বিমা, মেয়াদি সঞ্চয় বা শেয়ার থেকে অর্থকড়ি আয় বাড়বে। ঝামেলা থেকে দূরে থাকুন। ধর্মে মতি। ... বিশদ
রায়গঞ্জ শহর এবং শহরতলির অলিগলিতে লাল রঙের একটা টোটো নিয়ে ছুটে বেড়াচ্ছেন এক বধূ। পথে-ঘাটে হামেশাই দেখা যায় এই মাঝবয়সী বধূকে। তাঁর টোটোতে কখনও সওয়ারি স্কুল কলেজের পড়ুয়া, কখনও রোগী। দিনরাত এক করে ছুটে চলেছেন বাসন্তী। বাসন্তী বলেন, সুখের সংসার ছিল আমাদের। স্বামী ও দুই পুত্রসন্তানকে নিয়ে ভালোই চলছিল। হঠাৎ স্বামীর লিভারের অসুখ ধরা পড়ে।
কয়েক বছর ধরে স্বপন দাস লিভারের সমস্যায় ভুগছেন। বাসন্তী বলেন, এখানে ডাক্তার দেখিয়েছি। বলেছেন, হায়দরাবাদে নিয়ে যেতে। এই শুনে মাথার উপর আকাশ ভেঙে পড়ে বাসন্তীর। তিনি বলেন, জমিজায়গা বিক্রি করে স্বামীর চিকিৎসার টাকা জোগাড় করি। চিকিত্সাও করিয়েছি। কিন্তু সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে ওঠেনি। এখন প্রতি সপ্তাহে এক হাজার টাকার ওষুধ কিনতে হয়। সঙ্গে দুই ছেলের পড়াশোনার খরচ। আমি ছাড়া সংসারের হাল ধরার মতো কেউ নেই। তাই আমাকেই টোটো চালাতে হচ্ছে। বাসন্তী জানিয়েছেন, স্বামীর চিকিত্সায় সরকারি কোনও সাহায্য মেলেনি। সরকারি ও বেসরকারি সাহায্যের আর্জি জানিয়েছেন বাসন্তী।