বিমা, মেয়াদি সঞ্চয় বা শেয়ার থেকে অর্থকড়ি আয় বাড়বে। ঝামেলা থেকে দূরে থাকুন। ধর্মে মতি। ... বিশদ
এদিন রঘুনাথপুরের নতুন বাসস্ট্যান্ড থেকে ল্যাম্পস অফিস পর্যন্ত পদযাত্রা করা হয়। পদযাত্রায় প্রায় তিন হাজার আদিবাসী পুরুষ ও মহিলা শামিল হন। পদযাত্রার পর ল্যাম্পস অফিস প্রাঙ্গণে একটি পথসভা করা হয়। সেখানে পণ্ডিত রঘুনাথ মুর্মুর প্রতিকৃতিতে মাল্যদান করা হয়।
এদিন মিছিল থেকে রঘুনাথপুর মহকুমায় সাঁওতালি কলেজ নির্মাণ, বিভিন্ন বন্ধ আদিবাসী হোস্টেল চালু করা, প্রতিটি সাঁওতালি মাধ্যমিক বিদ্যালয়কে উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়ে উন্নীতকরণ, সমস্ত সরকারি কার্যালয়ে বাংলা, ইংরেজির পাশাপাশি অলচিকি হরফে সাইনবোর্ড লেখা, বিদ্যালয়ে চুক্তিভিত্তিক শিক্ষক-শিক্ষিকাদের স্থায়ী করা, প্রভৃতি দাবি তোলা হয়। সংগঠনের তরফে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেওয়া হয়। তাঁদের অভিযোগ, ২০১৪-২০২৩ সালের মধ্যে ভারতে ১৪ হাজার বর্গ কিমির বেশি জঙ্গল কমেছে। যা আয়তনে নাগাল্যান্ডের সমান। কেন্দ্রীয় সরকার উন্নয়নের নামে আদিবাসীদের জমি কেড়ে নিচ্ছে। এখনও পর্যন্ত প্রায় ২২ লাখ একর জমি কেড়ে নেওয়া হয়েছে। এই কয়েক বছরে দেড় লক্ষের বেশি আদিবাসী মানুষের ঘর, জমি চলে গিয়েছে। দু’বছর আগে বাঁধ তৈরির জন্য উত্তরাখণ্ডে ৬৪টি আদিবাসী পরিবারকে পথে বসানো হয়েছে। তাঁদের আরও অভিযোগ, বর্তমানে আদিবাসীদের আয় কমেছে। ভারতের এক শিল্পপতি একদিনে যে টাকা আয় করেন, ৬ কোটি আদিবাসী মিলে একদিনে সেই পরিমাণ টাকা আয় করেন। ৭০ কোটি মানুষ দৈনিক ১৫ টাকা আয় করে। উন্নয়নের নামে লাদাখে আদিবাসীদের জমি কেড়ে নেওয়া হচ্ছে। অবৈধভাবে কংসাবতী থেকে বালি তোলা হচ্ছে। যে কারণে জলধারণের ক্ষমতা কমেছে।
তাঁরা আরও জানান, গত বছর ভারতের ৫০০টির বেশি জেলা খরা আক্রান্ত হয়েছিল। যেভাবে বৃক্ষ ছেদন হচ্ছে, নদীর বালি লুট হচ্ছে, তাতে পুরুলিয়া খরার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে বলে তাঁদের আশঙ্কা।
জুওয়ান মহলের পুরুলিয়া জেলা সভাপতি রাজেন টুডু বলেন, জল, জঙ্গল, জমি আদিবাসীদের অধিকার। সেই অধিকার পেতে আদিবাসীদের লড়াই করতে হচ্ছে। কেন্দ্রীয় সরকার নানাভাবে আদিবাসীদের প্রলোভন দিচ্ছে। আদতে তারা আদিবাসীদের সংস্কৃতিকে ধ্বংস করার পথে এগিয়ে যাচ্ছে। যে সরকার বন বাঁচাতে চায় না, গ্রামসভাকে মানতে চায় না, আমরা তাদের চাই না। আমরা বিজেপি-বিরোধী শক্তিকে সমর্থন করব।