বিমা, মেয়াদি সঞ্চয় বা শেয়ার থেকে অর্থকড়ি আয় বাড়বে। ঝামেলা থেকে দূরে থাকুন। ধর্মে মতি। ... বিশদ
বহু বছর আগে রাজগঞ্জ ব্লকের গজলডোবায় তৈরি হয় তিস্তা ব্যারেজ। এই ব্যারেজ রক্ষণাবেক্ষণের জন্য নদীর বাঁ হাতে তৈরি হয়েছে গাইড বাঁধ। বাঁধের পাশেই সেচদপ্তরের হাওয়া মহল। হ্রদ বিপর্যয়ে তিস্তার জলের তোড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয় বাঁধ। তিনশো মিটারের কাছাকাছি বাঁধ ধুয়ে সাফ হয়ে গিয়েছিল। নদীর জল ঝিলে ঢুকে পলিতে ভরে যায়। যেকারণে পর্যটকদের নিয়ে ঝিলের বোটিং বন্ধ হয়ে যায়। তিস্তার সেই জলোচ্ছ্বাসে মিলনপল্লি, মন্তাদাড়ি সহ কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়ে গিয়েছিল। স্থানীয় বাসিন্দা প্রহ্লাদ রায় বলেন, তিস্তার বাঁধের একাংশ নিমেষে ভেঙে গিয়েছিল। কিছু কিছু জায়গায় নদীর পাড় ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে যায়। সামনেই বর্ষা। বাঁধ মেরামত না হলে আমাদের গ্রামগুলি ভেসে যাবে। সেচদপ্তর বাঁধ সংস্কারের কাজে হাত দেওয়ায় কিছুটা স্বস্তিতে আমরা।
সেচদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, ২৬ এপ্রিল থেকে বাঁধের কাজ শুরু করা হয়েছে। উন্নত প্রযুক্তি দিয়ে তৈরি হচ্ছে এই বাঁধ। ব্যবহার করা হচ্ছে লাইলন ক্রেট, জুট, সিন্থেটিক ব্যাগ সহ বিভিন্ন সামগ্রী।
বর্ষার আগে বাঁধের কাজ শেষ করা না হলে এবার ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে সরস্বতীপুর, মান্তারদাড়ি এমনকী শিকারপুর, বোদাগঞ্জ সহ তিস্তার দু’পাড়ের বিস্তীর্ণ এলাকা। ভোরের আলোর ঝুলন্ত সেতু ক্ষতি হতে পারে। তাই যত দ্রুত কাজ শেষ করতে চাইছে সেচদপ্তর।
সেচদপ্তর ১০৫ দিন সময় বেঁধে দিলেও কাজের বরাত পাওয়া ঠিকাদার সংস্থার অন্যতম কর্মা শুভ্রজিৎ ঘোষ বলেন, একমাসের মধ্যেই বাঁধের কাজ শেষ করে দেওয়া হবে। বর্ষার আগে কাজ শেষ না করলে পরবর্তীতে সমস্যা হবে। তাই যুদ্ধকালীন তৎপরতার সঙ্গে দিনরাত কাজ চলছে।
রাজগঞ্জের বিধায়ক খগেশ্বর বলেন, সেচদপ্তরের নজরে বিষয়টি আনা হয়েছিল। তারা গতমাসে কাজ শুরু করেছে। যুদ্ধকালীন তৎপরতার সঙ্গে বাঁধের কাজ চলছে। আশা করছি, শীঘ্রই ওই কাজ শেষ হবে।