বিমা, মেয়াদি সঞ্চয় বা শেয়ার থেকে অর্থকড়ি আয় বাড়বে। ঝামেলা থেকে দূরে থাকুন। ধর্মে মতি। ... বিশদ
পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সকালে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখতে পায় সদর দরজা ভাঙা। ব্যাঙ্কের ভিতরে প্রয়োজনীয় নথি ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। যদিও ব্যাঙ্কের ভল্ট সুরক্ষিত ছিল। দুষ্কৃতী দল সেটি ভাঙতে না পেরে ব্যাঙ্কের সিসি ক্যামেরার হার্ডডিস্ক খুলে চম্পট দেয়। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ব্যাঙ্কের ওই শাখায় দু’জন সিভিক ভলান্টিয়ার ডিউটিতে ছিলেন। ডাকাত দলের সদস্যরা আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে হুমকি দেওয়ার পর তাঁরা কেউ কুশমণ্ডি থানার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেননি।
চুরির ব্যর্থ চেষ্টার পর দুষ্কৃতী দল মহিপাল-কুশমণ্ডি রাজ্য সড়কের নাহিট চৌপথী দিয়ে পালিয়ে যাচ্ছিল। সেখানে কর্তব্যরত দুই সিভিককে আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে তাদের মোবাইল ফোন ও একটি বাইক নিয়ে পালিয়ে যায়। পরে সিভিকরা স্থানীয়দের সহযোগিতায় কুশমণ্ডি থানার সঙ্গে যোগাযোগ করেন। কুশমণ্ডি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ।
গঙ্গারামপুর মহকুমা পুলিস আধিকারিক দীপাঞ্জন ভট্টাচার্য ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানীয়দের জিজ্ঞাসাবাদ করেন। আশপাশের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করে দুষ্কৃতীদের খোঁজ করছে পুলিস। দীপাঞ্জনবাবু বলেন, ব্যাঙ্কে আমানত সুরক্ষিত রয়েছে বলে ম্যানেজার জানিয়েছেন। নাহিট এলাকায় কর্তব্যরত সিভিকদের বাইক ও মোবাইল নিয়ে পালিয়েছে ওই দুষ্কৃতীরা। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে তদন্ত অনেকটা এগিয়েছে।
ব্যাঙ্কের শাখার ম্যানেজার মহম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আমাদের বড়গাছি ব্যাঙ্কের দরজা ভেঙে চুরির চেষ্টা করে দুষ্কৃতী দল। কুশমণ্ডি থানায় লিখিত অভিযোগ জানিয়েছি। আমাদের প্রধান কার্যালয়ে জানানো হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দা প্রত্যক্ষদর্শী আক্তার আলীর কথায়, আমি পুকুর পাহারা দিয়ে রাত ২টার সময় বাড়ি ফিরছিলাম। সেই সময় কুশমণ্ডি বড়গাছি এলাকায় প্রায় ১০ জনের মতো লোক দাঁড়িয়েছিল। আমি টর্চ জ্বালাতেই তারা সোজা রাস্তা দিয়ে চলে যেতে বলে। সন্দেহ হওয়ায় প্রাণভয়ে বাড়ি চলে আসি। সকালে জানতে পারি ব্যাঙ্কে চুরির চেষ্টা হয়েছে।