বিমা, মেয়াদি সঞ্চয় বা শেয়ার থেকে অর্থকড়ি আয় বাড়বে। ঝামেলা থেকে দূরে থাকুন। ধর্মে মতি। ... বিশদ
গত ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে একচেটিয়া সংখ্যালঘু ভোট গিয়েছিল তৃণমূলের ঝুলিতে। সেই ভোট ধরে রাখতে মরিয়া তৃণমূল। যদিও কংগ্রেসের দাবি, সংখ্যালঘু ভোট এবার তাদের দিকে ঝুঁকছে। এদিকে ফের ভোট কাটাকাটির অঙ্কে জয়ের স্বপ্ন দেখছে।
২০১৯ সালে মালদহ উত্তরে বিজেপি পায় ৫ লক্ষ ৯ হাজার ৫২৪ টি ভোট। তৃণমূল পেয়েছিল ৪ লক্ষ ২৫ হাজার ২৩৬ টি ভোট এবং কংগ্রেসের ঝুলিতে গিয়েছিল ৩ লক্ষ ৫ হাজার ২৭০ টি ভোট। বিজেপির খগেন মুর্মু তৃণমূলের মৌসম বেনজির নুরকে ৮৪ হাজার ২৮৮ ভোটে পরাজিত করেন। তৃণমূল ও কংগ্রেসের মিলিত ভোট ৭ লক্ষ ৩০ হাজার ৫০৬। সেইসঙ্গে সিপিএমের ছিল ৫০ হাজার ৪০১ ভোট। বিজেপি বিরোধী ভোট ভাগ হওয়ার ফলেই বিজেপি জিতে যায়, সেটা তথ্যতেই স্পষ্ট। তৃণমূলের জেলা সভাপতি বিধায়ক আব্দুর রহিম বক্সি বলেন, এবারের নির্বাচনেও সংখ্যালঘু ভোট তৃণমূলে থাকবে। রাজ্য সরকার যেভাবে সংখ্যালঘুদের উন্নয়নে কাজ করছে, অন্য কোনও সরকার করেনি। তাছাড়া বিজেপির মতো সাম্প্রদায়িক শক্তিকে রুখতে তৃণমূল একমাত্র বিকল্প। মালদহ উত্তরে তৃণমূল পরাস্ত করবে বিজেপিকে।
২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে এনআরসি ইস্যুতে ভোট হওয়ায় মূলত লড়াই হয়েছিল তৃণমূল ও বিজেপির মধ্যে। ফলে চাঁচল মহকুমার সংখ্যালঘু অধ্যুষিত চার বিধানসভা তৃণমূলের দখলে যায়। বাকি তিন বিধানসভা হবিবপুর, গাজোল ও মালদহ পেয়েছিল বিজেপি। এক্ষেত্রে কংগ্রেস তিন নম্বরে নেমে যায়। তবে গত বছর পঞ্চায়েত নির্বাচনে চাঁচল মহকুমায় তৃণমূলের সঙ্গে সরাসরি লড়াই হয় বাম-কংগ্রেসের। সেবারও এগিয়ে ছিল তৃণমূল। তিন নম্বরে ঠাঁই হয় বিজেপির।
মালদহ উত্তরের বাম কংগ্রেস জোট প্রার্থী মোস্তাক আলমের বক্তব্য, গত বিধানসভায় সংখ্যালঘুরা এনআরসি আতঙ্কে তৃণমূলকে ভোট দিয়েছিলেন। কিন্তু পঞ্চায়েত নির্বাচনে বাম-কংগ্রেসে সেই ভোট অনেকটাই ফিরে আসে। লোকসভা নির্বাচনেও সংখ্যালঘু ভোট কংগ্রেসেই আসবে।
মালদহ উত্তরের বিদায়ী সাংসদ বিজেপির খগেন মুর্মু বলেন, প্রতিটি বিধানসভায় বিজেপির ভোট বাড়বে। কংগ্রেস ও তৃণমূল দুই নম্বর হওয়ার জন্য লড়াই করছে। তৃণমূল এনআরসি জুজু দেখিয়ে সংখ্যালঘুদের ভয় দেখিয়েছিল। এবার অভিন্ন দেওয়ানি বিধি নিয়ে আদিবাসীদের ভয় দেখাচ্ছে। তবে মানুষ দুর্নীতিগ্রস্ত তৃণমূলকে ছুঁড়ে ফেলবে।