পারিবারিক মঙ্গল অনুষ্ঠান ও পুজোপাঠে আনন্দলাভ। বন্ধু বিবাদের যোগ আছে। বিদ্যাচর্চায় উন্নতি। ... বিশদ
যেহেতু দেশের সর্বত্র ব্যাঙ্ক পরিষেবা নেই, তাই ঋণ নেওয়ার ইচ্ছা থাকলেও ব্যাঙ্কের দ্বারস্থ হওয়ার সুযোগ নেই বহু প্রান্তিক মানুষের। তাছাড়া ব্যাঙ্ক ঋণের নিয়মে জটিলতা থাকার অজুহাতে অনেকেই ভরসা করেন মাইক্রোফিনান্স সংস্থাগুলিরর উপর। মাইক্রোফিনান্স সংস্থাগুলি ঋণ পায় ব্যাঙ্কগুলির থেকে। ব্যাঙ্ক কোন ক্ষেত্রে সর্বাগ্রে ঋণ দেবে, তার একটি তালিকা আছে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের। মাইক্রোফিনান্স সংস্থাগুলি তাদের আওতায় পড়ে। সংস্থাগুলির অভিযোগ, রিজার্ভ ব্যাঙ্কের নিয়ম মতো তারা ব্যাঙ্কের খাতায় ‘প্রায়োরিটি লেন্ডিং’য়ের আওতায় পড়লেও, তাদের প্রতি আর্থিক বঞ্চনা করা হয় অনেক ক্ষেত্রেই।
দেশের মাইক্রোফিনান্স সংস্থাগুলির মূল সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব মাইক্রোফিনান্স ইনস্টিটিউশনসের অন্যতম সদস্য এবং ভিলেজ ফিনান্সিয়াল সার্ভিসেসের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও সিইও কুলদীপ মাইতির কথায়, হোম লোন বা এডুকেশন লোনের মতোই আমরা ব্যাঙ্কের প্রায়োরিটি লেন্ডিংয়ের আওতায় পড়ি। কিন্তু এই ধরণের ঋণগ্রহীতারা যে সুদের হারে ঋণ পান, আমরা তা পাই না। আমাদের বক্তব্য, ব্যাঙ্ক যদি আমাদেরও সেই সুযোগ করে দেয়, তাহলে আমরা তা গরিব মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে পারব। আমরা যাঁদের হাতে ঋণ তুলে দিই, তাদের থেকে যেহেতু কোল্যাটারাল হিসেবে কোনও সম্পত্তি বন্ধক রাখি না, তাই আমরা অনেক বেশি ঝুঁকি বহন করি। তাই আমাদের মূলধন জোটানোর খরচ যদি কম হয়, তাহলে গোটা শিল্পের কাছেই তা সদর্থক ভূমিকা নেবে। কুলদীপবাবুর কথায়, এবার বর্ষা ততটা ভালো হবে না বলেই গোটা দেশে আশঙ্কা রয়েছে। সেক্ষেত্রে চাষাবাদ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা আছে। বহু কৃষক মাইক্রোফিনান্সের উপর নির্ভরশীল। তাই চড়া সুদ তাদের বিপদ ডেকে আনতে পারে। এবারের বাজেটে সরকার এই সঙ্কটের দিকে আগাম নজর দেবে, চাইব আমরা।