বিমা, মেয়াদি সঞ্চয় বা শেয়ার থেকে অর্থকড়ি আয় বাড়বে। ঝামেলা থেকে দূরে থাকুন। ধর্মে মতি। ... বিশদ
মানিকচক ব্লকের গোপালপুর গ্রামপঞ্চায়েত এলাকা প্রতিটি নির্বাচনে সরগরম থাকে। গত পঞ্চায়েত ভোটের দিনও জেশারতটোলায় সাতসকালে তৃণমূল ও জোট কর্মীদের মধ্যে সংর্ঘষ বাধে। চলে বোমা-গুলির লড়াই। গুলি লেগে মৃত্যু হয়েছিল তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি শেখ নাসিরের কাকা শেখ মালেকের (৩৭)। যাকে ঘিরে আতঙ্কের পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছিল এলাকায়।
এবারের লোকসভা নির্বাচনেও এলাকায় থমথমে পরিবেশ। তবে এবারে শান্তিতে ভোট চাইছেন এলাকাবাসী। স্থানীয় গৃহবধূ অঙ্গুরী বিবির কথায়, আমরা চাই শান্তিপূর্ণভাবে ভোট হোক।
এবার এখনও পর্যন্ত এলাকায় কোনও অশান্তি ঘটেনি। এটাই স্বস্তির। নির্বাচন কমিশনও শান্তিপূর্ণভাবে ভোট করাতে চাইছে। এলাকায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর টহল রয়েছে। তবে নির্বাচনের দিন কী হয় সেদিকে তাকিয়ে বাসিন্দারা। কারণ ইতিমধ্যে তৃণমূল কর্মীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে জোট কর্মীরা হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ গোপালপুর অঞ্চল তৃণমূল সভাপতি শেখ নাসিরের। তাঁর কথায়, রবিবার রাত থেকে জোট কর্মীরা তৃণমূল সমর্থকদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে হুমকি দিচ্ছেন। যাতে তাঁরা কংগ্রেসে ভোট দেন।
তৃণমূল নেতার অভিযোগ, ভোটের দিন গোপালপুরের বালুটোলাকে অশান্ত করতে বাম ও কংগ্রেসের কিছু নেতা রাতে বৈঠক করেছে। আমরা এবিষয়ে মানিকচক থানায় লিখিত অভিযোগ জানিয়েছি।
যদিও এই অভিযোগ মানতে নারাজ সিটুর জেলা সম্পাদক দেবজ্যোতি সিনহা। বলেছেন, গোপালপুরবাসী সহ গোটা দক্ষিণ মালদহ জোট প্রার্থীকে ভোট দিতে একজোট হয়েছেন। তাতে ভয় পেয়েছে তৃণমূল। তাই এই সব মিথ্যে অভিযোগ করছে।
মানিকচক থানার এক আধিকারিক বলেন, গোপালপুর অঞ্চলের প্রতিটি বুথে চারজন করে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান মোতায়েন থাকবেন। তবে বেশকিছু বুথে আটজন করে থাকবেন। বালুটোলার পুলিস ক্যাম্পে থাকছেন প্রায় ২৫ জন অতিরিক্ত জওয়ান। দুটি গাড়ি পুলিস ও কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে প্রতিনিয়ত টহলদারি চলবে। এবারে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হবে।