বিমা, মেয়াদি সঞ্চয় বা শেয়ার থেকে অর্থকড়ি আয় বাড়বে। ঝামেলা থেকে দূরে থাকুন। ধর্মে মতি। ... বিশদ
মালদহের জেলাশাসক তথা জেলা নির্বাচন আধিকারিক নীতিন সিঙ্ঘানিয়া বলেন, ভোট অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে যাবতীয় পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। প্রতিটি বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের নির্দেশিকা অনুযায়ী আমরা কাজ করছি।
জেলা নির্বাচন আধিকারিকের সংযোজন, ইংলিশবাজার শহরের বার্লো গার্লস হাইস্কুলে আম, মালদহ গার্লস হাইস্কুলে রেশম, জেলা স্কুলে গ্রাম্যজীবন এবং মাধবনগর বাদলমণি হাইস্কুলে ফুলের বাগানকে থিম করে বুথ তৈরি হয়েছে।
এদিন মালদহ কলেজ ও পলিটেকনিকের ডিসিআরসি থেকে সবচেয়ে বেশি ভোটকর্মী বুথের উদ্দেশে যাত্রা করেন। প্রতিটি বুথের জন্য ভোটকর্মীদের সঙ্গে রাজ্য পুলিসের একজন লাঠিধারী কনস্টেবল থাকার কথা। গাজোলের বুথগুলির জন্য পুলিস না পেয়ে মালদহ কলেজ চত্বরে ভোটকর্মীরা বিক্ষোভ দেখান। জেলা পুলিসের আধিকারিকদের সঙ্গে কর্মীরা বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়েন। উত্তেজনা ছড়ালে জেলাশাসক হস্তক্ষেপ করেন। পুলিস সুপারকে তিনি ব্যবস্থা নিতে বলেন। পরে পুলিস পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। অন্যদিকে, পলিটেকনিকের সামনে মালদহ-মানিকচক রাজ্য সড়কের উপর ভোটকর্মীদের যানবাহন দাঁড়িয়ে থাকার কারণে ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়। ওই যানজটে একটি অ্যাম্বুলেন্স আটকে পড়ে। তাতে মোথাবাড়ি এলাকার এক অন্তঃসত্ত্বা মহিলা ছিলেন। ঘণ্টাদু’য়েক যানজটে অ্যাম্বুলেন্সটি আটকে ছিল বলে তাতে থাকা আশাকর্মী দাবি করেন। তার জেরে অ্যাম্বুলেন্সের মধ্যেই ওই মহিলা সন্তান প্রসব করেন। পরে পুলিসের টহলদারি ভ্যান অ্যাম্বুলেন্সটিকে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পৌঁছে দেয়। উত্তর মালদহের চাঁচল,মালতীপুর ও হরিশ্চন্দ্রপুর বিধানসভার ডিসিআরসি সেন্টার করা হয় চাঁচল সিদ্ধেশ্বরী ইন্সটিটিউশন ও চাঁচল কলেজে। তিনটি বিধানসভায় মোট ৭৩৩ টি ভোটগ্রহণ কেন্দ্র রয়েছে।
তার মধ্যে ১০ টি মহিলা পরিচালিত বুথ। মালতীপুর বিধানসভার মালতীপুর রোহিনী কান্ত গার্লস স্কুলের ৪৭ ও ৪৮ নম্বর বুথে মহিলা ভোটার কর্মীরা ভোট নেবেন।
হরিশ্চন্দ্রপুর বিধানসভার বারোদুয়ারী জুনিয়র বেসিক স্কুল (৪৭), খানতা প্রাইমারি স্কুল (৪৮) ও হরিশ্চন্দ্রপুর হাইস্কুলে ২৩৭ ও ২৩৮ বুথে মহিলা ভোটকর্মীরা রয়েছেন।
চাঁচল বিধানসভার রানী দাক্ষায়ণী গার্লস হাইস্কুল দুটো ও সিদ্ধেশ্বরীতে দুটো বুথে মহিলারা ভোট নেবেন।
মালতীপুর গার্লস বুথের ভোট কর্মী খাদিজা খাতুন বলেন, এবারই প্রথম ভোটকর্মী হিসেবে কাজ করছি। লোকের মুখে শুনি ভোট মানেই আতঙ্কের পরিবেশ। কিন্তু কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তার উপর ভরসা রেখেই বুথে যাচ্ছি। সাইরুন্নেশা বলেন, গত পঞ্চায়েত নির্বাচনেও কাজ করেছি। এবার ইভিএম নিয়ে প্রথমবার ভোট নেব। আমাদের জন্য বিশেষ সুবিধা করেছে কমিশন। নিরাপত্তা নিয়ে আমরা সুনিশ্চিত।
এদিন অনুকূল আবহাওয়ার পরিবেশ থাকায় ডিসিআরসি কেন্দ্র থেকে হাসিমুখে বুথে উদ্দেশে যান ভোট কর্মীরা। ডিসিআরসি থেকে এক কিমি দূরে ছোটগাড়িতে ইভিএম ভিভিপ্যাট ও কন্ট্রোল ইউনিট সহ যাবতীয় সরঞ্জাম নিয়ে বাসে উঠে বুথের উদ্দেশে রওনা দেন। এদিন ডিসিআরসি কেন্দ্রের হাল হকিকত খতিয়ে দেখতে আসেন জেলাশাসক নীতিন সিঙ্ঘানিয়া। নিজস্ব চিত্র