বিমা, মেয়াদি সঞ্চয় বা শেয়ার থেকে অর্থকড়ি আয় বাড়বে। ঝামেলা থেকে দূরে থাকুন। ধর্মে মতি। ... বিশদ
সম্প্রতি ডেঙ্গুর তুলনায় ম্যালেরিয়ায় আক্রান্তের সংখ্যা বেশি দেখা দিয়েছে নাগরাকাটা ব্লকের কলাবাড়ি ও বামনডাঙা চা বাগানে। গত জানুয়ারি মাস থেকে জেলায় এখনও পর্যন্ত অন্তত ১৪০ জন ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন। তারমধ্যে বেশি ছড়িয়েছে নাগরাকাটার ওই দুই বাগানে। আবার একই সময়সীমার মধ্যে ৪৭ জন আক্রান্ত হয়েছেন ডেঙ্গুতে। এরমধ্যে এই মরশুমে জেলার অধীন শিলিগুড়ি পুরসভা এলাকায় চারজন ডেঙ্গু আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে। আবার মাল পুরসভা ছাড়া জলপাইগুড়ি, ময়নাগুড়ি, ধূপগুড়ি পুরসভা এলাকায় একজন করে ডেঙ্গু আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে। আর এই পরিসংখ্যানই চিন্তায় রেখেছে জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগকে। তাদের চিন্তা বর্ষার আগেই যদি এই অবস্থা হয়, তাহলে বৃষ্টি শুরু হলে কি হবে। স্বাভাবিকভাবেই জেলার গ্রামাঞ্চলের পাশাপাশি যাতে পুর এলাকায় ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়ার মতো পতঙ্গবাহিত রোগ থাবা বসাতে না পারে, তার প্রচেষ্টা পুরোদমে শুরু করতে চায় প্রশাসন। এদিনের বৈঠক শেষে জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক অসীম হালদার বলেন, ভেক্টরবর্ন ডিজিস কন্ট্রোল কর্মসূচি মোতাবেক এদিন আমরা জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে জেলার পুরসভা এলাকাগুলিকে নিয়ে বৈঠক করেছি। এখন প্রাক বর্ষার মরশুম চলছে। আগামীতে বর্ষার মরশুম শুরু হবে। তাই আগেভাগেই আমরা সকলকে সতর্ক করছি। এ বছর এখনও পর্যন্ত শহরাঞ্চলে সাতজন ডেঙ্গু আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে। তাই ফিভার সার্ভে থেকে শুরু করে মশা দমনে বিভিন্ন সতর্কতামূলক পদক্ষেপে জোর দেওয়া হয়েছে। ড্রেন থেকে শুরু করে গৃহস্থের ব্যবহারের পর ফেলে দেওয়া সামগ্রী, ডাবের খোলা, গাড়ির টায়ার, প্লাস্টিকের থালা, গ্লাস, কাপ ইত্যাদি আবর্জনা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করার ক্ষেত্রে বিশেষ পদক্ষেপের জন্য বলা হয়েছে পুরসভাগুলিকে।
জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, পরিসংখ্যান অনুযায়ী ম্যালেরিয়ায় সবচাইতে বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছে নাগরাকাটার বামনডাঙা ও কলাবাড়ি এলাকায়। বনাঞ্চল, চা বাগান ঘেরা ওই এলাকায় মারাত্মক ভাবে ছড়াচ্ছে ম্যালেরিয়া। প্রতিরোধে ওই এলাকায় বিশেষ সতর্কতা জারি করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ। ওই এলাকাকে হটস্পট হিসেবেও দেখা হচ্ছে। সেসঙ্গে ওই এলাকায় বেশি করে মশারি বিলি করে, সচেতনতামূলক প্রচার সারা হচ্ছে। পরিচ্ছন্নতা কর্মসূচিতেও বাড়তি জোর দেওয়া শুরু হয়েছে। বৈঠকে জেলা প্রশাসনের তরফে জেলাশাসক শমা পরভীন, জলপাইগুড়ি পুরসভার চেয়ারপার্সন পাপিয়া পাল, ময়নাগুড়ি পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান মনোজ রায়, সদরের মহকুমাশাসক তমোজিৎ চক্রবর্তী সহ অন্য পুরসভার প্রশাসনিক আধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন। জলপাইগুড়ি পুরসভার চেয়ারপার্সন বলেন, প্রশাসনের পরামর্শ মতোই কাজ হচ্ছে।