বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
নবদ্বীপ কিংবা কৃষ্ণনগরের বড় দোকানে বা ঝাঁ চকচকে শপিং মলগুলিতে সন্ধ্যাবেলায় শহুরে চাকরিজীবীদের ভিড় জমলেও মাঝারি থেকে ছোট কিংবা ফুটপাতের দোকানের ছবিটা একেবারেই উল্টো। আমবাঙালির মধ্যে এখনও কেনাকাটার হাওয়াটাই যেন ওঠেনি। অন্যবার এই সময়ে পুজোর জামা কাপড় কেনার হিড়িক পরে যায়। এবার ব্যবসায় পুজোর গন্ধ একেবারেই অনুপস্থিত। কিন্তু কেন বাজারের এই হাল? কেনইবা মানুষজন এখানও ভিড় জমাচ্ছেন না? কারণ হিসেবে উঠে আসছে নানা বিষয়।
পোড়ামাতলার রেডিমেড ব্যবসায়ী দীপক সাহা বলেন, সাধারণ মানুষের হাতে পয়সা না থাকার কারণেই সম্ভবত এই হাল। তবে পুজোর আগের শেষ সাতদিন হয়তো ব্যবসা জমবে।
কৃষিপ্রধান জেলা নদীয়ার বাণিজ্যের এই বেহাল দশার জন্য বৃষ্টির ঘাটতিকেই প্রধানত দায়ী করছেন সবাই। অনেকেরই বক্তব্য, নবদ্বীপ বলে নয়, গোটা নদীয়ার সর্বত্রই পুজোর বাজারের একটা বড় অংশ গ্রামীণ ক্রেতাদের উপর নির্ভরশীল। অথচ চাষিরা এবছর জলের অভাবে পাট পচাতেই পারেননি। তাঁরা পুজোর বাজারে আসবেন কী করে?
নবদ্বীপের রাধাবাজারের ব্যবসায়ী মিন্টু সাহা বলেন, মাস মাইনে পেয়ে চাকরিজীবীরা কিছু দোকানে কেনাকাটা করছে ঠিকই, কিন্তু সে তো মোট ক্রেতার অতি সামান্য অংশ। বাকিরা বাজারে না এলে ব্যবসায়ীরা মাঠে মারা যাবে। কালু সাহা নামে এক বস্ত্র ব্যবসায়ী বলেন, জিএসটির গুঁতোয় প্রায় সব ধরনের ব্যবসায় প্রভাব পড়েছে। অর্থনীতির স্বাভাবিক নিয়মে জিনিসের দাম বেড়েছে। পুজোর আগে এমন ঝিমিয়ে পড়া বাজার আগে কখনও দেখিনি। যদিও ব্যবসায়ী মহলের আশা, মহালয়ার পর এই ঝিমধরা ভাবটা হয়তো কেটে যাবে। দেরিতে হলেও মানুষ কেনাকাটা করতে আসবেন।