বিমা, মেয়াদি সঞ্চয় বা শেয়ার থেকে অর্থকড়ি আয় বাড়বে। ঝামেলা থেকে দূরে থাকুন। ধর্মে মতি। ... বিশদ
গত তিনটি বিধানসভা নির্বাচনে তিনটি পৃথক দল বিজয়ী হয়েছে এই কেন্দ্র থেকে। স্বাভাবিকভাবে এবারের লোকসভা নির্বাচনে বৈষ্ণবনগর কেন্দ্রটি মালদহ দক্ষিণ লোকসভা আসনে কোন দলকে এগিয়ে রাখবে তা নিয়ে রীতিমতো সাসপেন্স তৈরি হয়েছে।
২০১১ সালে এখান থেকে জিতে বিধায়ক হয়েছিলেন মালদহ দক্ষিণ কেন্দ্রের এবারের কংগ্রেস প্রার্থী ঈশা খান চৌধুরী। ২০১৬ সালে অবশ্য এই কেন্দ্রটি কংগ্রেসের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেয় বিজেপি। ২০২১ সালে ফের পালাবদল করেন বৈষ্ণবনগরের ভোটাররা। বিধায়ক নির্বাচিত হন তৃণমূল কংগ্রেসের চন্দনা সরকার। ফলে রাজনৈতিক শক্তির বিচারে এই তিন দলই যে বৈষ্ণবনগর বিধানসভা এলাকায় তুল্যমূল্য রাজনৈতিক শক্তির অধিকারী তা স্পষ্ট গত তিনটি বিধানসভা নির্বাচনের ফল থেকেই।
বৈষ্ণবনগরের সবচেয়ে বড় সমস্যা গঙ্গা নদীর ভাঙন। এই প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে বাস্তুহারা হয়েছেন এই কেন্দ্রের অসংখ্য পরিবার। চোখের জল ফেলেছেন সব খুইয়ে। কিন্তু অব্যাহত থেকেছে এই ভয়াবহ বিপর্যয়।
মালদহ দক্ষিণের তৃণমূল প্রার্থী শাহনওয়াজ আলি রায়হানের বক্তব্য, যাঁরা ভাঙনে সব খুইয়েছেন তাঁরা উপলব্ধি করেছেন কেন্দ্রের বঞ্চনা ও উদাসীনতা কতটা ভয়াবহ হতে পারে। ২০২১ সালেই উপযুক্ত জবাব দিয়ে তৃণমূলকে বেছে নিয়েছিলেন বৈষ্ণবনগরের মানুষ। এবারের নির্বাচনে তৃণমূলকে মালদহ দক্ষিণে আরও বড় ব্যবধানে এগিয়ে দেবে বৈষ্ণবনগর বলেই আশাবাদী আমরা।
গঙ্গা ভাঙনকে তাঁর রাজনৈতিক ইস্তাহার ও প্রতিশ্রুতির সবচেয়ে উপরে রেখেছেন মালদহ দক্ষিণের বিজেপি প্রার্থী শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরীও। ভাঙন সমস্যার স্থায়ী সমাধানে তিনি যে অত্যন্ত সিরিয়াস তা একাধিকবার বলেছেন। কিন্তু তারপরেও এই কেন্দ্রে বিজেপির অনেকটাই ভরসা যে ‘মোদি ফ্যাক্টর’ তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন বৈষ্ণবনগরের প্রাক্তন বিজেপি বিধায়ক স্বাধীন সরকার। ভাঙনে নিজেও জমিবাড়ি খুইয়েছেন। তারপরেও তিনি বলেন, এবারের লোকসভা নির্বাচনে আমরাই জিতব। অন্যদিকে প্রথমবার এই কেন্দ্র থেকে বিধায়ক হওয়া ঈশাও আত্মবিশ্বাসী বৈষ্ণবনগর নিয়ে। তিনি বলেন, ভাঙন রোধে বিজেপি ও তৃণমূলের ভূমিকা মানুষ দেখেছেন। তাই তাঁরা এবার ওই দুই দলকেই প্রত্যাখ্যান করবেন। বৈষ্ণবনগরে এগিয়ে থাকবে কংগ্রেস।
তিন দলের নেতা-নেত্রীরা যাই দাবি করুন, বৈষ্ণবনগরের মানুষ কিন্তু স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন, তাঁরা সব দেখেছেন। বুঝেছেন। বাকিটা তুলে রেখেছেন ইভিএম তাঁদের মতদানের জন্য।