বিমা, মেয়াদি সঞ্চয় বা শেয়ার থেকে অর্থকড়ি আয় বাড়বে। ঝামেলা থেকে দূরে থাকুন। ধর্মে মতি। ... বিশদ
পশ্চিমবঙ্গ আশাকর্মী ইউনিয়নের ব্যানারে বেশ কিছুক্ষণ অবরোধ চলার পর পুলিস প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিলে অবরোধ প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। যদিও আগেই পুলিস ওই আশাকর্মীকে ছেড়ে দিয়েছে।
বছরখানেক আগে বগুড়ানজালপাই এলাকার বছর চোদ্দর ওই নাবালিকার সঙ্গে নারায়ণপুর এলাকার এক যুবকের বিয়ে হয়। পরে কাঁথি মহকুমা হাসপাতালে মেয়েটি সন্তানও প্রসব করে। সরকারি নিয়ম মেনে মহকুমা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ থানায় অভিযোগ দায়ের করে। নাবালিকা বিয়ে যাতে বন্ধ করা হয়, তার জন্য পুলিসকে পদক্ষেপের আবেদন জানানো হয়। অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিস তদন্তে নামে। নাবালিকার বিয়ে দেওয়া সহ একাধিক অভিযোগে রবিবার মেয়েটির মা-বাবা ও যুবকের মা ও দাদাকে পুলিস গ্রেপ্তার করে। নাবালিকাকে উদ্ধার করা হয়। রবিবার ধৃতদের কাঁথি মহকুমা আদালতে তোলা হলে বিচারক ১৪দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন। নাবালিকার গোপন জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়।
স্থানীয় দেশদত্তবাড় উপস্বাস্থ্যকেন্দ্রের ওই আশাকর্মী কয়েকদিন আগে সেই নাবালিকাকে প্রসব করানোর জন্য মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিলেন। পুলিসের দাবি, তদন্তের স্বার্থে পূর্ব রামচন্দ্রপুর এলাকার ওই আশাকর্মীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হয়েছিল।
আশাকর্মী ইউনিয়নের সভানেত্রী কৃষ্ণা প্রধান বলেন, ওই আশাকর্মী নিজের ডিউটি করেছেন। একজন সন্তানসম্ভবাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়াই তাঁর কাজ। তাঁকে কেন আটক করা হবে? তারই প্রতিবাদে আমরা আন্দোলনে নেমেছি। ওসি বলেন, এই ঘটনায় চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ওই আশাকর্মীকে শুধু জিজ্ঞাসাবাদের জন্যই ডাকা হয়েছিল। ঘটনার তদন্ত চলছে।