বিমা, মেয়াদি সঞ্চয় বা শেয়ার থেকে অর্থকড়ি আয় বাড়বে। ঝামেলা থেকে দূরে থাকুন। ধর্মে মতি। ... বিশদ
আগামী ১৩ মে চতুর্থ দফায় বহরমপুর লোকসভা কেন্দ্রের নির্বাচন। লোকসভা এলাকার সাতটি বিধানসভার মধ্যে বেলডাঙাকে সব দলই নিজেদের বলে এগিয়ে রেখেছে। মাত্র ছ’দিন প্রচারের সময় হাতে রয়েছে। ফলে কেউ কাউকে জায়গা ছাড়তে রাজি নয়। তবে তৃণমূল কংগ্রেসের মহিলা বাহিনী যেভাবে প্রচারে নেমেছে, বিরোধী দলের মহিলাদের সেভাবে প্রচারের ময়দানে দেখা যায়নি।
পুরসভার চেয়ারম্যান অনুরাধা হাজরা বন্দ্যোপাধ্যায়, মহিলা টাউন তৃণমূলের সভানেত্রী শুভ্রা দেবনাথ, সহ সভানেত্রী মধুমিতা বিশ্বাসের নেতৃত্বে প্রায় পঞ্চাশ জনের প্রমীলা বাহিনী গত এক সপ্তাহ ধরে সকাল বিকাল বাড়ি বাড়ি প্রচার চালাচ্ছেন। নির্বাচনের সময় যত এগিয়ে আসছে প্রচারে মেয়েদের সংখ্যা তত বাড়ছে।
মধুমিতা বলেন, পুরসভা নির্বাচনের মতোই লোকসভা নির্বাচনকে দেখছি। গত বিধানসভার জয়ের মার্জিন এবার ছাড়িয়ে যাবে। রাজ্য সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের উপভোক্তারা স্বতঃস্ফূর্তভাবে নির্বাচনী প্রচারে যোগ দিচ্ছেন। বিশেষ করে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা এক হাজার হওয়ায় উপভোক্তারা দ্বিগুণ উৎসাহে দলে দলে প্রচারে যোগ দিয়েছেন। শুভ্রা বলেন, রাজ্য সরকার যে উন্নয়নের পথ দেখিয়েছে, সেই পথে মানুষের সাড়া পেয়ে আমরা উচ্ছ্বসিত।
বিজেপি, কংগ্রেস অবশ্য বেলডাঙার মহিলাদের উপর তৃণমূলের প্রভাব মানতে রাজি নন। পুরসভার কাউন্সিলার তথা স্থানীয় বিজেপি নেতা সন্তোষ ঝাওর বলেন, বেলডাঙায় এবার গেরুয়া ঝড় কেউ রুখতে পারবেন না। গেরুয়া ঝড়ে শাসক দল তিন নম্বরে নেমে আসবে। বেলডাঙার প্রাক্তন কংগ্রেস বিধায়ক সফিউজ্জামান শেখ বলেন, বহরমপুরে গত ২৫ বছর অধীর মিথ কেউ ভাঙতে পারেনি। অশ্বমেধের ঘোড়া এবারও কেউ থামাতে পারবে না।