পারিবারিক মঙ্গল অনুষ্ঠান ও পুজোপাঠে আনন্দলাভ। বন্ধু বিবাদের যোগ আছে। বিদ্যাচর্চায় উন্নতি। ... বিশদ
ওপেনিং জুটিতে রহিতের সঙ্গে ১১৮ রান যোগ করেন শিখর। বেশ আত্মবিশ্বাসী দেখাচ্ছিল তাঁকে। শেষ পর্যন্ত ৩১ রানে আমিনুলের বলে তিনি বোল্ড হন। রহিতের গড়ে দেওয়া ভিতেই লোকেশ রাহুল (৮ অপরাজিত) ও শ্রেয়াস আয়ার (২৪ অপরাজিত) হাসতে হাসতে দলকে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে দেন। ২৬ বল বাকি থাকতেই জয়ের কড়ি জোগাড় করে নেয় ভারত।
প্রথমে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশ শুরুটা বেশ ভালোই করেছিল। ওপেনিং জুটিতে লিটন দাস ও মহম্মদ নায়িম পাঁচ ওভারে ৪১ রান তুলে চাপে ফেলে দিয়েছিলেন ভারতকে। তখন অবশ্য মনে হয়নি, টাইগার্সরা ১৬০ রানের গণ্ডি টপকাতে ব্যর্থ হবে। লিটন দু’বার জীবন পান। ষষ্ঠ ওভারে যুজবেন্দ্র চাহালের তৃতীয় বলে স্টেপ আউট করে খেলতে গিয়ে স্টাম্পড হন লিটন। প্রথম শিকার নিশ্চিত হওয়ার আনন্দে উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েছিলেন চাহাল। কিন্তু কে জানত, ক্রিকেট দেবতা অন্য কিছু চাইছেন। রিপ্লেতে দেখা যায়, উইকেটরক্ষক ঋষভ পন্থ বলটি গ্রিপ করার সময় তাঁর গ্লাভস স্টাম্পের ভিতরে ছিল। রিপ্লে দেখে টিভি আম্পায়ার নট-আউট দেন। লিটন সেই সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি। পরের ওভারেই সহজ ক্যাচ তুলেছিলেন। যা ধরতে পারেননি রহিত। শেষ পর্যন্ত রান আউট হয়ে মাঠ ছাড়েন বাংলাদেশের ওপেনারটি। এক্ষেত্রে ঋষভ আগের ভুলের প্রায়শ্চিত্ত করেন।
তাড়াহুড়ো করতে গিয়ে নায়িম ৩৬ রানে আউট হন। গত ম্যাচের নায়ক মুশফিকুর রহিমকে (৪) দ্রুত সাজঘরে ফেরান চাহাল। বাংলাদেশের মিডল অর্ডারে ধস নামাতে সফল হন ভারতীয় স্পিনাররা। সৌম্য সরকারকে (২০) আউট করেন চাহাল। তিনি এটাও বুঝিয়ে দিলেন, টি-২০ বিশ্বকাপ দলে কেন তাঁকে দরকার। সৌম্যকে স্টাম্পিংয়ের সময় ঋষভ বলটি কোথায় ধরেছেন, তা রিপ্লেতে দেখেন টিভি আম্পায়ার। এক্ষেত্রে পন্থ নয়, ভুল করে বসেন টিভি আম্পায়ারই। প্রথমে নট-আউট দিয়ে অবশ্য সঙ্গেসঙ্গে তিনি ভুল শুধরে নেন। ক্যাপ্টেন মাহমুদুল্লাহ ৩০ রান করলেও বাংলাদেশের বাকি ব্যাটসম্যানরা শেষ দিকে দ্রুত গতিতে রান যোগ করতে পারেননি। ভারতীয় পেসার খলিল আহমেদ ৪ ওভারে ৪৪ রান দিয়ে আরও চাপে পড়ে গেলেন।