বিমা, মেয়াদি সঞ্চয় বা শেয়ার থেকে অর্থকড়ি আয় বাড়বে। ঝামেলা থেকে দূরে থাকুন। ধর্মে মতি। ... বিশদ
বিদেশ বসু মাইতির নির্দল প্রার্থী হওয়ার খবরে তৎপর হয় বিজেপি। সোমবার দলের নেতারা মারিশদার কানাইদিঘি এলাকার বাসিন্দা পেশায় পার্শ্বশিক্ষক আহমদুল্লা খানকে তমলুকে ডিএম অফিসে নিয়ে আসেন। তিনি আইএসএফ প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দিতে ইচ্ছাপ্রকাশ করেন। কিন্তু, তাঁর সঙ্গে ফর্ম ‘এ’ এবং ‘বি’ না থাকায় নির্দল প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা পড়ে। বিজেপি নেতাদের পাহারায় কাঁথির বনমালীচট্টা হাইস্কুলের ওই পার্শ্বশিক্ষক ডিএম অফিসে ঢোকেন। তাঁকে অনুসরণ করে ডিএম অফিসে ঢুকতে দেখা যায় বিজেপির কাঁথি সাংগঠনিক জেলা সভাপতি অরূপ দাস, কাঁথি-৩ পঞ্চায়েত সমিতির বিরোধী দলনেতা রাজশেখর মণ্ডল এবং দলের সংখ্যালঘু মোর্চার জেলা সভাপতি লোকমান আলি খানকে।
আহমদুল্লাকে প্রার্থী করার জন্য বিজেপি নেতারা তাঁকে কাঁথি থেকে তমলুকে ডিএম অফিসে নিয়ে যাচ্ছে বলে তৃণমূল নেতৃত্বের কাছে খবর পৌঁছে যায়। তারপরই কাঁথি থেকে তৃণমূল কর্মীদের একটি টিম রুদ্ধশ্বাসে গাড়িতে চড়ে তমলুকে ডিএম অফিসে রওনা দেয়। তাঁরা ডিএম অফিসে আসার আগেই বিজেপি নেতাদের ঘেরাটোপে থাকা ওই পার্শ্বশিক্ষক রিটার্নিং অফিসারের ঘরে ঢুকে পড়েন। তারপর মনোনয়ন প্রক্রিয়া শুরু হয়। অতিরিক্ত জেলাশাসক অফিসে তখন টানটান উত্তেজনা। তৃণমূল কর্মীরা ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে থাকেন। মনোনয়ন শেষে ওই নির্দল প্রার্থী বিজেপি নেতাদের ঘেরাটোপে ডিএম অফিস ছাড়েন। সেইসঙ্গে মোবাইল বন্ধ করে দেন।
তমলুক লোকসভায় আইএসএফ প্রার্থী দিলেরও কাঁথি আসনে তারা প্রার্থী দেয়নি। তাই বিজেপি নেতারা সংখ্যালঘু ভোট কাটার জন্য আহমদুল্লাকে আইএসএফের প্রার্থী করতে উদ্যোগী হয়েছেন বলে তৃণমূলের অভিযোগ। মঙ্গলবার স্ক্রুটিনির আগে পর্যন্ত ফর্ম এ এবং বি জমা দেওয়ার তোড়জোড় চলবে বলে জানা গিয়েছে। ওই ফর্ম জমা দেওয়ার অর্থ, তাহলে আহমদুল্লা আইএসএফ প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন। তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি পীযূষকান্তি পণ্ডা বলেন, বিজেপি পরাজয়ের আতঙ্কে ভুগছে। তাই এসব করছে। কিন্তু, এসব ছলচাতুরি করেও ওরা পরাজয় এড়াতে পারবে না।
বিজেপির জেলা সাধারণ সম্পাদক চন্দ্রশেখর মণ্ডল বলেন, আমাদের নেতারা কেউই আহমদুল্লার মনোনয়নে যাননি। স্ক্রুটিনির আগে আমাদের প্রার্থীর নথিপত্র নিয়ে কিছু কাজ ছিল সেটার জন্য গিয়েছিলেন। আহমদুল্লাকে অনুসরণ করে তৃণমূল কর্মীরা কেন কাঁথি থেকে ছুটে গিয়েছিলেন? তাহলে পরাজয়ের আশঙ্কায় কারা ভুগছে?