বিমা, মেয়াদি সঞ্চয় বা শেয়ার থেকে অর্থকড়ি আয় বাড়বে। ঝামেলা থেকে দূরে থাকুন। ধর্মে মতি। ... বিশদ
সংবাদদাতা, করিমপুর: পথশ্রী প্রকল্পে প্রায় ষাট লক্ষ টাকা ব্যয়ে রাস্তার পুনর্নির্মাণ হলেও দুই পাশে সংস্কার করা হয়নি। ফলে ওই রাস্তায় মানুষের যাতায়াতের সমস্যা বেড়েছে বলে অভিযোগ। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, দীর্ঘদিন বেহাল থাকার পরে মাস ছয়েক আগে করিমপুর ১ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার দেবালয় মন্দির সংলগ্ন এলাকা থেকে অভয়পুর পরমানন্দ মিশন পর্যন্ত পথশ্রী প্রকল্পে রাস্তার কাজ হয়েছে। নতুন করে রাস্তা তৈরির পর সড়কের পাশে ইট দিয়ে সম্প্রসারণ করা হয়নি। ফলে পাশাপাশি যানবাহন যেতে গেলে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। অভিযোগ, এত লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করে যখন রাস্তা তৈরি হল অথচ ভুল পরিকল্পনার জন্য মানুষের সুবিধা হল না। করিমপুরের বাসিন্দা মিঠু অধিকারী জানান, এই রাস্তায় প্রতিদিন বহু মানুষ ও যান চলাচল করে। রাস্তাটি ভেঙে যাওয়ায় নতুন করে সংস্কার করা হয়। সাইনবোর্ডে কাজের প্রকল্পের হিসবে রাস্তার দৈর্ঘ্য ছ’শো মিটার জানানো হলেও প্রস্থ বা চওড়া কতটা তা জানানো হয়নি। রাস্তা সংস্কারে তিন মিটার চওড়া রাস্তা করা হয়েছে। কিন্তু রাস্তাকে সুরক্ষিত রাখতে এবং চলাচলের সুবিধার জন্য রাস্তার দুই পাশে আরও দুই ফুট করে ইট কিংবা মোরাম দিয়ে সম্প্রসারণ করা হয়নি। যে কারণে পাশাপাশি দু’টি যানবাহন যাতায়াতে খুব সমস্যার মধ্যে পড়তে হচ্ছে। অভয়পুরের বাসিন্দা আশিস বিশ্বাস বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর পথশ্রী প্রকল্পের রাস্তাটি নির্মাণ করা হলেও খুব নিম্নমানের কাজ হয়েছিল। রাস্তায় তৈরি শেষ হওয়ার এক মাসের মধ্যেই বেশকিছু জায়গায় পিচ পাথর উঠে গিয়েছে। এলাকার মানুষ প্রতিবাদ করার পরে রাতের অন্ধকারে কোথাও কোথাও নামমাত্র সারাই করলেও রাস্তার কাজ সম্পূর্ণ হয়নি। ওই রাস্তার কিছু কিছু জায়গায় সাধারণ মানুষ ও যানবাহন নিয়ে চালকরা সমস্যায় পড়েন। বিশেষ করে জলঙ্গি নদীর পাড় সংলগ্ন এলাকায় পথচলতি মানুষকে বিপদে পড়তে হয়। রাস্তা সংস্কারের পর নিকাশি নালাও ঠিকঠাক করা হয়নি। এই রাস্তা আদৌ কতদিন টেকসই হবে তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে। নদীয়া জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ শম্পা ঘোষ মণ্ডল বলেন, নির্বাচন চলে গেলে সরজমিনে বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
