সব কর্মেই অর্থকড়ি উপার্জন বাড়বে। কর্মের পরিবেশে জটিলতা। মানসিক উত্তেজনা কমাতে চেষ্টা করুন। ... বিশদ
সম্প্রতি একটি নামজাদা ও জনপ্রিয় আন্তর্জাতিক কার্ড নেটওয়ার্ক সংস্থাকে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক একটি নির্দেশ দিয়েছে। তার ফলে ব্যবসায়িক সংস্থাগুলি নিজেদের মধ্যে ওই সংস্থার কার্ড ব্যবহার করে আপাতত লেনদেন করতে পারবে না। অর্থাৎ কোনও একটি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান অপর কোনও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানকে ওই কার্ডের মাধ্যমে পেমেন্ট দিতে পারবে না। তবে সাধারণ মানুষের পেমেন্টের ক্ষেত্রে কোনও সমস্যা হবে না বলেই দাবি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক। কেওয়াইসি সংক্রান্ত যথাযথ নিয়ম না-মানায় আপাতত এই স্থগিতাদেশ জারি করা হয়েছে। যদিও আরবিআই তাদের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে নেটওয়ার্ক কার্ড সংস্থাটির নাম উল্লেখ করেনি, তবে বণিকমহল বলছে সেটি ‘ভিসা’। এদিকে আরবিআইয়ের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সেখানকার গভর্নরের কাছে প্রতিবাদপত্র পাঠিয়েছে সর্বভারতীয় ব্যবসায়ী সংগঠন ফেডারেশন অব অল ইন্ডিয়া ব্যাপার মণ্ডল।
সরাসরি ‘ভিসা’র নাম উল্লেখ করেই সংগঠনের কর্তারা রিজার্ভ ব্যাঙ্কে চিঠি পাঠিয়েছেন। সেখানে তাঁদের বক্তব্য, দেশের অর্থব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণ করে যে সংস্থা, তাদের নেওয়া এই সিদ্ধান্ত হঠকারী এবং অপরিণত। দায়িত্বজ্ঞানহীন এই সিদ্ধান্তে ব্যবসায়ীদের অকারণে সমস্যায় ফেলা হয়েছে। আচমকা আর্থিক লেনদেন বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ সারা দেশে ব্যবসায়িক লেনদেনে বড় রকমের ধাক্কা দেবে। সংগঠনের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট সুশীল পোদ্দার বলেন, দেশের করদাতারা এই কার্ড ব্যবহার করেন। যেখানে সরকার ডিজিটাল লেনদেনের কথা বলছে, সেখানে আচমকাই ব্যবসায়ী মহলে কার্ডে লেনদেন বন্ধ করে দেওয়া হল! রিজার্ভ ব্যাঙ্কের নীতি নির্ধারণ সংক্রান্ত বিষয়েই তো এবার প্রশ্ন উঠছে। সন্দেহ তৈরি হচ্ছে এই সিদ্ধান্তে। তার কারণ, যাঁরা এই কার্ড ব্যবহার করেন, সেইসব ব্যবসায়ীর কাছে কার্ডটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যদি বন্ধ করতেই হতো, তাহলে গ্রাহকদের কিছুটা সময় দেওয়া যেতে পারত। তার মধ্যেই বিকল্প ব্যবস্থা করতে পারত ব্যবসায়ী মহল। কিন্তু তেমন কোনও সুযোগ তাদের দেওয়া হয়নি। এতে সবচেয়ে বেশি ধাক্কা খাবে ছোট ব্যবসা। সুশীলবাবুদের দাবি, সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করুক আরবিআই।