বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
আউশগ্রাম-২ বিডিও সুরজিৎ ভড় বলেন, রামনগর পঞ্চায়েতের প্রধান আমার কাছে ইস্তফাপত্র জমা দিয়েছেন। তবে গ্রহণ করা বা না করার বিষয়ে এখনই কিছু সিদ্ধান্ত হয়নি। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী তাঁকে সাতদিনের সময় দেওয়া হবে। নোটিস দিয়ে ডাকার পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
স্থানীয়সূত্রে জানা গিয়েছে, আউশগ্রামের ছোরা কলোনিতে বাড়ি সঞ্জিতবাবুর। তিনি এলাকার প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী। ২৩ মে রাত থেকে তিনি এলাকা ছাড়া হয়ে গিয়েছেন। বিজেপির কর্মীরা তাঁর উপর হামলা করতে পারে এই আশঙ্কা থেকেই তিনি ছেলেমেয়েকে নিয়ে ঘরছাড়া হয়ে গিয়েছেন বলে অভিযোগ। একমাস ধরে তিনি গোপন জায়গায় আশ্রয় নিয়েছেন। তারপর স্থানীয় কয়েকজনের মধ্যস্থতায় তিনি বাড়ি ফেরার ছাড়পত্র পেয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। কিন্তু তার আগে সঞ্জিতবাবুকে প্রধান পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার কথা বলা হয়।
এদিন বিডিওর কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেওয়ার পর সঞ্জিতবাবু বলেন, আমার উপর কেউ চাপ সৃষ্টি করেনি। আমি স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেছি। দলীয় নেতৃত্বকে আমার এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছিলাম। তারা না চাইলেও আমি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। যদিও এবিষয়ে আউশগ্রামের তৃণমূল পর্যবেক্ষক অনুব্রত মণ্ডল সঞ্জিত বিশ্বাসের উদ্দেশে বলেন, ওকে আমরা আগেই দল থেকে বের করে দিয়েছি।
বিজেপির ওই এলাকার ৫২ নম্বর জেডপির সভাপতি দেবব্রত মণ্ডল বলেন, তৃণমূল পরিচালিত রামনগর পঞ্চায়েতে দুর্নীতির কারণে প্রধানের উপর স্থানীয় বাসিন্দাদের চাপ ছিল। তাই জনরোষ থেকে বাঁচতে ওঁর প্রধানের পদ থেকে সরে যাওয়া ছাড়া উপায় ছিল না। এটা আমাদের নৈতিক জয়।