বিমা, মেয়াদি সঞ্চয় বা শেয়ার থেকে অর্থকড়ি আয় বাড়বে। ঝামেলা থেকে দূরে থাকুন। ধর্মে মতি। ... বিশদ
তাসা, ডগর আর সমর্থকদের সিংহ গর্জন রেজিনগরের পরিবেশই বদলে দিল। কখনও মসৃণ পিচ রাস্তা কখনও গ্রামের রাস্তায় ধুলো ঝড় তুলল রোড-শো। রাস্তার দু’পাশে কাতারে কাতারে মানুষ অপেক্ষা করছিলেন। মাইকের ঘোষণা আর বাজনার শব্দে সংসারের কাজ ফেলে বেরিয়ে এল মহিলাকূল। হুডখোলা গাড়ি থেকে হাতজোড় করে হাসিমুখে দু’পাশে দাঁড়িয়ে থাকা মানুষের অভিবাদন নিলেন টি-টোয়েন্টি মাঠে ব্যাটে ঝড় তোলা ইউসুফ। পুষ্পবৃষ্টিতে আপ্লুত ইউসুফকে হাত তুলে বারবার বলতে শোনা গেল, আমি আপনাদের লোক। খেলা হবে? বাইকের মিছিল থেকে উঠল সিংহ গর্জনে তার প্রতিধ্বনি শোনা গেল, খেলা হবে।
এদিনের মেগা রোড শোয়ে রেজিনগরবাসী আরও একবার তৃণমূলের ঐক্য পরখ করল। শাসক দলের বিভেদের বার্তা ছড়ানো রেজিনগর দেখল ভিন্ন চিত্র। ইউসুফের হুডখোলা গাড়িতে ছিলেন দুই বিধায়ক হুমায়ুন কবীর, রবিউল আলম চৌধুরী, ব্লক সভাপতি মঞ্জুর শেখ, প্রাক্তন ব্লক সভাপতি আতাউর রহমান। আতাউর সাহেব বলেন, রেজিনগর এর আগে এত বড় রোড শো দেখেনি।
হাজার হাজার মানুষের দোয়া, আশীর্বাদ এবার রেজিনগর থেকে তৃণমূল প্রার্থীকে সর্বোচ্চ লিড দেবে। রেজিনগরের বিধায়ক রবিউল আলম চৌধুরী বলেন, অধীর চৌধুরীর ভিত আগেই নড়বড়ে হয়ে গিয়েছে। এদিনের মিছিলের আওয়াজ অধীর চৌধুরীর বুকে কাঁপুনি ধরিয়ে দেবে। তৃণমূল কর্মীর হাত থেকে বারবার মাইক্রোফোন চেয়ে নিয়ে মিছিল সুশৃঙ্খলভাবে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিচ্ছিলেন ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীর।
রেজিনগর পূর্ব সাংগঠনিক ব্লকের সোমপাড়া-১, সোমপাড়া-২ ও দাদপুর পঞ্চায়েত এলাকায় যায় রোড শো। সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ শুরু হয়ে লোজনাথপুর, মাঙ্গনপাড়া, রামপাড়া, তকিপুর, ছেতিয়ানি, দাদপুর সহ প্রায় ১৬টি গ্রামের রাস্তা দিয়ে মন্থর গতিতেই এগিয়ে চলেন প্রার্থী। হুডখোলা গাড়ির গতি রোধ হতেই রাস্তার দু’পাশ থেকে হাত এগিয়ে আসছিল ইউসুফের দিকে। যতটা সম্ভব মানুষের আবেগ স্পর্শ করে গিয়েছেন তারকা ক্রিকেটার। তৃণমূলের পক্ষ থেকেই দাবি করা হয়েছে, এদিনের রোড শো এখনও পর্যন্ত প্রচারে এগিয়ে রইল।