বিমা, মেয়াদি সঞ্চয় বা শেয়ার থেকে অর্থকড়ি আয় বাড়বে। ঝামেলা থেকে দূরে থাকুন। ধর্মে মতি। ... বিশদ
এই পরাজয়ের দায় কার? কেন ঘরের মাঠে দর্শকঠাসা গ্যালারির সামনে মুখ খুবড়ে পড়ল মোহন বাগান? প্রশ্ন দুটো সহজ আর উত্তরটাও জানা। তাসের ঘরের মতো ভঙ্গুর রক্ষণই ডুবিয়ে দিল পালতোলা নৌকা। ফাইনালে অজানা কারণে শুরু থেকেই গুটিয়ে ছিল হাবাসের দল। মুম্বইয়ের প্রেসিং ফুটবলের পাল্টা দিতেই দেখা গেল না কাউকোদের। আর শুভাশিস-ইউস্তেদের নিয়ে যত কম কথা বলা যায় ততই ভালো। বিরতির আগে কামিংসের গোল লিড এনে দিলেও তা ধরে রাখতে ব্যর্থ লিগ-শিল্ড চ্যাম্পিয়নরা। পক্ষান্তরে, পরিকল্পিত ফুটবল খেলে মোহন সমর্থকদের স্বপ্ন ভেঙে চুরমার করল মুম্বই।
গ্যালারি তৈরি ছিল একরাশ আশা বুকে নিয়ে। মুম্বইয়ের অর্ধে বল ঢুকলেই গর্জে উঠেছেন সমর্থকরা। কিন্তু শনিবার তাঁদের অনুপ্রেরণা যে মাঠ অবধি পৌঁছয়নি। তাই প্রিয় দল দ্বিতীয় গোল হজম করার পরই অনেকে ভগ্ন হৃদয়ে মাঠ ছেড়ে বাড়ির পথ ধরেন।
তিন ডিফেন্ডারেই দল সাজিয়েছিলেন হাবাস। বিপক্ষের প্রান্তিক আক্রমণ রুখতে দুই উইং হাফকে তিনি পূর্ণ স্বাধীনতা দেননি। আর গরম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কাউকো ছন্দ হারানোয় মোহন মাঝমাঠ অগোছাল ছিল। অনিরুদ্ধ থাপা এবং দীপক টাংরির মধ্যে ধারাবাহিকতার অভাব স্পষ্ট। দিমিত্রি পেত্রাতোস এদিন সেভাবে বলই পেলেন না। আর তাই মুম্বইয়ের কাছে বশ মানতে হল হাবাস-ব্রিগেডকে।
মাঠ ছেড়ে বেরনোর সময় দেখা এক প্রবীণ সমর্থকের সঙ্গে। হাওড়ায় বাড়ি। ক্যাব বুক করা হয়ে গিয়েছে। এখন গাড়ি আসার অপেক্ষায়। পাশে দাঁড়াতেই বলে উঠলেন, ‘খেলায় হারজিত থাকে। এই ফল অগৌরবের নয়। দিনটা আমাদের ছিল না। খারাপ লাগছে অবশ্যই। তবে ভেঙে পড়িনি। সাম্প্রতিক অতীতে বেঙ্গালুরু এফসি দেশের সেরা দল ছিল। এখন? হারিয়ে গিয়েছে মশাই। মুম্বইয়ের অবস্থাও একইরকম হবে। কিন্ত আমরা ছিলাম, আছি, থাকব।’