বিমা, মেয়াদি সঞ্চয় বা শেয়ার থেকে অর্থকড়ি আয় বাড়বে। ঝামেলা থেকে দূরে থাকুন। ধর্মে মতি। ... বিশদ
লোকসভা ভোটের প্রাক্কালে রাজ্য বাজেটে ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’-এ বরাদ্দ বৃদ্ধির কথা ঘোষণা করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্বাচনী জনসভায় এই প্রকল্পের কথা উঠে আসছে। সভায় মহিলাদের ভিড়ও হচ্ছে চোখে পড়ার মতো। এবার সেই প্রকল্পের প্রচার কৌশলেও অভিনবত্ব আনল শাসকদল।
সোমবার রামপুরহাটের বনহাট অঞ্চলের কাঁদুরি গ্রামে এই অভিনব প্রচার দেখা গেল। লক্ষ্মী সেজে মাটির ভাঁড় নিয়ে বাড়ি বাড়ি ঘুরছিলেন সিউড়ির তাঁতিপাড়ার বহুরূপী চাঁদ দাস। সঙ্গে ছিলেন এলাকার মহিলা তৃণমূলের সদস্যারা। ‘লক্ষ্মী’ গ্রামের মহিলাদের জিজ্ঞেস করেন, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার পাচ্ছেন তো? আগে কত টাকা করে পেতেন? এখন কত পাচ্ছেন? লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা বাড়ানোর বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সিদ্ধান্তকে তুলে ধরে একটি লিফলেট তিনি মহিলাদের হাতে তুলে দেন। সেখানে তৃণমূল প্রার্থী শতাব্দী রায়কে ভোট দেওয়ার জন্য আবেদন জানানো হয়। শুধু লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নয়, স্বাস্থ্যসাথী, কৃষকবন্ধু প্রকল্পের সুবিধা মিলছে কিনা-তাও জেনে নেওয়া হয়। কথাবার্তা শেষে ভাঁড় থেকে নকুলদানা বের করে পরিবারের মহিলাদের মধ্যে বিলি করছেন ‘লক্ষ্মী’। তাঁর হাত থেকে ‘প্রসাদ’ হিসেবে নকুলদানা নিতে এদিন মহিলাদের ভিড়ও উপচে পড়ে। এদিন একইভাবে এই অঞ্চলের রদিপুর, কামরাহাট সংসদ ঘুরে প্রচার চালান। কাঁদুরি গ্রামের বছর পঞ্চান্নর শান্তি লেট এদিন এই প্রচার দেখে গেয়ে উঠলেন জনপ্রিয় বাংলা গান ‘পৃথিবী বদলে গেছে, যা দেখি নতুন লাগে’। ওই দুই লাইন গেয়ে একগাল হেসে তিনি বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মহিলাদের জীবনযাত্রা পাল্টে দিয়েছেন। এর আগে কেউ এভাবে মহিলাদের প্রতি সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেননি।
এবিষয়ে বিজেপির জেলা সাধারণ সম্পাদক শান্তনু মণ্ডল বলেন, নকুলদানা বিলির অর্থ কী, তা বীরভূমবাসীকে অনেক আগেই জানিয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল। যিনি এখন তিহার জেলের আবাসিক। তৃণমূল বুঝে গিয়েছে, সন্ত্রাস ছাড়া ভোটে জেতার উপায় নেই। তাই কেষ্টর নীতিই ভরসা। সুকৌশলে মা-বোনেদের মধ্যে নকুলদানা বিলি করে আতঙ্কের পরিবেশ তৈরির চেষ্টা চলছে।
তৃণমূলের বনহাট অঞ্চলের নেতা জহুরুল ইসলাম বলেন, বিজেপির অভিযোগ ভিত্তিহীন। কেন্দ্রের বঞ্চনা সত্ত্বেও কীভাবে তৃণমূল নেত্রী অক্লান্ত পরিশ্রম করে জনগণের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছেন, তা মানুষের সামনে তুলে ধরতে এই নতুন পদ্ধতিতে প্রচার করা হচ্ছে।