বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
মেলবোর্ন পার্কে আগের দিন থেমে গিয়েছে রজার ফেডেরারের রেকর্ড খেতাব জয়ের দৌড়। তবে তৃতীয় বাছাই সুইস তারকার বিদায়ের ছায়া কাটিয়ে রড লেভার এরিনায় আবার হাসি ফিরিয়ে আনলেন নোভাক ডকোভিচ। নিজের ১৪টি গ্র্যান্ডস্ল্যাম খেতাবের মধ্যে ছয়টিই জিতেছেন এই মেলবোর্নে। তবে গত বছর মোটেও সুখকর ছিল না তাঁর অস্ট্রেলিয়ান ওপেন অভিযান। ২০১৮ সালে চতুর্থ রাউন্ড ও ২০১৭ সালে দ্বিতীয় রাউন্ড থেকেই বিদায় নিয়েছিলেন ‘জোকার’। দু’বছরের হতাশা কাটিয়ে আবার বছরের প্রথম গ্র্যান্ডস্ল্যাম টুর্নামেন্টের কোয়ার্টার ফাইনালে উঠলেন তিনি। সোমবার ড্যানিল মেদভেদেভকে হারাতে ডকোভিচের লাগল তিন ঘণ্টা ১৫ মিনিট। ম্যাচের শুরুর দিকে কিছুটা বেগ পেতে হলেও খেলা গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিজের হাতে তুলে নেন সার্বিয়ান তারকা। প্রথম সেট ৬-৪ গেমে জিতে নিলেও দ্বিতীয় সেটে তুল্যমূল্য লড়াইয়ের আভাস দিয়ে দারুণ ভাবে ঘুরে দাঁড়ান ২২ বছর বয়সী মেদভেদেভ। টাইব্রেকারে দ্বিতীয় সেটের দখল নিয়ে ম্যাচে সমতা ফিরিয়ে আনেন তিনি। তবে এরপরেই চেনা ছন্দে জ্বলে ওঠেন ডকোভিচ। তৃতীয় ও চতুর্থ অনায়াসে দখল করে ২০১৬ সালের পর আাবার এই প্রতিযোগিতার কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছে যান তিনি। সেমি-ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে ছয়বারের অস্ট্রেলিয়ান ওপেন জয়ী ডকোভিচের প্রতিপক্ষ কেই নিশিকোরি। শেষ ষোলোর ম্যাচে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে তিনি ৬-৭ (৮-১০), ৪-৬, ৭-৬ (৭-৪), ৬-৪, ৭-৬ (১০-৮) সেটে হারান স্পেনের ২৩তম বাছাই পাবলো কারেনো বুস্তাকে। পাঁচ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে চলে এই লড়াই। প্রথম দুটি সেট হাতাছাড়া করেও যে নিশিকোরি এভাবে ম্যাচে ফিরে আসবেন তা ভাবাই যায়নি। কিন্তু কঠিন পরিস্থিতিতেও মনোবল ধরে রেখে শেষ তিনটি সেট জিতে কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছান অষ্টম বাছাই নিশিকোরি। এমন কঠিন প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে পরের ম্যাচে খেলতে নামার আগে খানিকটা চিন্তিত দেখাচ্ছে ডকোভিচকে। সার্বিয়ান তারকার কথায়, ‘কেই নিশিকোরির অবিশ্বাস্য দক্ষতায় এদিন জয় নিশ্চিত করেছে। কার্যত খাদের কিনারা থেকে ঘুরে দাঁড়িয়েছে। ও দারুণ লড়াকু খেলোয়াড়। তাই আমাকে ওর বিরুদ্ধে সতর্ক থাকতে হবে।’
অপর ম্যাচে চতুর্থ বাছাই আলেকজান্ডার জেরেভকে হারিয়েছেন কানাডার মিলোস রাওনিক। এবারের অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে অন্যতম ফেভারিট ভাবা হচ্ছিল জার্মানির জেরেভকে। কিন্তু তাঁকে সুযোগই দেননি রাওনিক। জয় তুলে নেন ৬-১, ৬-১, ৭-৬ (৭-৫) স্ট্রেট সেটে। শেষ আটে রাওনিকের প্রতিদ্বন্দ্বী ফ্রান্সের লুকাস পাওলি। তিনি ৬-৭ (৪-৭), ৬-৪, ৭-৫, ৭-৬ (৭-২) সেটে হারিয়েছেন একাদশ বাছাই বোর্না কোরিককে।