বিমা, মেয়াদি সঞ্চয় বা শেয়ার থেকে অর্থকড়ি আয় বাড়বে। ঝামেলা থেকে দূরে থাকুন। ধর্মে মতি। ... বিশদ
হেলিপ্যাড গ্রাউন্ডে দীর্ঘ তিন ঘণ্টা ধরে মানুষ অপেক্ষা করছিলেন তাঁকে দেখার জন্য। কল্যাণী মোদি বলেন, মুখ্যমন্ত্রীকে একবার কাছ থেকে দেখব বলে এসেছি। গরিবদের উনি অনেক কিছু দিয়েছেন। আমি প্রতি মাসে এক হাজার টাকা বিধবা ভাতা পাই। ওই টাকা দিয়ে সংসারের খরচ চলে।
বুদবুদের সোমা ঘোষ বলেন, লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের জন্য দুয়ারে সরকারে আবেদন করেছিলাম। টাকা ঢুকছে নিয়মিত। সেই টাকা দিয়েই বাসে করে এসেছি। মুখ্যমন্ত্রীর বুদবুদের সভাতেও গিয়েছিলাম। উনি যতবার এখানে আসেন ততবারই তাঁকে দেখতে আসি। কোটা অঞ্চলের ধরলা থেকে একইরকম শাড়ি পরে এসেছিলেন দলীয় মহিলা সমর্থকরা। কোটা অঞ্চলের তৃণমূল কর্মী ইন্দিরা লাহা বলেন, বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচারের জন্য এই পোশাক আমাদের দেওয়া হয়েছে। আমরা সেটি পরেই এখানে এসেছি দিদির হাত শক্ত করতে। আর এক কর্মী শেফালী পাল বলেন, দুপুর সাড়ে তিনটা থেকে প্রবল আগ্রহের সঙ্গে দিদিকে একবার দেখব বলে দাঁড়িয়ে আছি। মহিলা কর্মীরা বলেন, শুধু লক্ষীর ভাণ্ডার নয়, স্বনির্ভর গোষ্ঠীর জন্য মহিলারা আজ মাথা উঁচু করে বেঁচে আছেন। অনেকে পশু পালনের মধ্যে দিয়েও আর্থিক দিক থেকে সচ্ছল হচ্ছেন। পানাগড়ের সুলগ্না দাস বলেন, বাংলার মাকে খুব কাছ থেকে দেখতে পেলাম। উনি আমাদের জন্য অনেক প্রকল্প এনেছেন। আমরা সুবিধা পাচ্ছি।
কাঁকসার রতন পরামানিক বলেন, দিদিকে দেখতে এসেছিলাম। হেলিপ্যাড গ্রাউন্ডে দাঁড়িয়েছিলাম। দিদি আমাদের উদ্দেশ্যে হাত নেড়েছেন। পুরুষদের থেকে মহিলাদের ভিড় বেশি ছিল বলে মনে করছেন দলীয় কর্মী সমর্থকদের একাংশ। দলীয় কর্মী সুজয় ঘোষাল বলেন, কন্যাশ্রী, রূপশ্রী, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, বিধবা ভাতা সহ একাধিক প্রকল্পের সুবিধা পাচ্ছেন বাড়ির মেয়েরা। তাই মুখ্যমন্ত্রীকে দেখতে এসেছেন তাঁরা। যদিও বিজেপি নেতা রতনপ্রসাদ সাউয়ের অভিযোগ, তৃণমূলের সমস্ত অনুষ্ঠানে ওদের দলীয় নেতারা সাধারণ মানুষের বাড়িতে গিয়ে সরকারি সুযোগ-সুবিধা এবং অন্যান্য পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দিচ্ছে। সেই ভয়েই মহিলারা সবাই আসছেন।