বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
লন্ডন, ২০ জানুয়ারি: যোগ্য স্ট্রাইকার না থাকলে একটি দলের পরিণতি কতটা করুণ হতে পারে তা চেলসিকে দেখলেই বোঝা যায়। শনিবার এমিরেটস স্টেডিয়ামে প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচে আর্সেনালের বিরুদ্ধে ৬৪ শতাংশ বল পজেশন রেখেও হারতে হল মরিসিও সারির দলকে। ইডেন হ্যাজার্ড ও উইলিয়ান, কেউই প্রকৃত স্ট্রাইকার নন। পেড্রো এখন অতীতের ছায়ামাত্র। তাই বিপক্ষের ডিফেন্সিভ থার্ডে পৌঁছে বারবার খেই হারিয়ে ফেলল চেলসির আক্রমণ। পক্ষান্তরে, ঘরের মাঠে শুরু থেকে আক্রমণাত্মক মেজাজে খেলে প্রথমার্ধেই দু’গোল করে মূল্যবান তিন পয়েন্ট ঘরে তুলল আর্সেনাল। ২৩ ম্যাচে ৪৪ পয়েন্ট পেয়ে এই মুহূর্তে উনেই এমেরির দল পঞ্চম স্থানে। চতুর্থ স্থানে থাকা চেলসির সংগ্রহ ৪৭ পয়েন্ট।
ম্যাচের প্রারম্ভিক পর্বে আর্সেনাল ফুটবলারদের মধ্যে লিড নেওয়ার তাগিদ ছিল অনেক বেশি। চতুর্থ মিনিটে ডানদিক থেকে ল্যাকাজেটের পাস অবামেয়াং কানেক্ট করতে পারলে পিছিয়ে পড়ত চেলসি। এরপর সুযোগ নষ্ট করেন ইডেন হ্যাজার্ডও। ১৪ মিনিটে প্রথম গোল আর্সেনালের। ডানদিক থেকে বেলেরিনের ক্রস চমৎকারভাবে নিয়ন্ত্রণে এনে জাল কাঁপান ল্যাকাজেটে (১-০)। এর আগে কসিয়েনির হেড বাঁচিয়ে দলের নিশ্চিত পতন রোধ করেছিলেন চেলসির দুর্গপ্রহরী কেপা আরিজাবালাগা। বিরতির মিনিট ছয়েক আগে ব্যবধান বাড়ায় আর্সেনাল। সক্রেটিসের ক্রসে মাথা ছোঁয়ানোর চেষ্টা ছিল কসিয়েনির। কিন্তু বল তাঁর কাঁধে লেগে জালে জড়ায় (২-০)। বিরতির ঠিক আগে উইলিয়ানের ক্রস থেকে নেওয়া মার্কোস আলোন্সোর হেড আর্সেনাল গোলরক্ষক লেনোকে হার মানিয়েও পোস্টে ধাক্কা খায়।
দ্বিতীয়ার্ধে চেলসি ম্যাচে ফেরার চেষ্টা চালায়। এই পর্বে প্রতি-আক্রমণে বিপক্ষ রক্ষণকে চাপে ফেলাই লক্ষ্য ছিল আর্সেনালের। পরিবর্ত হিসেবে মরিসিও সারি মাঠে নামান অলিভার জিরুকে। কিন্তু লাভের লাভ কিছু হয়নি। ম্যাচ শেষে ক্ষুব্ধ কোচ মরিসিও সারি বলেন, ‘ফুটবলারদের মধ্যে জয়ের মানসিকতাই ছিল না। এই কারণেই আর্সেনালের কাছে হারতে হয়েছে।’