বিমা, মেয়াদি সঞ্চয় বা শেয়ার থেকে অর্থকড়ি আয় বাড়বে। ঝামেলা থেকে দূরে থাকুন। ধর্মে মতি। ... বিশদ
এদিন মুখ্যমন্ত্রী বক্তব্যের শুরুতেই বলেন, এই জেলায় কত কত রাস্তাঘাট, ব্রিজ হয়েছে। কেষ্ট আজ জেলে। কিন্তু জেলার উন্নয়নে ও অনেক কাজ করেছে। বিজেপি সব সাজিয়ে গুছিয়ে কেস করেছে। একদিন না একদিন তো বেরবে। এখন ওকে ধরে রেখে বলছে, বিজেপিকে সাহায্য করে দাও। তাহলে তাড়াতাড়ি ছেড়ে দেব। দেখবেন, ভোট পেরলেই ছেড়ে দেবে। ক’দিন আগে চাঁদুর(মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা) বাড়িতে ইডি গিয়েছিল। সারাদিন বসিয়ে রেখে সন্ধ্যার দিকে এক বিজেপি নেতা ফোন করে বলছে, বিজেপিকে সাহায্য করো। ঝাড়খণ্ডের আদিবাসী মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন, দিল্লির কেজরিওয়ালকেও ধরে রেখেছে। ওদের হাতে সব আছে। কিন্তু মানুষই ওদের জবাব দেবে।
মুখ্যমন্ত্রী এদিন জেলার বেশ কিছু উন্নয়নের খতিয়ান তুলে ধরেন। নির্বাচন কমিশনকে আগাগোড়া পক্ষপাতদুষ্ট বলে অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, এখন রবীন্দ্রজয়ন্তী করতে গেলেও নাকি ওদের অনুমতি লাগবে! আবার বলেছিল, শান্তিনিকেতন নাকি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মস্থান। অর্মত্য সেনকে জমিহারা করে দিতে চেয়েছিল। আমরা সবাই তখন ওঁর পাশে গিয়ে দাঁড়াই। এরকম একটা বিশ্ববিদ্যালয়কে উপচার্য কীরকম করে দিয়েছিলেন, সেটা গোটা বিশ্ব দেখেছে। এদিন তিনি রবীন্দ্রজয়ন্তীতে বোলপুর আসার ইচ্ছেপ্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী।
কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে আক্রমণ করতে গিয়ে তিনি বলেন, ওরা বলছে তৃণমূল দুর্নীতির আঁতুড়ঘর। আর তুমি যে দেশটা বিক্রি করে দিলে। আমার টাকা নেই তোমাদের মতো মিথ্যা বিজ্ঞাপন দেওয়ার জন্য। পিএম কেয়ারের টাকার কত পেয়েছিলে? কত ডিফেন্স বিল তৈরি হয়েছে? কাশীপুর গান ফ্যাক্টরি এখন কেন আর অর্ডার পায় না? কালো টাকা কোথায় গেল? কত কোটি টাকা খরচ করে বিদেশ গিয়েছেন? মমতা বলেন, তৃণমূলই ভারতবর্ষের একমাত্র সততার দল। তাই আপনাদের এত হিংসা। আমি এক পয়সা মাইনে নিই না। পেনশনও নিই না। তাও আপনারা আমাকে চোর বলছেন! আপনাদের জিভ মানুষ ছিঁড়ে নেবে। এছাড়াও বাংলার বাড়িতে দুই কিস্তির টাকা রাজ্য সরকারই মেটাবে বলে এদিন মঞ্চ থেকে আরও একবার জানিয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী।
ধর্ম ও বিভেদের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে মমতা বলেন, রামকৃষ্ণ পরমহংসের ধর্মকে আমি মেনে চলি। আমার সঙ্গে ধর্ম নিয়ে চর্চা করতে আসবেন না। একটা দুষ্টু, সন্ত্রাসের লোকের কাছ থেকে আমাকে ধর্ম শিখতে হবে না।