বিমা, মেয়াদি সঞ্চয় বা শেয়ার থেকে অর্থকড়ি আয় বাড়বে। ঝামেলা থেকে দূরে থাকুন। ধর্মে মতি। ... বিশদ
চতুর্থ দফায় রানাঘাট কেন্দ্রে নির্বাচন। শেষ মুহূর্তের প্রচারে পাড়ায় পাড়ায় বৈঠক এবং পঞ্চায়েত ও পুরসভা এলাকাগুলিতে ছোট ছোট বাজারে মিছিলের উপর বাড়তি গুরুত্ব দিচ্ছে তৃণমূল। রানাঘাট উত্তর-পূর্ব, রানাঘাট দক্ষিণ এবং চাকদহের মতো মতুয়া বলয়ের বিধানসভাগুলিতে ধারাবাহিক প্রচার চলবে বলে জানা গিয়েছে। রানাঘাট সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের সভাপতি দেবাশিস গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, আমরা নির্বাচন ঘোষণার আগে থেকেই প্রচার শুরু করে দিয়েছিলাম। রানাঘাট কেন্দ্রের এমন কোনও এলাকা বাকি নেই, যেখানে আমাদের প্রার্থী মুকুটমণি প্রচারে যাননি। শহর থেকে গ্রাম, সাধারণ মানুষের ব্যাপক সাড়া পেয়েছেন আমাদের প্রার্থী। দলনেত্রী চাকদহ ও বীরনগরে জনসভা করার পর কর্মীদেরও মনোবল বৃদ্ধি পেয়েছে।
তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, দল এতদিন যেভাবে লাগাতার প্রচারের কাজ করে গিয়েছে, তার পারফরমেন্স রিপোর্ট বীরনগরের সভা শেষ করে জেলা ছাড়ার আগে নিয়ে যান মমতা। দলের মূল শাখা, ছাত্র-যুব, মহিলা ও শ্রমিক সংগঠনের কর্মীদের কাজে খুশি দলনেত্রী। তিনি দলের কর্মীদের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার বার্তা দিয়েছেন।
জানা গিয়েছে, প্রত্যেক তৃণমূল কর্মীকে পাঁচজন করে ভোটারের দায়িত্ব নেওয়ার যে নির্দেশ দলের সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দিয়ে গিয়েছিলেন, সফলভাবে তা পালন করছেন কর্মীরা। এতে অন্তত ৬ থেকে ৮ শতাংশ ভোট আরও বাড়বে বলে আশাবাদী তৃণমূল। শান্তিপুরের বিধায়ক ব্রজকিশোর গোস্বামী বলেন, গত তিন মাসে বিজেপি ছেড়ে বেশ কিছু পদাধিকারী ও বহু সাধারণ কর্মী তৃণমূলে যোগদান করেছেন। তাঁরাও নিজ নিজ বুথ এলাকা থেকে বিজেপির বড় অংশের ভোটব্যাঙ্ক তৃণমূলমুখী করাবেন।
রানাঘাট সাংগঠনিক জেলা মহিলা তৃণমূলের সভানেত্রী বর্ণালি দে বলেন, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে উপকৃত মহিলারা আর বিজেপির প্রচারে কান দিচ্ছেন না। সাধারণ ঘরের মহিলারাই আমাদের নিশ্চিত করেছেন পরিবারের ভোট তৃণমূলেই যাবে।
আর তৃণমূল সমর্থিত মতুয়া মহাসঙ্ঘের সভাপতি প্রমথরঞ্জন বসুর কথায়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং মমতাবালা ঠাকুরের উপর বিশ্বাস রেখেই মতুয়ারা এবার বিজেপিকে বর্জন করবেন।