সংবাদদাতা, তপন: জল সঙ্কটে জেরবার এলাকাগুলির সব গ্রামে পৌঁছচ্ছে না পানীয় জলের ট্যাঙ্কার। কিছু গ্রামে পৌঁছলেও তা পর্যাপ্ত নয় বলে দাবি স্থানীয় বাসিন্দাদের। পথ অবরোধ, বিক্ষোভের পরও পর্যাপ্ত জল না মেলায় হতাশ তপন ব্লকের বিভিন্ন এলাকার মানুষ। গরম পড়তেই তপন ব্লকে পানীয় জলের সঙ্কট দেখা দিয়েছে। ব্লকের ১১টি গ্রাম পঞ্চায়েতেই কমবেশি পানীয় জলের সঙ্কট। অনাবৃষ্টির কারণে ভূগর্ভস্থ জলস্তর নীচে নেমে যাওয়ায় কার্যত এবছর জলের জন্য হাহাকার অবস্থা। তপন ব্লকের মালঞ্চা, গোফানগর, আউটিনা, হরসুরা, তপন-চণ্ডীপুর, দ্বীপখণ্ডা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দারা তীব্র পানীয় জল সঙ্কটে ভুগছেন। 
যদিও পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি কৃষ্ণা বর্মন ভুক্তভোগীদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। বলেছেন, যে এলাকাগুলিতে জলের সমস্যা, সেখানে  গাড়ি করে পানীয় জলের ট্যাঙ্কার পাঠানো হয়। তবে কিছু গাড়ি নষ্ট হয়ে যাওয়ায় একটু সমস্যা হতে পারে। 
ব্লকের বিভিন্ন এলাকায় বেশিরভাগ মার্ক-টু নলকূপ বিকল। মালঞ্চা গ্রাম পঞ্চায়েতের বালাপুর লক্ষ্মীতলার বাসিন্দা তরুণ বর্মন বলেন, আমাদের গ্রামের সব নলকূপ খারাপ, পুকুরও শুকিয়ে গিয়েছে। ভোটের আগে আমাদের এখানে ব্লক থেকে জলের গাড়ি আসত, ভোট মিটতেই তা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। এখন দূরে গিয়ে অন্যের সাব মার্সিবল থেকে জল আনতে হয়। নিয়মিত পানীয় জলের পরিষেবার দাবি তুলেছেন তিনি। একই বক্তব্য তপন- চণ্ডীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মদনাহারের বাসিন্দা মোহন বর্মনেরও। তাঁর কথায়, ভোটের আগে জলের জন্য পথ অবরোধ হয়েছিল। তারপর কিছুদিন নিয়মিত ট্যাঙ্কার এল। ভোটের পর বেশকিছু হল আর নিয়মিত জলের গাড়ি আসছে না।
গোফানগর গ্রাম পঞ্চায়েতের ভবানীপুরের বাসিন্দা অজয় বর্মন বলেন, আমাদের গ্রামে দিনে একবার একটা গাড়ি এসে জল দিয়ে যায়। কিন্তু গ্রামের সবাই জল পান না। যদিও দ্রুত সব এলাকায় জল পৌঁছনোর চেষ্টা চালাচ্ছে পঞ্চায়েত সমিতি।