বিমা, মেয়াদি সঞ্চয় বা শেয়ার থেকে অর্থকড়ি আয় বাড়বে। ঝামেলা থেকে দূরে থাকুন। ধর্মে মতি। ... বিশদ
রান তাড়ার শুরুটাই ভালো হয়নি লখনউয়ের। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে মিচেল স্টার্কের বলে আউট হন ইমপ্যাক্ট সাব অর্শিন কুলকার্নি (৯)। অসাধারণ দক্ষতায় তাঁর ক্যাচ তালুবন্দি করেন রমনদীপ। অধিনায়ক লোকেশ রাহুল ও মার্কাস স্টোইনিস অবশ্য কিছুক্ষণ লড়াই চালিয়ে যান। কিন্তু লোকেশ (২৫) ফিরতেই তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে লখনউয়ের প্রতিরোধ। ৭০ রানে দ্বিতীয় উইকেট পড়ার পর নামে ধস। স্টোইনিস (৩৬), দীপক হুডা (৫), নিকোলাস পুরান (১০),আয়ুশ বাদোনি (১৫),অ্যাশটন টার্নাররা (১৬) পরপর আউট হন। নাইট বোলারদের মধ্যে হর্ষিত রানা (৩-২৪), বরুণ চক্রবর্তী (৩-৩০), আন্দ্রে রাসেল (২-১৭), মিচেল স্টার্ক (১-২২), সুনীল নারিনরা (১-২২) সাফল্য পান।
ম্যাচের প্রথমার্ধে অবশ্য নাইটদের ব্যাটে মজুত ছিল ভরপুর বিনোদন। ৩৯ বলে ২০৭.৬৯ স্ট্রাইক রেটে নারিন করেন ৮১। গত মরশুমে নাইটদের ডুবিয়েছিল ওপেনিং জুটি। মেন্টর হয়ে আসার পর গৌতম গম্ভীর প্রথমেই জোর দিয়েছিলেন ওপেনিং মজবুত করার দিকে। ফিল সল্টের সঙ্গে নারিনকে দিয়ে ইনিংস শুরু করানোই বদলেছে কলকাতাকে। প্রায় প্রতি ম্যাচেই ঝোড়ো শুরু করছেন দু’জনে। এদিনও মাত্র ২২ বলে দলকে পঞ্চাশে পৌঁছে দিলেন তাঁরা। তবে সল্ট (১৪ বলে ৩২) বেশিক্ষণ টেকেননি। ৪.২ ওভারে স্কোরবোর্ড তখন ৬১-১।
এরপর অংক্রিশ রঘুবংশীকে সঙ্গে নিয়ে দলকে টানেন নারিন। দ্বিতীয় উইকেটে ৪৬ বলে দু’জনে যোগ করেন ৭৯। এবারের প্রতিযোগিতায় তৃতীয় অর্ধশতরানে পৌঁছতে নারিন নেন মাত্র ২৭ বল। একসময় এই আসরে তাঁর দ্বিতীয় শতরান নিশ্চিত দেখাচ্ছিল। কিন্তু তা হয়নি। তাঁর ইনিংসে ছিল সাতটা ছক্কা ও ছয়টি চার।
তাৎপর্যের হল, এখনও পর্যন্ত নাইটদের সবচেয়ে সফল ক্রিকেটার নারিনই। গত তিন মরশুমে তাঁর গড় ছিল দশেরও কম। সেই নারিনের ব্যাটেই এবার এসেছে ৪৬১। অরেঞ্জ ক্যাপের দৌড়ে বিরাট কোহলি (৫৪২) ও ঋতুরাজ গায়কোয়াড়ের (৫৪১) পর তৃতীয় স্থানে তিনি। পার্পল ক্যাপ পাওয়ার দৌড়েও রয়েছেন নারিন। বল হাতে এই ম্যাচের পর তাঁর সংগ্রহ ১৪ উইকেট। বোলিং-ব্যাটিং সবেতেই হয়ে উঠেছেন দলের সেরা পারফর্মার। এছাড়া কেকেআরের হয়ে সবচেয়ে বেশি ছক্কা তাঁর দখলেই। শিবিরের একমাত্র শতরানকারীও নারিন। সেরা ইকনমি রেটও তাঁর।
নারিন আর সল্ট ছাড়াও রান পান অংক্রিশ (২৬ বলে ৩২), রমনদীপ সিং (৬ বলে অপরাজিত ২৫), অধিনায়ক শ্রেয়স আয়ার (১৫ বলে ২৩)। তবে আন্দ্রে রাসেল (১২) ও রিঙ্কু সিং (১৬) হতাশ করেন। রমনদীপের দাপটে যদিও শেষ দুই ওভারে ওঠে ২৫। লখনউয়ের বোলারদের মধ্যে সফলতম নবীন উল-হক (৩-৪৯)। উইকেট পান রবি বিষ্ণোই (১-৩৩), যশ ঠাকুরও (১-৪৬)। চোটের জন্য চলতি আইপিএল থেকে ছিটকে গিয়েছেন স্পিডস্টার মায়াঙ্ক যাদব। এদিন তাঁর পরিবর্তে লখনউয়ের এগারোয় আসেন যশ ঠাকুর। বাঁ হাতি পেসার মহসিন খান আবার চোটের জন্য দু’ওভারের বেশি বল করতে পারেননি। তাঁর জায়গায় কনকাসন সাব হয়ে আসেন যুধবীর সিং। দুই ওভারে ২৪ রান দিয়ে একটি উইকেটও নেন তিনি।