বিমা, মেয়াদি সঞ্চয় বা শেয়ার থেকে অর্থকড়ি আয় বাড়বে। ঝামেলা থেকে দূরে থাকুন। ধর্মে মতি। ... বিশদ
মালদহ তো বটেই, রাজ্য রাজনীতিতে অন্যতম নাম কোতোয়ালি। সৌজন্যে প্রয়াত কংগ্রেস নেতা গনিখান চৌধুরী। তাঁর বাসস্থান এই গ্রামেই। যা কোতোয়ালি ভবন নামেই পরিচিত। রাজ্য রাজনীতি তথা কংগ্রেসের অনেক ওঠাপড়ার সাক্ষী দোতলা বাড়িটি। এবারও মালদহ দক্ষিণ লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী ওই ভবনেরই সদস্য ঈশা। তিনি বিদায়ী সাংসদ আবু হাসেম খান চৌধুরীর পুত্র।
ভবনের মূল ফটকে লাগানো কংগ্রেসের দু’টি ঝান্ডা। ভবনের ভিতরে দু’পাশে নিম ও দেবদারু গাছ। বাঁ পাশে গ্যারেজে দু’টি গাড়ি। তাতে জমছে ধুলোর আস্তরণ। যারমধ্যে একটি গনিখানের সাধের ‘মার্সিডিজ’। গ্যারেজ সহ আশপাশে দাঁড়িয়ে আছে কয়েকটি বাইক। এখান থেকে কয়েক কদম এগলেই মূল ভবন। নীচতলার বারান্দায় সাদা কাপড়ে ঢাকা টেবিলের উপর বসানো গনিখানের ছবি। দু’পাশে বেশ কিছু ফাঁকা চেয়ার। সেই ছবির ঠিক উপরে গনিখানের আরও দু’টি এবং তাঁর বোন রুবি নুরের ছবি টাঙানো। ভবনের সামনে এবং দু’পাশে আরও কিছু পাকা ঘর। বাড়িতে প্রবেশ করে দেখা গেল-প্রতিটি ঘরের দরজা, জানালা বন্ধ। কারও কোনও সাড়াশব্দ নেই।
বেশ কিছুক্ষণ ঘোরাঘুরির পর সেখানে আসেন এক যুবক। তাঁর নাম যাদব দাস। তিনি নিজেকে ভবনের ‘গেট ম্যান’ বলে পরিচয় দিলেন। বললেন, ঈশাবাবু সকালেই ভোট প্রচারে বেরিয়েছেন। ডালুবাবুও (আবু হাসেম খান চৌধুরী) সম্ভবত প্রচারে। এখন তো কেউ নেই। সেই সময় সংশ্লিষ্ট ভবনের সামনে জড়ো হন কয়েকজন গ্রামবাসী। তাঁদের মধ্যে একজন প্রফুল্ল রায়। তিনি পেশায় ঠিকাদার। তাঁর কথায়, বরকতদা যখন ছিলেন, এই ভবনে মানুষের মেলা লেগে থাকত। কংগ্রেসের শীর্ষস্তরের বহু নেতা এই ভবনে এসেছেন। আর ভোটের সময় কংগ্রেস নেতা-নেত্রীদের আনাগোনা আরও বাড়তে। বরকতদা নেই। তাঁর বোন রুবিদি নেই। ডালুদাও অসুস্থ। ফলেএই ভবন ঘিরে সেই জমানার আকর্ষণ আর নেই।
এ ব্যাপারে বহুবার ফোন করেও কংগ্রেস প্রার্থীর প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। মালদহ জেলা কংগ্রেসের কার্যকরী সভাপতি কালীসাধন রায় অবশ্য বলেন, দলীয় কার্যালয়ের পাশাপাশি কোতোয়ালি ভবন থেকেই প্রচার শুরু হচ্ছে। দুপুরে সবাই ভোটের ময়দানে থাকছেন। তাই ওই ভবনে কাউকে পাননি।