ একটা দিন কেমন নষ্ট হয়ে যাচ্ছে মুহূর্তে। সঞ্জয়ের চোখের দিকেও তো তাকিয়ে ফেলেছিল সে। এইবার স্টেশনের আলো দেখা যাচ্ছে। হাঁটতে হাঁটতে অবশেষে স্টেশনে পৌঁছয় ঐত্রেয়ী, ছ’টার ট্রেন। হাতে এখনও সময় আছে একটু। বসে এক জায়গায়। এই ভিড়, কোলাহল, কিছুই ভালোলাগছে না তার। সে কেবল ভাবছে, অন্তত অলীক নদীটাও যদি সত্যি হতো!
মোবাইল বের করে দেখে, ওয়ান নিউ মেসেজ।
‘মিথ্যে বলেছি কে বলল? তাছাড়া আপনি তো এসেছিলেন গল্প খুঁজতে। সত্য খুঁজতে তো নয়। আমি আপনাকে পত্রিকার অফিসে দেখেছি কয়েকবার। গল্প দিতে এসেছিলেন। তাই অচেনা-অজানা এই গ্রামে আপনি যে কেবল গল্পের জন্যই ছুটে এসেছেন সেটা বুঝতে খুব একটা অসুবিধে হয়নি আমার। আমাকে দোষারোপ করলে কিন্তু আমিও করতে পারি, কারণ আপনারও তো কেউ আসার ছিল না।’
এইবার আপন মনে হেসে ফেলে ঐত্রেয়ী। লিখে পাঠায় ‘আসার কথা ছিল তো, গল্পের’ তারপর ট্রেন চলতে শুরু করলে, ব্যাগ থেকে একটা খাতা বের করে লিখতে শুরু করে সে। হাত কেঁপে কেঁপে যায়। স্টেশনে নামবার আগে আবার মেসেজ করল ঐত্রেয়ী।
‘গল্পের নাম রাখলাম ডেডলাইন। মানে আপনার মৃত্যুরেখা।’
সঙ্গে সঙ্গে উত্তর এল ‘বাহ্‌, আচ্ছা, এই গল্পটায় আমায় সহ-লেখক করতে ভুলবেন না যেন!’
ঐত্রেয়ী ঠিকানা চেয়ে রাখে। আর গল্প বেরলে পত্রিকাটা পোস্টে পাঠিয়ে দেয় সঞ্জয়ের ঠিকানায়। দেখা যায় লেখকের নাম সঞ্জয় গঙ্গোপাধ্যায় আর চরিত্রের নাম ঐত্রেয়ী প্রামাণিক। পত্রিকার ভিতরে ছোট্ট একটা নোট রাখে ঐত্রেয়ী। ‘যদি কখনও সেই অলীক নদী খুঁজে পাওয়া যায়। কিংবা সত্যি সত্যি হারানদাকে, সেদিন নাহয় একসঙ্গে মাছ ধরব আমরা। গল্পের ডেডলাইনটা আপনার জন্য মিস করলাম না ঠিকই, কিন্তু লেখক তো আর আমি নই।
ওই যে আপনি বলেছিলেন, সব জায়গারই, সবকিছুরই একটা নিজস্ব মৃত্যুরেখা আছে। তেমনই হয়তো জানেন, এই গল্পটাও। এই গল্পটা যে মুহূর্তে একটা সত্যি থেকে কল্পনা হয়ে গেল, আর সঙ্গে সঙ্গে মরে গেল একটা অলীক নদী, একটা গ্রাম, হারানদার বাবা, হারানদা... জমিদারের বাড়ি, সব, সব্বাই! বাস্তবে হয়তো ছিল না কিছুই, কিন্তু আমি তো বিশ্বাস করেছিলাম বলুন। আর তাই, আমার বিশ্বাসে এরা সব্বাই সেই মৃত্যুরেখাকে পেরিয়ে গেল...কেবল তারপরেও একটা খাঁড়ির ধারে কেবল রয়ে গেলাম আমি শ্রোতা আর আপনি কথক। আমাদের মধ্যিখানে একটা সূর্যাস্তের নিভু নিভু আকাশের দিগন্ত। তাকে মৃত্যুরেখা ভাবতে ইচ্ছে করছে না জানেন। চলুন না, একদিন পেরিয়ে দেখি, মন বলছে... মরব না।’
21st  April, 2019
মেট্রোর দুপুর

সিঁড়ির শেষ ধাপে পৌঁছে দাঁড়িয়ে পড়ল দীপন। কারণ দুটো— এক, এতগুলো সিঁড়ি লাফিয়ে লাফিয়ে উঠে একটু না দাঁড়ালে আর পারা যাচ্ছিল না। দুই, সামনে মধ্য দুপুরের কলকাতা বৈশাখের রোদে ঝলসাচ্ছে। পা রাখার আগে এটাই শেষ সুযোগ। পকেট থেকে সেলফোনটা বের করল। বসে পড়ল মেট্রোর সিঁড়িতে। চোখ রাখল স্ক্রিনে। 
বিশদ

21st  April, 2024
অথ দাম্পত্যচরিতম
সোমজা দাস

যে লোকটা ফুলকুল্লি স্টেশনের লাগোয়া বিন্তিমাসির চায়ের দোকানে প্রতি সপ্তাহের মঙ্গল আর শুক্কুরবার বেলা এগারোটা থেকে সাড়ে বারোটা অবধি বসে থাকে, ওই যে যার মাথায় খড়খড়ে মরচে রঙের চুল, গালে চটামটা লালচে দাড়ি, উদাস চোখ, তার কথা বলছি। সে-ই দশানন দাস।    বিশদ

07th  April, 2024
ছোট গল্প: বন্ধনহীন গ্রন্থি
বিতস্তা ঘোষাল

—অনেকদিন তোমার পোস্ট আমার অ্যাকাউন্টে দেখাচ্ছে না। আজ একজন বললেন, তোমার হ্যাজব্যান্ড চলে গেলেন। তিনি তোমার পেজ শেয়ারও করলেন। আমি জানতাম না অনিকেত তোমার স্বামী। ওঁর সঙ্গে বহুদিন আগে আমার দেখা হয়েছিল। বিশদ

31st  March, 2024
গুপ্ত রাজধানী: দারা শিকোহের গ্রন্থাগার
সমৃদ্ধ দত্ত

রামায়ণকে বুঝতে হলে, হিন্দু শাস্ত্রের অন্তর্নিহিত দর্শনকে আত্মস্থ করতে হলে, যোগ বশিষ্ট পাঠ করা দরকার। আর শুধু পাঠ করা নয়, প্রজাদের মধ্যেও ছড়িয়ে দেওয়া হবে। সম্রাট শাহজাহানের জ্যেষ্ঠ পুত্র দারা শিকোহকে একথা বলেছিলেন দরবারের অন্যতম হিন্দু পণ্ডিত চন্দ্রভান ব্রাহ্মণ। বিশদ

31st  March, 2024
অতীতের আয়না: হারিয়ে যাওয়া হাড়গিলে পাখি
অমিতাভ পুরকায়স্থ

নিউ মার্কেটের পূর্ব ও পশ্চিম গেটের একটু উপরের দিকে সবুজ বৃত্তাকার জায়গাটার দিকে কখনও নজর করেছেন? খেয়াল করলে দেখবেন একটি এমব্লেম বা প্রতীক। কলকাতা পৌরসংস্থার এই মোহরচিহ্ন শহরের প্রতীক হিসেবেও ব্যবহৃত হতো। বিশদ

31st  March, 2024
সম্পর্ক
অর্পিতা সরকার

 

ওদের তিনতলা বাড়ি, বাবা সরকারি চাকুরে। সুস্মিতা ওর বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান। তারপরেও বাবার সাধারণ জীবনযাত্রার কারণেই স্কুল-কলেজে কখনও সেভাবে গর্ব করতে পারেনি সুস্মিতা। ওর বাবার মুখে একটাই কথা, ‘নিজে ইনকাম করো, তারপর বুঝবে রোজগার করতে কত কষ্ট করতে হয়। বিশদ

24th  March, 2024
তবু যেতে হয়

—কাজটা তালে ছেড়েই দিলি সুবি!
সুবি উত্তর দেয় না। মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে থাকে সে। লাঙলপোতা গ্রামের ছোট্ট বাড়ির মাটির বারান্দার এক কোণে দাঁড়িয়ে পায়ের উপর পা ঘষে সুবিনয়। এ তার দীর্ঘ দিনের অভ্যেস। ঘরের ভিতরে তার শয্যাশায়ী মা অলকা। শুয়ে শুয়েই সান্ত্বনা দেন।
বিশদ

17th  March, 2024
গুরুদ্বার সিস গঞ্জ

দিল্লি দেখতে এসে চাঁদনী চক যাওয়া হবে না? তা কীভাবে হয়? অতএব দেশ ও বিদেশের পর্যটকদের অত্যন্ত প্রিয় ভ্রমণস্থল চাঁদনী চক।
বিশদ

17th  March, 2024
দেখা যায় না, শোনা যায় পুতুল বাড়ি
 

আকর্ষণ, বিতর্ক, কৌতূহলের চিরন্তন কেন্দ্রবিন্দু অলৌকিক দুনিয়া। বিশ্বাসী-অবিশ্বাসী দুই শিবিরেরই এব্যাপারে আগ্রহ ষোলোআনা। তাই ভৌতিক সাহিত্য হোক বা সিনেমা, বাজারে কাটতি বরাবরই বেশি।
বিশদ

17th  March, 2024
প্রস্থান
দীপারুণ ভট্টাচার্য

শববাহী গাড়িটা গেটের ভিতর ঢুকতেই অরুণবাবু চারপাশটা দেখলেন। বেঞ্চে পাশাপাশি বসে আছে তার ছেলে নীলাঞ্জন আর বউমা সুতপা। নীলাঞ্জন বড় চাকরি করে। সে ফোন পেয়েছিল অফিসে যাওয়ার পর। সুতপাকে বলেছিল, ‘বেরতে একটু সময় লাগবে। বিশদ

10th  March, 2024
গুপ্ত রাজধানী: জাহান আরার সমাধি
সমৃদ্ধ দত্ত

নভরোজ পরব চলছে। আগ্রা জুড়ে উৎসবের উচ্ছ্বাস। এখন ১৬৪৪। বাদশাহ শাহজাহানের আগ্রা দুর্গে সবথেকে বেশি উজ্জ্বল আয়োজন। স্বাভাবিক। প্রতি বছর নভরোজের সময় আগ্রা দুর্গ এভাবেই সেজে ওঠে। সম্রাটের পুত্রকন্যারা এই সময়টায় পরস্পরের সঙ্গে মিলিত হন। বিশদ

10th  March, 2024
অতীতের আয়না: বাঙালির সার্কাস
অমিতাভ পুরকায়স্থ

১৯২০ সালের ২০ মে। নিজের ‘গ্রেট বেঙ্গল সার্কাস’ নিয়ে সিঙ্গাপুরে ট্যুরে গিয়ে জন্ডিস হয়ে মারা গেলেন প্রিয়নাথ বসু। শুধু উপমহাদেশের সার্কাসের জন্য আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি ও উৎকর্ষের নতুন মানদণ্ড ছাড়াও, বিনোদন শিল্প হিসেবে সার্কাসকে দৃঢ় ভিত দিয়ে গেলেন তিনি। বিশদ

10th  March, 2024
ভোগ
শুচিস্মিতা  দেব

পুতুলকে সদ্যই নিমতিতা থেকে ‘রায়চৌধুরী ভিলা’তে এনেছে তার পিসি সবিতা। সবিতা এই পরিবারের বহু দিনের থাকা-খাওয়ার মাসি। টিভি সিরিয়ালের মতো প্রকাণ্ড বাড়িখানা দেখে পেরথমেই ভেবলেছে পুতুল। ফুটবল মাঠের মতো বৈঠকখানা। বিশদ

03rd  March, 2024
রুপোর চাকু

আলমারিটা খুলতেই দাদার চোখ চলে গিয়েছিল। উপরের তাকে জামা কাপড়ের পাশে খালি জায়গায় শোয়ানো ছিল। বাজপাখির চোখ দাদার।
বিশদ

25th  February, 2024
একনজরে
ময়নার গোড়ামহালে বিজেপি কর্মীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারের ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়াল। মৃতের নাম দীনবন্ধু মিদ্যা(১৮)। বৃহস্পতিবার রাত ১০টা নাগাদ গোড়ামহাল গ্রামে একটি পান বরজের ভিতর থেকে ওই বিজেপি কর্মীর দেহ উদ্ধার হয়। ...

জল্পনাই সত্যি হল। আইএসএলে ব্যর্থতার জেরে কোচ ইভান ভুকোমানোভিচকে ছেঁটে ফেলল কেরল ব্লাস্টার্স। শুক্রবার বিবৃতি দিয়ে তা জানিয়েও দেওয়া হয়। উল্লেখ্য, চলতি আইএসএলে ভালো শুরু করলেও ক্রমশ ছন্দ হারায় দক্ষিণের এই ফ্র্যাঞ্চাইজি দল ...

পুকুর খনন করতে গিয়ে অজানা জন্তুর হাড়গোড় উঠে আসতেই শুক্রবার চাঞ্চল্য ছড়ায় ফালাকাটা ব্লকের দেওগাঁও গ্রাম পঞ্চায়তের বেলতলি ভাণ্ডানি গ্রামে। স্থানীয়দের দাবি, ওই হাড় পূর্ণবয়স্ক গণ্ডারের হতে পারে ...

লোকসভা ভোটের মধ্যেই বড়সড় ঘোষণা একগুচ্ছ দলিত আম্বেদকরপন্থী সংগঠনের। মহারাষ্ট্রে  বিরোধী জোটকে সমর্থন করছে প্রায় ৪৮টি দলিত আম্বেদকরপন্থী (বৌদ্ধ) সংগঠন। বিজেপি বিরোধী ভোটের বিভাজন এড়াতেই তাদের এই সিদ্ধান্ত বলে জানা গিয়েছে। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

পারিবারিক মঙ্গল অনুষ্ঠান ও পুজোপাঠে আনন্দলাভ। বন্ধু বিবাদের যোগ আছে। বিদ্যাচর্চায় উন্নতি। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৫২৬: মুঘল সম্রাট বাবর দিল্লির সুলতানকে পরাজিত করেন
১৬৬৭: অন্ধ এবং দরিদ্র ইংরেজ কবি জন মিলটন তার প্যারাডাইজ লস্ট কাব্যের স্বত্ব ১০ পাউন্ডে বিক্রয় করেন
১৮৭৮: কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় নারীশিক্ষা দানের ব্যবস্থা করে ও নারীদের এন্ট্রান্স পরীক্ষায় বসার সম্মতি প্রদান করে
১৮৮১: দাদাঠাকুর ওরফে শরচ্চন্দ্র পণ্ডিতের জন্ম
১৮৯৭: বাঙালি ঐতিহাসিক, ছন্দবিশারদ ও রবীন্দ্রবিশেষজ্ঞ প্রবোধচন্দ্র সেনের জন্ম
১৯১২ : ভারতীয় অভিনেত্রী, নৃত্যশিল্পী এবং নৃত্য পরিচালক জোহরা সেহগলের জন্ম
১৯৩৫: বাঙালি ভূতত্ববিদ, বিজ্ঞানী ও সমাজকর্মী প্রমথনাথ বসুর মৃত্যু  
১৯৩৬: ইংরেজি গণিতবিদ, জীববিজ্ঞানী ও দার্শনিক  কার্ল পিয়ারসনের মৃত্যু
১৯৬০: সাহিত্যিক রাজশেখর বসু ওরফে ‘পরশুরাম’-এর মৃত্যু
১৯৬২:  বাঙালি রাজনীতিবিদ এ. কে. ফজলুল হকের মৃত্যু
১৯৬৮: দাদাঠাকুর ওরফে শরচ্চন্দ্র পণ্ডিতের মৃত্যু
১৯৭২: অ্যাপোলো ১৬ মহাকাশযান পৃথিবীতে ফিরে আসে
১৯৮১: জেরক্স পার্ক বাজারে আনে কম্পিউটারের মাউস
১৯৮৯: বাংলাদেশে ঘূর্ণিঝড়ে ৫০০ মানুষ নিহত হয়
১৯৯২: রাশিয়া ও অন্যান্য প্রজাতন্ত্রগুলো আইএমএফ ও বিশ্বব্যাংকে যোগ দেয়
১৯৯৩: ডাকারে যাওয়ার পথে লিবরেভিল্লেতে বিমান দুর্ঘটনায় মারা যান জাম্বিয়া জাতীয় ফুটবল দলের সমস্ত সদস্য
১৯৯৪: দক্ষিণ আফ্রিকায় সাধারণ নির্বাচনে প্রথম ভোট দেওয়ার সুযোগ পান কৃষ্ণাঙ্গ নাগরিকরা
২০০৬: নিউ ইয়র্ক সিটিতে যেখানে ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার ছিল সেখানে ফ্রিডম টাওয়ার তৈরির কাজ শুরু হয়
২০০৯: ভারতীয় অভিনেতা, পরিচালক ও প্রযোজক ফিরোজ খানের মৃত্যু
২০১৭: অভিনেতা বিনোদ খান্নার মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮২.৪৮ টাকা ৮৪.২২ টাকা
পাউন্ড ১০২.৫৬ টাকা ১০৫.৯৯ টাকা
ইউরো ৮৭.৯৩ টাকা ৯১.০৫ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৩,১০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৩,৪৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৯,৮৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮১,৮৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮১,৯৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১৪ বৈশাখ, ১৪৩১, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪। তৃতীয়া ৭/৫০ দিবা ৮/১৯। জ্যেষ্ঠা নক্ষত্র ৫৮/১৩ রাত্রি ৪/২৮। সূর্যোদয় ৫/১০/৪৬, সূর্যাস্ত ৫/৫৭/৪৯। অমৃতযোগ দিবা ৯/২৭ গতে ১২/৫১ মধ্যে। রাত্রি ৮/১২ গতে ১০/২৭ মধ্যে পুনঃ ১১/৫৭ গতে ১/২৭ মধ্যে পুনঃ ২/১২ গতে ৩/৪১ মধ্যে। বারবেলা ৬/৪৬ মধ্যে পুনঃ ১/১০ গতে ২/৪৬ মধ্যে পুনঃ ৪/২৩ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ৭/২২ মধ্যে পুনঃ ৩/৪৫ গতে উদয়াবধি। 
১৪ বৈশাখ, ১৪৩১, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪। তৃতীয়া দিবা ৬/৪০। জ্যেষ্ঠা নক্ষত্র রাত্রি ২/৫৩। সূর্যোদয় ৫/১১, সূর্যাস্ত ৫/৫৯। অমৃতযোগ দিবা ৯/২২ গতে ১২/৫১ মধ্যে এবং রাত্রি ৮/১৬ গতে ১০/২৭ মধ্যে ও ১১/৫৬ গতে ১/৫২ মধ্যে ও ২/৩ গতে ৩/৩৩ মধ্যে। কালবেলা ৬/৪৭ মধ্যে ও ১/১১ গতে ২/৪৭ মধ্যে ও ৪/২৩ গতে ৫/৫৯ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/২৩ মধ্যে ও ৩/৪৭ গতে ৫/১১ মধ্যে। 
১৭ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আইপিএল: কেকেআরকে ৮ উইকেটে হারাল পাঞ্জাব

26-04-2024 - 11:31:28 PM

আইপিএল: ২৩ বলে হাফসেঞ্চুরি শশাঙ্ক সিংয়ের, পাঞ্জাব ২৪৬/২ (১৭.৪ ওভার) টার্গেট ২৬২

26-04-2024 - 11:26:31 PM

আইপিএল: ৪৫ বলে সেঞ্চুরি জনি বেয়ারস্টোর, পাঞ্জাব ২১০/২ (১৬.১ ওভার) টার্গেট ২৬২

26-04-2024 - 11:13:32 PM

আইপিএল: ২৬ রানে আউট রাইলি রুশো, পাঞ্জাব ১৭৯/২ (১৩ ওভার) টার্গেট ২৬২

26-04-2024 - 10:56:50 PM

আইপিএল: ২৪ বলে হাফসেঞ্চুরি জনি বেয়ারস্টোর, পাঞ্জাব ১২০/১ (৯.১ ওভার) টার্গেট ২৬২

26-04-2024 - 10:36:30 PM

আইপিএল: ৫৪ রানে আউট প্রভসিমরন, পাঞ্জাব ১০৭/১ (৭.৫ ওভার) টার্গেট ২৬২

26-04-2024 - 10:29:44 PM