বিমা, মেয়াদি সঞ্চয় বা শেয়ার থেকে অর্থকড়ি আয় বাড়বে। ঝামেলা থেকে দূরে থাকুন। ধর্মে মতি। ... বিশদ
হাবাস আসার পর আমাদের মানসিকতায় বদল ঘটেছে। প্রত্যেকেই মাঠে নেমে সেরাটা উজাড় করে দিতে তৈরি। এই দলে গোল করার একাধিক লোক রয়েছে। তাই ব্যক্তিগত পরিসংখ্যান নিয়ে খুব একটা ভাবছি না। সবুজ-মেরুন জার্সিতে কেরিয়ারের সেরা সময় কাটাচ্ছি। শনিবার ফাইনালেও সেই ছন্দ ধরে রাখতে চাই। সমর্থকদের মুখে হাসি ফোটানোই একমাত্র লক্ষ্য।
শুভাশিস বসু
মুম্বইকে হারিয়ে লিগ-শিল্ড জিতেছি। তবে সেই ম্যাচ এখন অতীত। আমাদের সামনে আরও এক ট্রফি জেতার সুযোগ রয়েছে। শনিবার মাঠে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করব। তিন বছর আগে মুম্বইয়ের কাছে ফাইনালে হেরে স্বপ্নভঙ্গ হয়েছিল। সেই হার এখনও দগদগে। এবার ম্যাচ জিতে ক্ষতে প্রলেপ দিতে চাই। ছাংতে অবশ্যই ভালো ফুটবলার। তবে ওকে আটকাতে পারব।
সাহাল আব্দুল সামাদ
ট্রফি জয়ের লক্ষ্য নিয়েই মোহন বাগানে যোগ দিয়েছিলাম। ইতিমধ্যেই মরশুমে জোড়া খেতাব জয়ের স্বাদ পেয়েছি। তবে এখানেই থামতে চাই না। মুম্বইকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হওয়াই এখন লক্ষ্য। চোট সারিয়ে গত ম্যাচে নেমে গোল পেয়েছি। তবে সেটা বড় কথা নয়। দলের জয়ে অবদান রাখতে পেরে আমি আপ্লুত। ফাইনালে সুযোগ পেলে ফের সেরাটা মেলে ধরতে তৈরি।
অ্যালবার্ট নোগুয়েরা
গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে মোহন বাগানের কাছে হেরে লিগ-শিল্ড খেতাব হাতছাড়া হয়েছিল। তাই শনিবার আমাদের কাছে প্রতিশোধের ম্যাচ। দলের প্রত্যেকে সেরাটা মেলে ধরতে তৈরি। ফাইনালে কোনও ফেভারিট হয় না। এই লড়াই সবসময় ৫০-৫০। ঘরের বাইরে খেললে সমর্থকদের চাপ থাকবে। যাবতীয় প্রতিবন্ধকতা সামলে সেরাটা মেলে ধরতে হবে।
রাহুল ভেকে
অতীতে ইস্ট বেঙ্গল জার্সিতে খেলার সুবাদে কলকাতা ফুটবল অনুরাগীদের আবেগ আমার অজানা নয়। তবে এখন আমি মুম্বইয়ের ফুটবলার। চলতি মরশুমে এর আগে তিনবার মোহন বাগানের মুখোমুখি হয়েছি। প্রতিবারই কঠিন লড়াইয়ের সাক্ষী থেকেছেন ফুটবলপ্রেমীরা। এবারও তার অন্যথা হবে না। রক্ষণ অক্ষত রেখে ট্রফি জেতাই একমাত্র লক্ষ্য।
জয়েশ রানে
প্রত্যেক ফুটবলার চায় বেশি সময় মাঠে কাটাতে। গত কয়েক ম্যাচে সুযোগ পেয়ে সেরাটা মেলে ধরেছি। ফাইনালেও তার কোনও পার্থক্য ঘটবে না। কোচ হাবাসের কোচিংয়ে খেলেছি। ওঁর উপস্থিতি অনেকটাই পার্থক্য গড়ে দেয়। পরিসংখ্যানই তা বলে দিচ্ছে।
তবে আমাদের লড়াইটা মোহন বাগান দলের বিরুদ্ধে। ১১ বনাম ১১’এর লড়াইয়ে শেষ হাসি হাসতে চাই।
আন্তোনিও লোপেজ হাবাস
ফেভারিট তকমা নিয়ে ফাইনালে নামতে চাই না। লিগের ম্যাচ আর খেতাবি লড়াইয়ের মধ্যে বিস্তর ফারাক। আমাদের প্রধান লক্ষ্য ছিল লিগ-শিল্ড জেতা। সেই কাজে সফল হয়েছি। মরশুমের শুরুতে ডুরান্ড কাপও এসেছে। এবার শনিবার আইএসএল কাপ জিতলে বৃত্তটা সম্পূর্ণ হবে। ঘরের মাঠে ফাইনাল খেলবে মোহন বাগান। প্রায় ৬২ হাজার সমর্থক আমাদের জন্য গলা ফাটাবেন। আমি কোচিং কেরিয়ারের শেষ লগ্নে রয়েছি। শনিবার আইএসএলের অন্যতম দুই শক্তিশালী দল খেলবে। মুম্বই গত কয়েকটি মরশুমে অনেক সাফল্য পেয়েছে। ২০২০-২১ সালে ফাইনালে ওরা হারিয়েছিল আমাদের। তবে শনিবারের ম্যাচকে বদলা হিসেবে ভাবছি না। সেটা তো মাফিয়াদের কাজ। ৯০ মিনিটের মধ্যেই খেতাবি লড়াই জিততে চাই।
পিটার ক্র্যাটকি
মাঝ-মরশুমে দলের দায়িত্ব নেওয়ার পর মুম্বইকে ফাইনালে তুলেছি। দারুণ মরশুম কাটছে। তবে সব কৃতিত্ব ফুটবলারদের। ওদের জন্য আমি গর্বিত। মোহন বাগানের বিরুদ্ধে লিগ-শিল্ড নির্ধারণের ম্যাচে বেশ কিছু ভুলের মাশুল গুনতে হয়েছিল। ফাইনালে তার পুনরাবৃত্তি ঘটানো চলবে না। আক্রমণাত্মক ফুটবল মেলে ধরারই পরিকল্পনা রয়েছে। প্লেয়াররা প্রত্যেকেই জানে এই ম্যাচের গুরুত্ব কতটা। কার্ড সমস্যায় ফন নিফ এই ম্যাচে নেই। আকাশ মিশ্রেরও চোট সারেনি। তবে এই দু’জনের অভাব ঢাকার মতো প্লেয়ার রয়েছে। মোহন বাগান খুবই শক্তিশালী প্রতিপক্ষ। লিস্টন, মনবীর, দিমিত্রিদের মতো ফুটবলার রয়েছে। বক্সের বাইরে থেকে দিমিত্রির দূরপাল্লার শটগুলো খুবই বিপজ্জনক। ওকে জায়গা দেওয়া চলবে না। কোচ হাবাসও বেশ অভিজ্ঞ। ভর্তি গ্যালারির সামনে সেরাটা উজাড় করে দিতে বাড়তি উত্সাহী হবে ফুটবলাররা।