বিমা, মেয়াদি সঞ্চয় বা শেয়ার থেকে অর্থকড়ি আয় বাড়বে। ঝামেলা থেকে দূরে থাকুন। ধর্মে মতি। ... বিশদ
পুলিস সুপার অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, বালি চুরি প্রায় বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। নিয়মিত অভিযান চালানো হয়। এমনকী ভূমি ও ভূমি সংস্কার দপ্তরের সঙ্গে যৌথভাবেও অভিযানে নামা হয়। আগের চেয়ে পুরুলিয়া জেলায় বালি চুরি অনেক কমেছে।
পুরুলিয়ার অতিরিক্ত জেলাশাসক(ভূমি ও ভূমি সংস্কার) রাজেশ রাঠোর বলেন, নিয়মিত অভিযান চালানো হয়। দপ্তরের তরফে সুয়োমোটো মামলাও করা হয়। নির্দিষ্ট কোনও অভিযোগ থাকলে সঙ্গে সঙ্গে হানা দেওয়া হয়। উদাসীনতার অভিযোগ ঠিক নয়।
পুরুলিয়া পুরসভার চেয়ারম্যান নব্যেন্দু মাহালি বলেন, শহরের জল সঙ্কটের অন্যতম বড় কারণ পুরুলিয়া শহর সংলগ্ন কাঁসাই নদীতে বালির পরিমাণ ভয়ানকভাবে কমে যাওয়া। তবে প্রাকৃতিক কোনও কারণে যে বালি কমে গিয়েছে, তা নয়। এক শ্রেণির বালি মাফিয়াদের দৌরাত্ম্যে কাঁসাই নদীর পাম্প হাউস সংলগ্ন এলাকার বালির পরিমাণ অনেক কমে গিয়েছে। নব্যেন্দুবাবু আরও বলেন, পুরুলিয়া শহরের পানীয় জল সরবরাহের বেশিরভাগটাই নির্ভর করে কাঁসাই নদীর উপর। কাঁসাই নদীতে জলই তো নেই। নদীগর্ভে বালিতে যে জল ছিল বালির পরিমাণ একেবারে কমে যাওয়ার ফলে নদী গর্ভে জল ধারণ ক্ষমতা কমে গিয়েছে। এর আগে একবার পুরসভার তরফে পুরুলিয়ার পুলিস সুপারকে চিঠি দেওয়া হয়েছিল। আগামী দিনে পুলিস সুপার, জেলা প্রশাসন, ভূমি ও ভূমি সংস্কার দপ্তরে একযোগে এবিষয়ে পুরসভার তরফে চিঠি পাঠানো হবে। কাঁসাই নদীর বালি রক্ষা করতে না পারলে অল্প দিনের মধ্যে পুরুলিয়া শহর প্রায় জলশূন্য হয়ে পড়বে। পুরসভা পরিচালনার দায়িত্বে থেকে তা কোনওমতেই হতে দেওয়া যাবে না।
নব্যেন্দুবাবু আরও বলেন, যে কেউ পাম্প হাউস সংলগ্ন এলাকা পরিদর্শন করলেই কাঁসাই নদীর কঙ্কালসার চেহারাটা দেখতে পাবেন। বালি তুলে নেওয়ার ফলে নদী গর্ভে থাকা পাইপলাইনও উপরে চলে এসেছে। পুরুলিয়া শহরকে বাঁচাতে এটা যে কোনও মূল্যে রুখতেই হবে।
পুরুলিয়ার বিজেপি বিধায়ক সুদীপ মুখোপাধ্যায় বলেন, পাম্প হাউস এবং ব্রিজ সংলগ্ন এলাকা বালি তোলার ক্ষেত্রে সংরক্ষিত এলাকা হিসেবে চিহ্নিত করা রয়েছে। তারপরেও ওই এলাকা থেকে বালি তোলা হচ্ছে। কোনও হেলদোল নেই।