বিমা, মেয়াদি সঞ্চয় বা শেয়ার থেকে অর্থকড়ি আয় বাড়বে। ঝামেলা থেকে দূরে থাকুন। ধর্মে মতি। ... বিশদ
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্তমানে রঘুনাথপুর মহকুমা শিল্পশহর হিসেবে পরিচিতি লাভা করেছে। মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন, আসানসোলের মতো রঘুনাথপুর শিল্পাঞ্চলের সঙ্গে ডানকুনিকে যোগ করা হবে। সেই পরিকল্পনা সফল হলে ডানকুনি থেকে বর্ধমান, দুর্গাপুর হয়ে আসানসোল এবং বড়জোড়া, বাঁকুড়া, রঘুনাথপুর পর্যন্ত বিশেষ শিল্প করিডর তৈরি হবে। এরজন্য সড়ক নির্মাণ করা হবে। তাতে যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত হবে। উপকৃত হবেন জেলার মানুষ।
পূর্তদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্তমানে রঘুনাথপুর নতুন বাসস্ট্যান্ড থেকে পুরুলিয়া গোশালা মোড় পর্যন্ত রাস্তা সম্প্রসারণের কাজ চলছে। সেটা এখন শেষের মুখে। রাস্তাটি প্রায় ৪০ কিমি। খরচ হচ্ছে ৮৮ কোটি টাকা। রঘুনাথপুর ১ নম্বর ব্লক থেকে বরাকর পর্যন্ত ২৬ কিমি রাস্তা সম্প্রসারণের কাজ শুরু হয়েছে। ২৬ কিমি রাস্তার জন্য ৭৬ কোটি টাকা খরচ করা হচ্ছে। একইভাবে পাড়ার রুকনি মোড় থেকে রঘুনাথপুর ২ নম্বর ব্লকের করগালি পর্যন্ত ১১ কিমি রাস্তার কাজ জোর কদমে চলছে। রাস্তাটির জন্য প্রায় ১৬ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা খরচ করা হচ্ছে। অন্যদিকে, এবছর রঘুনাথপুর থেকে মাড়বেদিয়া (বাঁকুড়া শেষ সীমা) পর্যন্ত প্রায় সাড়ে সাত কোটি টাকা খরচে ২৩ কিমি রাস্তার সংস্কারের কাজ করা হয়েছে। পাশাপাশি প্রায় ২ কোটি টাকা খরচ করে সড়বড়ি থেকে পাঞ্চেত পর্যন্ত এবং প্রায় ৪ কোটি টাকা খরচ করে রঘুনাথপুর থেকে চেলিয়ামা পর্যন্ত দু’টি আদর্শ ডিস্ট্রিক্ট সড়কের সংস্কার করা হয়েছে। পাশাপাশি ২ বছর আগে প্রায় ১০ কোটি টাকা খরচ করে সড়বড়ি থেকে পোড়াডিহা পর্যন্ত রাস্তার কাজ করা হয়েছে। তৃণমূলের জেলা সভাপতি সৌমেন বেলথরিয়া বলেন, তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় আসার পরেই গ্রাম থেকে গ্রামান্তরের রাস্তাঘাটের প্রচুর উন্নয়নের কাজ হয়েছে। পাশাপাশি রাজ্য সড়কগুলিকেও ঢেলে সাজা হয়েছে ও হচ্ছে। উন্নয়ন মানেই তৃণমূল।
বিজেপির বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলার সহ-সভাপতি বানেশ্বর মুখোপাধ্যায় কটাক্ষ করে বলেন, সাধারণত সড়কের কাজের জন্য রাজ্যের পাশাপাশি কেন্দ্রের বরাদ্দ থাকে। আজ মোদি এসেছে বলেই দেশজুড়ে বড় বড় হাইওয়ে তৈরি হচ্ছে। রঘুনাথপুর-বরাকর রাজ্য সড়কের উপর নতুনডির কাছে প্রায় ৩২ কোটি টাকা খরচ করে ওভার ব্রিজ তৈরি হয়েছে। তৃণমূল উন্নয়নের নামে নিজেদের পকেট ভরিয়েছে।