বিমা, মেয়াদি সঞ্চয় বা শেয়ার থেকে অর্থকড়ি আয় বাড়বে। ঝামেলা থেকে দূরে থাকুন। ধর্মে মতি। ... বিশদ
তৃণমূল কর্মী সমর্থক ও নেতৃত্ব তো বটেই, দেবের সভায় এদিন ছিল আমজনতার লক্ষ্যণীয় উপস্থিতিও। বাংলা চলচ্চিত্রের এই সফল অভিনেতাকে দেখতে কালিয়াচকের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এদিন মানুষ ভিড় জমিয়েছেন মোথাবাড়ির পিডব্লুডি মাঠে।
তবে শুধু তারকা দেবের উপস্থিতিতেই নয়, এদিন মানুষ মজেছেন তাঁর ছকভাঙা ভাষণেও। নির্বাচনী বক্তব্যের চিরাচরিত ঘরানা থেকে বেরিয়ে এসে এদিন দেবের মুখে শোনা গিয়েছে সৌহার্দ্যের কথা। বলেছেন উন্নয়নের প্রতিযোগিতার কথা। তাতেই মুহুর্মুহু হাততালি পড়েছে। সভায় ভিড় করা বিশেষত তরুণ প্রজন্মের শ্রোতাদের উচ্ছ্বাস বুঝিয়ে দিয়েছে আসলে তাঁরা এমন কথাই শুনতে চান।
এদিন অভিনেতা দেব বলেন, ধর্মীয় বিভাজন এনে আমাদের ভাগ করবেন না। আগে আমরা ভারতীয়। তারপর অন্য কিছু। দয়া করে বাংলার রাজনীতিতে হিন্দু-মুসলিম ভাগ করবেন না। এই নির্বাচনে মন্দির কিংবা মসজিদ বানানোর সংখ্যার নিরিখে নয়, বরং কে ক’টা হাসপাতাল বানাল, কে ক’টা স্কুল তৈরি করল, কে ক’টা রাস্তা তৈরি করল, সর্বোপরি কে মানুষকে ভালবেসে কাছে টেনে নিল তা বুঝে গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করার নির্বাচন। এমন মানুষকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বেছে নিতে হবে যিনি সব ভেদাভেদের ঊর্ধ্বে উঠে দেশের সব মানুষের উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে পারেন।
এদিন তাঁর ছকভাঙা বক্তব্যে দেব বলেন, আমি বিশ্বাস করি, আপনাদের আশীর্বাদ যিনি পাবেন তিনি হারতে পারেন না। আপনাদের আশীর্বাদপ্রাপ্ত দলই নির্বাচনে বিজয়ী হবে। আর আমি মনে করি মালদহ দক্ষিণের তৃণমূল প্রার্থী শাহনওয়াজ আলি রায়হান আপনাদের আশীর্বাদ পাবেন। তাঁর কথা শুনে হৈ হৈ করে সম্মতি জানান সভাস্থলে উপস্থিত হাজারো মানুষ।
দেবের সভা ঘিরে এদিন নিজেদের আবেগ গোপন করেননি অনেকেই। আবেগতাড়িত হয়ে দেবকে দেখতে আসা রথবাড়ির মনিরুল ইসলাম জানান, আমি ব্যক্তিগতভাবে কোনও দল করি না। কিন্তু অভিনেতা দেবের ভক্ত। গতকাল শুনেছি মোথাবাড়িতে দেব আসছেন। তারপর থেকেই স্থির করেছিলাম দেবকে দেখতে যাব। আজ প্রখর রোদ হলেও তা উপেক্ষা করে দেবকে দেখতে হাজির হন তিনি।
বিজেপির বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেব বলেন, গত ১০ বছরে বিজেপি দশটা ভালো কাজের প্রমাণ দিক। এদিনের সভায় বক্তব্য রাখেন স্থানীয় বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন, জেলা তৃণমূল সভাপতি তথা বিধায়ক আব্দুর রহিম বক্সি, জেলা যুব তৃণমূল সভাপতি বিশ্বজিৎ মণ্ডল, জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ তথা ব্লক তৃণমূল সভাপতি ফিরোজ শেখ প্রমুখ।
সংক্ষিপ্ত বক্তৃতার পরে ফিরে যান দেব। কিন্তু ছাপ রেখে যান মানুষের মনে। দেবের সভার শেষে আরও চাঙ্গা তৃণমূল কর্মীরা দাবদাহ উপেক্ষা করে ঘরে ফেরার পথে স্লোগান দিচ্ছিলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জিন্দাবাদ!
রায়হানের সঙ্গে দেব। - নিজস্ব চিত্র।