বিমা, মেয়াদি সঞ্চয় বা শেয়ার থেকে অর্থকড়ি আয় বাড়বে। ঝামেলা থেকে দূরে থাকুন। ধর্মে মতি। ... বিশদ
দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত এপ্রিল মাসের প্রথম দিকে বাঁকুড়া লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী অরূপ চক্রবর্তীর সমর্থনে রাইপুরে সভা করেছিলেন মমতা। এবারের তিনি বিষ্ণুপুর কেন্দ্রের জন্য সভা করতে আসছেন। পাত্রসায়রের গোরু হাটতলায় ওই সভা হবে। ইতিমধ্যে একাধিকবার সভাস্থল পরিদর্শন করেছেন জেলা নেতারা। আগামিকালের সভা থেকে তৃণমূল সুপ্রিমো কী বার্তা দেন, সেই দিকেই তাকিায়ে রয়েছেন দলের নেতা-কর্মীরা। উল্লেখ্য, গত লোকসভা নির্বাচনে বিষ্ণুপুর আসনটি বিজেপির দখলে যায়। তাছাড়া একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বড়জোড়া, খণ্ডঘোষ বাদে বাকি পাঁচটি বিধানসভা কেন্দ্রেই তৃণমূল পরাজিত হয়েছে। তাই পাত্রসায়রে সভার মাধ্যমে দলনেত্রী সংগঠনকে চাঙ্গা করতে চাইছেন বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
বিষ্ণুপুরের তৃণমূল প্রার্থী সুজাতা মণ্ডল বলেন, পাত্রসায়রের বাসিন্দাদের দাবি মেনেই সেখানে তৃণমূল নেত্রীর সভা হচ্ছে। দিদিকে ঘিরে সবার আবেগ জড়িয়ে রয়েছে। তিনি এলে কর্মীরাও চাঙ্গা হবে।
বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের সভাপতি বিক্রমজিৎ চট্টোপাধ্যায় বলেন, দিদির সভার জন্য প্রায় ৪৫০ বাসের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়া অন্যান্য গাড়িও থাকছে। রোদ গরমের জন্য পর্যাপ্ত ছাউনির ব্যাবস্থা করা হয়েছে। তারসঙ্গে জল, ওআরএসের ব্যবস্থা থাকছে।
যদিও বিজেপির বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি অমরনাথ শাখা বলেন, দুষ্কৃতীদের উৎসাহিত করতে মুখ্যমন্ত্রী আসছেন। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে ওই এলাকায় তৃণমূল মানুষকে ভোট দিতে দেয়নি। মুখ্যমন্ত্রী যতই আসুন। ভোট দিতে না পারার সেই ক্ষোভের জবাব মানুষ ইভিএমে দেবে। বিজেপিকে জেতাবে।
পুরুলিয়ার পাড়ায় গুড়গুড়িয়া মাঠে দুপুর ২টোয় মুখ্যমন্ত্রী সভা করবেন। তৃণমূলের জেলা সভাপতি সৌমেন বেলথরিয়া বলেন, গরমের জন্য প্রায় ৭০ হাজার জলের পাউচ ও ট্যাঙ্কারের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। পাড়ায় মুখ্যমন্ত্রী আসার পর তৃণমূমের ভোট অনেকটাই বাড়বে। দিদির আসার গুরুত্বই আলাদা।
বিজেপির রাজ্য কমিটির সদস্য বিদ্যাসাগর চক্রবর্তী বলেন, এটা রাজ্যের নির্বাচন নয়। কেন্দ্রের সরকার গড়ার ভোট। তাই মুখ্যমন্ত্রী কোথায় সভা করলেন, কোথায় করলেন না, তাতে কোনও প্রভাব পড়বে না। মোদিকে দেখেই মানুষ ভোট দেবে। পাড়ায় মুখ্যমন্ত্রী এলেও এলাকায় বিজেপির ফলই ভালো হবে।