বিমা, মেয়াদি সঞ্চয় বা শেয়ার থেকে অর্থকড়ি আয় বাড়বে। ঝামেলা থেকে দূরে থাকুন। ধর্মে মতি। ... বিশদ
মাথাভাঙা শহরের উত্তরদিক থেকে পূর্বদিকে মোড় নিয়েছে মানসাই নদী। পশ্চিমদিক থেকে এসে শহরের মাঝখান দিয়ে বয়ে গিয়ে পূর্বদিকে মানসাই নদীতে মিশেছে সুটুঙ্গা। শহরের আব্বাসউদ্দিন সেতু থেকে সুটুঙ্গার নতুন ব্রিজ পর্যন্ত ৫ নম্বর ওয়ার্ডের নদীবাঁধ সবচেয়ে বিপজ্জনক অবস্থায়। আব্বাসউদ্দিন সেতুর শনিমন্দির মোড় থেকে নতুন সেতু পর্যন্ত এক কিমি নদীবাঁধ চর এলাকার সঙ্গে প্রায় মিশে গিয়েছে। এই জায়গা দিয়ে জল ঢুকে শহরকে বর্ষার সময় প্লাবিত করে। বাসিন্দারা জানান, প্রতিবছর সুটুঙ্গার জল শহরে ঢোকে। বাঁধ সংস্কারের ব্যাপারে পুরসভা ও সেচদপ্তর উদাসীন। সুটুঙ্গার নতুন ব্রিজ থেকে পূর্বদিকে ৫ নম্বর ওয়ার্ডের একটা অংশ সহ বাঁধ বরাবর ১ ও ২ নম্বর ওয়ার্ড পর্যন্ত পাকা রাস্তা তৈরি করেছে পুরসভা। এই এলাকা দিয়ে শহরে জল ঢোকার সম্ভবনা কম।
সুটুঙ্গা বৃষ্টির জলে পুষ্ট নদী। কিন্তু মানসাই-সুটুঙ্গার সঙ্গমস্থল থেকে শুরু করে শহরের মাঝখান দিয়ে বয়ে যাওয়া সুটুঙ্গায় প্রতিবছর উল্টো দিকে জল ঢুকে শহরকে প্লাবিত করে। মানসাইয়ের জল সুটুঙ্গা হয়ে শহরে ঢুকে পড়ে। শহরকে প্লাবনের হাত থেকে বাঁচাতে এখনই বাঁধ নিয়ে সতর্ক হওয়া উচিত পুরসভা ও সেচদপ্তরের।
মাথাভাঙা পুরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার চন্দ্রশেখর রায় বসুনিয়া বলেন, বাম আমলে বাঁধ দখল হয়। সেই বাসিন্দারা এখনও বাঁধের জায়গা দখল করে আছে। ওদের সরিয়ে দিতে গেলে পুনর্বাসন দিতে হবে। আমি নিজে পুরসভায় বাঁধের সমস্যার বিষয়টি জানিয়েছি। সেচদপ্তরের সঙ্গেও কথা বলেছি। কয়েকশো বাসিন্দাকে সরানোর বিষয়টিও জানানো হয়েছে।
পুরসভার চেয়ারম্যান লক্ষপতি প্রামাণিক বলেন, ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সুটুঙ্গা পাড়বাঁধের সমস্যাটি নিয়ে সেচদপ্তরের সঙ্গে অনেকবার আলোচনা করেছি। আবারও আলোচনা করে একটি সমাধান সূত্র বের করা হবে। সেচদপ্তরের মাথাভাঙার সহকারী বাস্তুকার শ্রীবাস ঘোষ বলেন, শহরের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের পাড়বাঁধ দখলমুক্ত করার ব্যাপারে পুরসভাকে জানানো হয়েছে। পুরসভা বাসিন্দাদের সরানোর ব্যবস্থা করলেই আমরা বাঁধ সংস্কার করে দেব। নিজস্ব চিত্র