বিমা, মেয়াদি সঞ্চয় বা শেয়ার থেকে অর্থকড়ি আয় বাড়বে। ঝামেলা থেকে দূরে থাকুন। ধর্মে মতি। ... বিশদ
পরীক্ষায় ভালো ফল হলেও পছন্দের বিজ্ঞান বিভাগে ভর্তি হতে পারবে কি না তা নিয়ে চিন্তায় জয়দীপ। কারণ, বিজ্ঞান বিভাগে পড়তে খরচ অনেকটাই। নিজের পড়াশোনার খরচ বাড়লে বাবার ওষুধ কেনার টাকায় টান পড়তে পারে। সিতাইয়ের দক্ষিণ কোণাচাত্রা গ্রামের বাসিন্দা জয়দীপ। বাংলা ও ভূগোলে ৯৬, ইংরেজিতে ৯২, অঙ্কে ৯৪, ভৌতবিজ্ঞানে ৯০, জীবনবিজ্ঞানে ৯৮ ও ইতিহাসে ৯৩ নম্বর পেয়েছে সে। বিজ্ঞান নিয়ে পড়ার জন্য কয়েকটি পুরনো বই কিনেছে। জয়দীপ বলে, পড়ার ফাঁকে দোকানে বসে মাকে সাহায্য করতাম। পরীক্ষা ভালো দিয়েছিলাম। তাই ভলো ফল হয়েছে। বাবা আমাকে ছোট থেকে ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার জন্য উৎসাহিত করেন। ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার ইচ্ছে আমারও। একাদশ শ্রেণিতে বিজ্ঞান নিয়ে ভর্তি হতে চাই। কিন্তু খরচ যে অনেক। তাছাড়া বাবার চিকিৎসার জন্য প্রতিমাসে কয়েক হাজার টাকা ব্যয় হয়। আমি বিজ্ঞান নিয়ে পড়লে বাবার চিকিৎসায় টান পড়তে পারে। সেজন্য বিজ্ঞান না কলা বিভাগে পড়ব, এনিয়ে ভাবনাচিন্তা করছি। জয়দীপের মা কল্পনা বর্মা বলেন, ২০১৬ সালে স্বামী পক্ষাঘাতগ্রস্ত হন। আমি বাড়ি-দোকান সামলাই। স্বামীর চিকিৎসার খরচ অনেক। ছেলেকে বিজ্ঞান নিয়ে পড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আর্থিক সমস্যা থাকলেও ছেলের পড়াশোনায় যাতে ব্যাঘাত না ঘটে, সেই চেষ্টা করছি। নিজস্ব চিত্র