বিমা, মেয়াদি সঞ্চয় বা শেয়ার থেকে অর্থকড়ি আয় বাড়বে। ঝামেলা থেকে দূরে থাকুন। ধর্মে মতি। ... বিশদ
একদা রাজ্যের উপদ্রুত এলাকাগুলির মধ্যে কালিয়াচক ছিল শীর্ষে। যার মধ্যে মোজমপুর ছিল অন্যতম। এখানে কথায় কথায় চলতে বোমা ও গুলির লড়াই। প্রয় খুনের খবর সামনে আসতো। রবিবার দুপুরে গ্রামের রাস্তায় দাঁড়িয়ে আতায়ুর রহমান ও করিম শেখ বললেন, আগে এখানে ‘দক্ষিণ ভারতের’ অ্যাকশন সিনেমার মতো ঘটনা হামেশাই ঘটত। যার নেপথ্যে ছিল কংগ্রেস ও সিপিএম। তখন দিনে গ্রামের রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় বুক কাঁপত। এখন নিশ্চিন্তে রাত পর্যন্ত অবাধে গ্রামের রাস্তা দিয়ে পুরুষ ও মহিলারা চলাচল করতে পারেন।
সেখান থেকেই বাইকে চারলেনের জাতীয় সড়ক ধরে চৌরঙ্গি। পাশে জমজমাট বাজার। আগের মতো রাস্তায় যানজট নেই। ফল ব্যবসায়ী সোহেল হোসেন বলেন, কালিয়াচক এখন অনেক ঠান্ডা হয়েছে। আগের মতো অশান্তি নেই। গোলমাল যারা করত, তাদের অনেকে এখন গ্রাম ছাড়া। অনেকেই দাঁত ও নখহীন! এখান থেকে বাইকে খরারি চাঁদপুর। পিচ রাস্তার ধারে লিচু ও আম বাগান। কেউ বাগান পরিচর্যা করছেন। আবার বাগানের ছাওয়ায় মাচায় বসে আড্ডাও চলছে। কিছুটা এগোলে রাস্তার দু’ধারে পাকা বাড়ির বাইরের দেওয়াল নজরে পড়বে কংগ্রেস ও তৃণমূলের দেওয়াল লিখন। স্থানীয় বাসিন্দা আশিক ইকবাল, জালাল শেখরা বলেন, এখন এখানে শিক্ষার হার ও ব্যবসা বেড়েছে। প্রচুর বেসরকারি স্কুল হয়েছে। শপিং মল সহ বাইরের বেশকিছু ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান এসেছে। নার্সিংহোম হয়েছে। শান্তি বজায় থাকায় এখানে ব্যবসা বেড়েছে।
সংশ্লিষ্ট এলাকা সুজাপুর বিধানসভায়। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের কাছ থেকে এলাকাটি ছিনিয়ে নেয় তৃণমূল। এই এলাকা মালদহ দক্ষিণ লোকসভা আসনের মধ্যে। কালিয়াচকের এই পরিবর্তনকেই ভোটের ময়দানে তুলে ধরছে তৃণমূল। দলের কালিয়াচক-১ ব্লক সভাপতি সাজিউল শেখ বলেন, বামফ্রন্ট জমানার সঙ্গে এখনকার সুজাপুর, কালিয়াচকের আকাশপাতাল তফাত। এখানে রাস্তা, পানীয় জল, স্বাস্থ্য ও শিক্ষা ব্যবস্থার পরিকাঠামোর ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। মহিলারা স্বনির্ভর হয়েছেন। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার পাচ্ছেন। খুনের ঘটনাও নেই। মাধ্যমিকে রাজ্যের মেধা তালিকায় স্থান পেয়েছে চার ছাত্র। সেজন্যই এখানে বিধানসভা ভোটের সাফল্য ধরে রাখব। ‘ভোটকাটুয়া’ কংগ্রেস আমাদের কোনও ক্ষতিও করতে পারবে না।
রাজনৈতিক হিংসা, খুন ও বোমাবাজির ঘটনা কমেছে বলে কংগ্রেসও মানছে। পাশাপাশি, তারা তৃণমূলের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগও করছে। এবারও তারা গনিখানের ছবি নিয়ে ভোটের ময়দানে নেমেছে। মালদহ জেলা পরিষদের বিরোধী দলনেতা তথা স্থানীয় কংগ্রেস নেতা আব্দুল হান্নান বলেন, খুন, বোমাবাজির ঘটনা কমার পিছনে গ্রামবাসীর হাত রয়েছে। অন্য কারও নয়। মালদহ দক্ষিণ কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী শ্রীরুপা মিত্র চৌধুরীর নির্বাচনী এজেন্ট সুব্রত কুণ্ডুর বক্তব্য, কালিয়াচকে আমরাও ময়দানে আছি। দলের ফল ভালো হবে।