বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
গত ১১ মার্চ সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে কোচ হিসেবে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করেছেন জিদান। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী বার্সেলোনার কাছে পরপর দু’বার হেরে কোপা দেল রে থেকে ছিটকে যাওয়ার পরই কোচ বদলের হাওয়া উঠেছিল মাদ্রিদ জুড়ে। এরপর উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে ছুটি হওয়ার পরেই আর ঝুঁকি নেননি ফ্লোরেন্তিনো পেরেজ। জিজুর হাতেই সঁপে দিয়েছেন রিয়ালের দায়িত্ব। প্রথম ইনিংসের মতো এবারও কি ঈর্ষণীয় সাফল্য আশা করতে পারেন অনুরাগীরা?
রিয়ালের কোচের দায়িত্বে প্রায় দু’বছর ছিলেন কার্লো আনসেলোত্তি। সহকারী হিসেবে তিনি খুব কাছ থেকেই দেখেছেন ফরাসি কিংবদন্তিকে। এই প্রসঙ্গে অভিজ্ঞ ইতালিয়ান কোচ বলেছেন, ‘পরিস্থিতি জেনেশুনেই চুক্তি করেছে জিদান। চলতি মরশুমের ব্যর্থতার জন্য কেউ ওর দিকে আঙুল তুলতে পারবে না। কারণ, সান্তিয়াগো সোলারির আমলেই কোপা দেল রে এবং উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে বিদায় নিয়েছে ক্লাব। আর লা লিগাতেও একাধিক পদস্খলন হয়েছে জুলেন লোপেতেগুই এবং সোলারির সময়েই। তাই মরশুমের শেষ পর্বে নিশ্চিন্তে কাজ করতে পারবে জিদান। আগামী মরশুমের জন্য নির্দিষ্ট পরিকল্পনা তৈরি করতেও ওর অসুবিধা হবে না। আগামী কয়েক মাসে ফুটবলারদের পারফরম্যান্স দেখে নিয়ে জিদান কর্তাদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে পারবে। আমার তো মনে হয় রিয়াল মাদ্রিদ ও জিদান, একে অপরের পরিপূরক। সান্তিয়াগো বার্নাব্যুর প্রতিটি ঘাস ওকে চেনে। ঠিক তেমনি, এই ক্লাবের খুঁটিনাটি সম্পর্কে ওয়াকিবহাল জিজু। ওর হাত ধরেই আবার সাফল্যের চেনা পথে ফিরবে রিয়াল মাদ্রিদ। আগামী মরশুমেই তার প্রমাণ পাবে বিশ্ব ফুটবল।
আগামী মরশুম নিয়ে অবশ্য এখনই কিছু ভাবতে চান না জিদান। তাঁর প্রাথমিক লক্ষ্য, ফুটবলারদের মধ্যে জয়ের অভ্যাস গড়ে তোলা। এপ্রিলের মাঝামাঝি থেকেই তিনি ফুটবলার চয়নে জোর দেবেন। তবে চেলসি থেকে ইডেন হ্যাজার্ডকে নিয়ে আসার জন্য তিনি ইতিমধ্যেই রিয়াল প্রেসিডেন্টকে বলে রেখেছেন। পাশাপাশি আয়াখস থেকেও বেশ কয়েকজন প্রতিশ্রুতিসম্পন্ন ফুটবলারও রয়েছেন জিদানের র্যাডারে।