বিমা, মেয়াদি সঞ্চয় বা শেয়ার থেকে অর্থকড়ি আয় বাড়বে। ঝামেলা থেকে দূরে থাকুন। ধর্মে মতি। ... বিশদ
১৯৩৮ সালের ৫ নভেম্বর রোজারিওয় জন্মগ্রহণ করেন মেনোত্তি। এই শহরেই পৃথিবীর আলো দেখেছেন চে গেভারা এবং লিও মেসি। ছোট থেকেই ফুটবলের প্রতি বিশেষ অনুরাগ ছিল মেনোত্তির। রোজারিও সেন্ট্রাল, রেসিং ক্লাব, বোকা জুনিয়র্স ছাড়াও ব্রাজিলের বিশ্বখ্যাত স্যান্টোসের জার্সি তাঁর গায়ে উঠেছে। পেলের পাশে খেলার অভিজ্ঞতা মেনোত্তিকে সমৃদ্ধ করেছে। আর্জেন্তিনার জাতীয় দলের হয়ে ১১টি ম্যাচে দু’টি গোল রয়েছে তাঁর।
কোচিংয়ে হাতেখড়ি নিউওয়েলস ওল্ড বয়েজে। আর্জেন্তিনার দায়িত্ব পান ১৯৭৪’এ। বছর চারেক পরেই দেশকে বিশ্বকাপ জেতান তিনি। তবে এই প্রতিযোগিতায় তিনি স্কোয়াডে রাখেননি ডিয়েগো আর্মান্দো মারাদোনাকে। কারণ মেনোত্তি বুঝেছিলেন, ১৭ বছরের ফুটবলারকে এখনই বিশ্বকাপে খেলানো উচিত নয়। বিপক্ষ ডিফেন্ডারদের ‘রাফ অ্যান্ড টাফ’ ট্যাকল অকালেই শেষ করে দিতে পারে মারাদোনার ভবিষ্যৎ। সেই সময় ফুটবলের রাজপুত্র তাঁর প্রতি তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন। ১৯৮২ বিশ্বকাপে মারাদোনাকে ব্যবহার করেন তিনি। সেবার ব্রাজিলের কাছে ১-৩ ব্যবধানে হেরে দ্বিতীয় রাউন্ড থেকে বিদায় নেয় আর্জেন্তিনা। লাল কার্ড দেখেছিলেন ডিয়েগো। বিশেষজ্ঞদের ধারণা, ১৯৭৮ সালে বিশ্বকাপে মারাদোনা খেললে তাঁর পক্ষে ১৯৮৬’তে মহানায়ক হওয়া সম্ভব হতো না। উল্লেখ্য, ১৯৭৯ সালে যুব বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হয় মেনোত্তির প্রশিক্ষণাধীন আর্জেন্তিনা। সেই দলের মধ্যমণি ছিলেন মারাদোনা।
কেমন কোচ ছিলেন মেনোত্তি? এক সাক্ষাৎকারে আর্জেন্তিনার বিশ্বকাপজয়ী ফুটবলার জর্জ ভালদানোর বিশ্লেষণ, ‘ফুটবল ছিল তাঁর ধ্যানজ্ঞান। অ্যাটাকিং ফুটবলে সাফল্য আনার জন্য ঠিক কী প্রয়োজন, তা মেনোত্তির থেকে ভালো কেউই বুঝতেন না। আপফ্রন্টের সঙ্গে মিডফিল্ডারদের টেলিপ্যাথিক বোঝাপড়া গড়ে তোলাই ছিল তাঁর মূলধন। মেনোত্তির ফুটবলবোধে নিজেদের রাঙিয়েছেন কার্লোস বিলার্দো-আলেজান্দ্রো সাবেয়ারা।’
আর্জেন্তিনা জাতীয় দল ছাড়াও একাধিক ক্লাবের দায়িত্ব সামলেছেন তিনি। তারমধ্যে উল্লেখযোগ্য বার্সেলোনা, বোকা জুনিয়র্স, রিভার প্লেট, সাম্পদোরিয়া, আতলেতিকো মাদ্রিদ। কোচিং ছাড়ার পর দেশের ফুটবল ডিরেক্টর পদ অলঙ্কৃত করেন মেনোত্তি। তাঁর প্রয়াণে শোকস্তব্ধ বিশ্ব ফুটবলমহল।