বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
বিশ্বকাপে টিম ইন্ডিয়া এখনও অবধি অপরাজিত। চার ম্যাচ খেলে ভারতের সংগ্রহ সাত পয়েন্ট। কোহলিরা হারিয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকা, অস্ট্রেলিয়া, পাকিস্তানকে। বৃষ্টিতে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ম্যাচটি ভেস্তে না গেলে ভারত হয়তো আরও ভালো জায়গায় থাকত। তবে কোহলিদের সেমি-ফাইনালে ওঠার পথ অনেকটাই প্রশস্ত হয়েছে পাকিস্তানকে হারানোর পর। এরপর আফগানিস্তান, শ্রীলঙ্কার মতো দলের বিরুদ্ধে খেলবে ‘মেন ইন ব্লু’। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও বাংলাদেশ ম্যাচেও নিজেদের রেকর্ড বুক উজ্জ্বল করার সুযোগ পাবেন রহিত শর্মারা। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে লড়াইটা হয়তো সেমি-ফাইনালে ওঠার পথে সবথেকে কঠিন চ্যালেঞ্জ হতে যাচ্ছে ভারতের সামনে। তবে প্রতিটি ম্যাচেই ভারতের খেলায় ‘টিম গেম’ ফুটে উঠছে। ক্রিকেটারদের মধ্যে বোঝাপড়াও খুবই ভালো। না হলে পাকিস্তানের মতো হাইভোল্টেজ ম্যাচে দীর্ঘদিনের সঙ্গী শিখর ধাওয়ান না থাকা সত্ত্বেও রহিত শর্মার পারফরম্যান্সে কোনও প্রভাব ফেলেনি। বরং লোকেশ রাহুল নতুন ব্যাটিং পজিশনে অসাধারণ দক্ষতার পরিচয় রেখেছেন। ভারতের রিজার্ভ বেঞ্চ কতটা মজবুত, তা এই ঘটনাতেই প্রমাণিত। তবে ভুবনেশ্বর কুমার পাকিস্তানের বিরুদ্ধে হ্যামস্ট্রিংয়ে চোট পেয়েছেন। তিনি আপাতত তিন ম্যাচ মাঠের বাইরে। এবারের বিশ্বকাপে মহম্মদ সামি হয়তো প্রথম ম্যাচটি খেলবে রশিদ খানদের বিরুদ্ধে।
শুধু গতে বাঁধা অনুশীলন নয়, ক্রিকেটারদের মধ্যে ‘বন্ডিং’ আরও মজবুত করতে ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্ট নানা পন্থা অবলম্বন করছে। প্র্যাকটিসের ফাঁকে ক্রিকেটারদের পেন্ট বল খেলতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। আফগানিস্তান ম্যাচের আগে বেশি কিছুটা সময় হাতে থাকায় ক্রিকেটারদের নিজেদের মতো করে ঘোরার সুযোগ দেওয়া হয়েছে।
ভারতীয় দলের ‘লিডারশিপ গ্রুপ’ গড়ে তোলা হয়েছে। যার নেতৃত্বে আছেন ক্যাপ্টেন বিরাট কোহলি, ভাইস-ক্যাপ্টেন রহিত শর্মা ও প্রাক্তন ক্যাপ্টেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। এঁদের তিন জনের অধীনে চারজন করে ক্রিকেটারকে রাখা হচ্ছে। তাদের পরিচালনার দায়িত্ব তিন জনের। বিসিসিআইয়ের এক শীর্ষ কর্তা বলেছেন, ‘দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ক্রিকেটার আছে ভারতীয় দলে। আমরা তাই তিনটি আলাদা গ্রুপে ভাগ করেছি। যাতে বিভিন্ন অঞ্চলের ক্রিকেটারদের এক সঙ্গে সময় কাটানোর সুযোগ করে দেওয়া যায়। যেমন বিজয় শঙ্কর ও দীনেশ কার্তিক একই জায়গা থেকে এসেছে। ওদের খাওয়া-দাওয়ার ধরন একই রকম। একই গ্রুপে থাকায় বোঝাপড়া ওদের আরও মজবুত হবে।’
ভারতীয় ক্রিকেটাররা অফ ডে’তে ফান গেমেও মেতে উঠছেন। কখনও লিপস্টিক লাগিয়ে কাউকে নাচতে বলা হচ্ছে শোলে সিনেমার বাসন্তীর মতো করে। আবার কেউ গেমে হারলে তাঁকে শর্টসের উপর নেক টাই বেঁধে টিম হোটেল থেকে অ্যাক্টিভিটি রুমে যেতে বলা হচ্ছে। বোর্ডের এক শীর্ষ কর্তা বলেন ‘সবটাই মজা। যা ক্রিকেটাররা দারুণ উপভোগ করছে।’