পারিবারিক মঙ্গল অনুষ্ঠান ও পুজোপাঠে আনন্দলাভ। বন্ধু বিবাদের যোগ আছে। বিদ্যাচর্চায় উন্নতি। ... বিশদ
পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, অনলাইনে কীভাবে বিভিন্ন সরকারি অফিস, ব্যাঙ্ক, পোস্ট অফিস, বিশ্ববিদ্যালয়, স্কুল থেকে ভোটকর্মীর নাম পাঠাতে হবে, তা নিয়ে ইতিমধ্যে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক দপ্তর থেকে জেলায় জেলায় কর্মশালা করা হয়েছে। ডিসেম্বর মাসে বর্ধমান জেলা পরিষদে অঙ্গীকার হলে এনিয়ে একটি কর্মশালা হয়েছে। রাজ্য সরকারি এবং কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের নামের তালিকা প্রতিটি জেলার জেলাশাসকের অফিসের মাধ্যমে পৌঁছবে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের অফিসে। ভবিষ্যতে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের প্রধান দপ্তর থেকে বিষয়টি দেখভাল করা হবে জানা গিয়েছে।
শীঘ্রই প্রতিটি দপ্তর থেকে নামের তালিকা পাঠানোর জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। লোকসভা ভোট উপলক্ষে নিয়মিত প্রতিটি জেলার জেলাশাসককে নিয়ে ভিডিও কনফারেন্স করছে নির্বাচন কমিশন। সেখানে ভোটের প্রস্তুতি হিসেবে ভোটার তালিকা প্রস্তুত, ইভিএম এবং ভিভিপ্যাট প্রস্তুত, ডিস্ট্রিবিউশন কাম রিসিভিং সেন্টার নির্বাচন এবং স্পর্শকাতর বুথের প্রাথমিক তালিকা তৈরিতে জোর দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও ভোটকর্মীদের নামের তালিকা সংগ্রহে জোর দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। সেই তালিকা নিয়ে যাতে কোনওরকম ফাঁকফোকর না থাকে, সেজন্য বিষয়টিকে অনলাইনে আনা হয়েছে।
প্রতিটি বুথের জন্য চারজন ভোটকর্মী প্রয়োজন। প্রিসাইডিং অফিসার ছাড়াও ফার্স্ট, সেকেন্ড ও থার্ড পোলিং অফিসার থাকেন। এছাড়াও ভোটের ডিউটিতে সরকারি কর্মীদের মাইক্রো অবজার্ভার ও সেক্টর অফিসার পদে লাগানো হয়। প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত মোট ভোটকর্মীর ১০শতাংশকে রিজার্ভে রাখা হয়। কিন্তু, প্রতি বছর ভোটের সময় উপযুক্ত সংখ্যক ভোটকর্মী পেতে সমস্যা হয়। বিশেষ করে সরকারি কর্মী এবং শিক্ষকদের একটা বড় অংশের মধ্যে ভোটের ডিউটি এড়ানোর প্রবণতা আছে। সেটা অনেক সময় তালিকা পাঠানোর সময়ই নাম বাদ দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। ম্যানুয়ালে তালিকা পাঠানোর সময় এই ঘটনাটি ঘটে যেত। কিন্তু, বিষয়টি অনলাইনে আসার পর সেই সুযোগ আর থাকছে না।
পূর্ব বর্ধমানের জেলাশাসক অনুরাগ শ্রীবাস্তব বলেন, কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের কর্মীদের নাম অনলাইনে সংগ্রহ করা হচ্ছে। আমাদের জেলায় ৮৯শতাংশ কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে। বর্ধমান টাউন স্কুলের প্রধান শিক্ষক তুষারকান্তি মুখোপাধ্যায় বলেন, এবার প্রথম আমরা অনলাইনে শিক্ষকদের নাম প্রশাসনের দেওয়া পোর্টালে পাঠিয়েছি। সেচ ও জলপথ দপ্তরের এক অফিসার বলেন, অনলাইনে নাম পাঠানোর কারণে একজন কর্মীকেও বাদ রেখে তালিকা পাঠানো সম্ভব নয়। তাতে রিপোর্ট অসম্পূর্ণ বলে জানানো হচ্ছে। এরআগে বিভিন্ন কারণে এক, দু’জনের কর্মীর নাম বাদ দেওয়া হতো। কিন্তু, এবার কোনওভাবে তা সম্ভব হচ্ছে না।