বিমা, মেয়াদি সঞ্চয় বা শেয়ার থেকে অর্থকড়ি আয় বাড়বে। ঝামেলা থেকে দূরে থাকুন। ধর্মে মতি। ... বিশদ
পঞ্চাশ টাকার স্ট্যাম্প পেপারে স্বাক্ষর রয়েছে তিনজনের। আব্দুর রাজ্জাক, আব্দুর রাজ্জাক মোল্লা ও শহিদুল ইসলাম। এরপরই জলঙ্গি পঞ্চায়েত সমিতির বোর্ড গঠনে জোটগত বোঝাপোড়া লিখে তার নীচে লেখা রয়েছে তিনটি পয়েন্ট। যথাক্রমে, ‘জলঙ্গির বিধায়ক মাননীয় আব্দুর রাজ্জাক মণ্ডলের প্রস্তাবিত সদস্য জলঙ্গি পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি নির্বাচিত হবেন।’
তার পরের পয়েন্টে লেখা রয়েছে, ‘জাতীয় কংগ্রেসের জলঙ্গি ব্লকের প্রস্তাবিত সদস্য সহকারী সভাপতি নির্বাচিত হবেন এবং দু’জন কর্মাধ্যক্ষ নির্বাচিত হবেন।’ শেষের পয়েন্টে লেখা রয়েছে, ‘সিপিএমেরজলঙ্গি পঞ্চায়েত সমিতির নির্বাচিত সদস্যদের মধ্যে পূর্ত কর্মাধক্ষ ও আরও তিনজন, মোট চারজন কর্মাধ্যক্ষ নির্বাচিত হবেন।’
ঘটনাচক্রে ওই চুক্তিপত্রের প্রস্তাবগুলির সঙ্গে বাস্তবে জলঙ্গি পঞ্চায়েত সমিতির বোর্ড গঠনেও অনেকখানি মিল রয়েছে। যেমন, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি কংগ্রেসের টিকিটে জয়ী কবিরুল ইসলাম হলেও সহ সভাপতি রয়েছেন কংগ্রেসের টিকিটে জয়ী মারিয়ম খানম। একইরকম পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ এর পদেও মধ্যে সিপিএম ও কংগ্রেসের বেশ কয়েকজন জয়ী সদস্য রয়েছেন।
যদিও বিষয়টিকে মানতে নারাজ জলঙ্গির বিধায়ক আব্দুর রাজ্জাক। তিনি বলেন, এইসব ফালতু কথা। ভোট এলে দলের প্রতিনিধিদের নামে কুৎসা ছড়াতে, তাদের কালিমালিপ্ত করতে এইসব মিথ্যে জিনিস ছড়ানো হয়। সেখানকার স্বাক্ষর আমার নয়। এইগুলো কারসাজি করে বানানো যায়।
জলঙ্গি ব্লক কংগ্রেস সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক মোল্লা বলেন, সেই সময়ে একটা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল। সেই জন্য আমাদের মধ্যে একটা লিখিত চুক্তি হয়েছিল। সেখানে যে স্বাক্ষর রয়েছে তা আমার। এর সঙ্গে দল যুক্ত ছিল না, সদস্যদের ইচ্ছে হয়েছিল তাই আমরা ওই বোঝাপড়া করেছিলাম।